রাশিয়া কেন ইউক্রেন আক্রমন করল?

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার একেবারে ঘোষণা দিয়েই রাশিয়া আক্রমন শুরু করেছে। উত্তরে বেলারুশ, দক্ষিনে ক্রিমিয়া, কৃষ্ণ সাগর আর পুর্বে সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দোনেটস্ক ও লুহান্সক থেকে এই আক্রমন শুরু হয়েছে। স্থল, আকাশ ও জলসীমা ব্যবহার করে ক্রেমলিনের বহুমুখি এই আক্রমনে ইউক্রেন বিপর্যস্ত হওয়ার মুখোমুখি হয়ে পড়েছে।
Ukraine War FInancial Times

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার একেবারে ঘোষণা দিয়েই রাশিয়া আক্রমন শুরু করেছে। উত্তরে বেলারুশ, দক্ষিনে ক্রিমিয়া, কৃষ্ণ সাগর আর পুর্বে সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দোনেটস্ক ও লুহান্সক থেকে এই আক্রমন শুরু হয়েছে। স্থল, আকাশ ও জলসীমা ব্যবহার করে ক্রেমলিনের বহুমুখি এই আক্রমনে ইউক্রেন বিপর্যস্ত হওয়ার মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা গুলোই ছিল ক্রেমলিনের আক্রমনের প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু। ত্রিমুখী এই আক্রমনে ইউক্রেনের বিমান বন্দর, প্রতিরক্ষা দপ্তর, বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছুই বাদ যায়নি। যুদ্ধের প্রথম দিনে ইউক্রেন কোনরকমেই রাশিয়ার সামনে রুখে দাড়াতে পারেনি। ইতোমধ্যেই রাশিয়া চেরনোবিল পারমানবিক চুল্লিসহ আরো কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে। সারাদেশে কমপক্ষে ১৯৮ জন ইউক্রেনীয় নাগরিকসহ কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছেন। । দলে দলে লোকজন ইউক্রেন ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই রাশিয়া কেন ইউক্রেন আক্রমন করল? পুতিন কেন এত বড় ঝুঁকি নিতে গেলেন?

রাশিয়া কেন ইউক্রেন আক্রমন করল?

শুরুতেই জেনে রাখা ভাল যে, এটা কোন আকস্মিক যুদ্ধ ছিল না। বরং ধীরে ধীরে এই ‘যুদ্ধের আয়োজন’ ঘটেছে। অনেক আগে থেকেই এই যুদ্ধের আয়োজন।

ইউক্রেন-রাশিয়ার এই সংকটের গোড়াপত্তন মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন থেকেই। নব্বইয়ের শুরুর দিকে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়, তখন ইউক্রেনে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ পারমানবিক অস্ত্রেরর মজুদ ছিল। পরবর্তিতে ১৯৯৪ সালে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত বুদাপেস্ট মেমোরান্ডাম এর অধীনে আমেরিকা ও রাশিয়ার যৌথ প্রচেষ্টায় ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে পারমানবিক অস্ত্রগুলো ফেরত দিতে রাজি করা হয় এই শর্তে যে, রাশিয়া ইউক্রেনকে কখনো আক্রমন করবে না। ইউক্রেন রাশিয়াকে শত শত পারমানবিক অস্ত্র ফেরত দেয়।

রাশিয়া কেন ইউক্রেন আক্রমন

কিন্তু ২০১৩ সালে যখন ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করে দেয় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এর তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। এই প্রতিবাদ দমনে শক্তি প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হয়ে যায় এবং সেটা সংঘর্ষে পরিণত হয়। বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত ক্যু’তে পরিণত হয়। এবং প্রেসিডেন্ট ইয়েনুকোভিচ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪ তে দেশ ছেড়ে রাশিয়াতে পালিয়ে যান। ক্ষমতায় আসেন আমেরিকাপন্থী প্রেসিডেন্ট।

Is the USA a Leading Terrorist State?

এরপরে মার্চে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করে নিয়ে পুর্বাঞ্চলীয় ডোনবাজ রাজ্যের রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপকে সহায়তা করতে থাকেন। এখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দোনেটস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার জন্য ইউক্রনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অন্য কথায় বললে বলা যায়, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ চালায়।

ইউক্রেনের এই সংকট আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নেয় যখন জুলাই ২০১৪ সালে মালয়েশীয়ার একটি বিমান মিসাইলে ভূপাতিত করা হয়। বিমানের ২৯৮ জন যাত্রীর সকলেই নিহত হন। পরবর্তিতে তদন্তে প্রমাণ মেলে রাশিয়ার সরবরাহ করা মিসাইল ব্যবস্থায় ওই বিমান বিধ্বস্ত হয়।

জুলাই থেকে আলোচনা শুরু করে সেপ্টেম্বর, ২০১৪-এ রাশিয়া,ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা মূলক সংগঠন,  ইউক্রেন ও রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বেলারুশের মিনস্কে প্রথম মিনস্ক চুক্তিতে সই করে। এই চুক্তি ব্যর্থ হলে আবার ২০১৫ সালে ২য় মিনস্ক চুক্তি হয়। চুক্তিতে বন্দি বিনিময়, মানবিক সাহায্য এবং ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার সহ মোট তেরটি বিষয়ে তারা চুক্তিবদ্ধ হন।

কিন্তু ইউক্রেন ও রাশিয়ার অসহযোগিতাই চুক্তি সম্পাদনে বাঁধা। কেউই এই চুক্তি মানতে রাজি নয়। সোজা কথায় মস্কো ও কিয়েভ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে যার যার মতো করে মিনস্ক চুক্তি ব্যাখ্যা করেছে, ফলে চুক্তিটি এক ধাঁধায় পরিণত হয়েছে।

২০১৬’র এপ্রিলে ন্যাটো, পুর্ব ইউরোপের এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোলান্ডে, সম্ভাব্য রাশিয়ান আগ্রাসন সামলাতে চার ব্যাটালিয়ন সৈন্য পাঠায়। এদের সাথে যোগ দিতে আমেরিকাও ২০১৭ সালে পোলান্ডে দুই ব্রিগ্রেড ট্যাংক পাঠায়।

আমাদের কাছে আফগানিস্তানের কী পাওনা?

গত ট্রাম্প আমলে আমেরিকা ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধি করে। এই সময়ে আমেরিকার চতুর্থ সর্বোচ্চ সামরিক সহায়তা প্রাপ্ত দেশে পরিণত হয়।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ইউক্রেন সংঘাতে জড়িত রাশিয়ার ২১ ব্যক্তি ও নয়টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একই বছরের অক্টোবরে আমেরিকা ও ন্যাটোভুক্ত সাতটি দেশের সাথে ইউক্রেন বেশ বড় ধরণের সামরিক অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সাথে ইউক্রেনের এই সখ্যতা পুতিনের মাথা গরম করে দেয়।

রাশিয়া গত বছরের ডিসেম্বরে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার সৈন্য মোতায়েন  করে। তারা বেলারুশের সাথে যৌথ অনুশীলনী চালাচ্ছে। কোন ধরণের দাফতরিক ঘোষণা ছাড়াই রাশিয়া ভারী অস্ত্রশস্ত্র, মিসাইল, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রস্তুতি, হাসপাতাল স্থাপণ করেছে ইউক্রেন সীমান্তে।

যদিও আমেরিকা ও ন্যাটো বলে আসছিল যে, যেকোন দিন রাশিয়া আক্রমন করতে পারে কিন্তু রাশিয়া বরাবরই অস্বীকার করে আসছিল। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিদিনই খারাপ হতে শুরু করে।

শেষমেশ গত ২১ শে ফেব্রুয়ারী রাশিয়া দোনেটস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যদিও ২০১৪ সালেই পূর্ব ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এদুটি অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল, ২০২২ এ এসে পুতিনের এই স্বীকৃতি ইউক্রেন সংকটের হিসেব খুব দ্রুত পাল্টে দেয়।

দোনেটস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকার করেই পুতিন এই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দেয় শান্তি রক্ষার নামে। আর তার তিনদিন পরেই পুতিন সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে।

মূলত দোনেটস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়াটা ছিল ইউক্রেনের অভ্যন্তরে রাশিয়ার সৈন্যদের অবৈধ অবস্থান বৈধ করা। এভাবে ইউক্রেনের অংশকে স্বাধীন ঘোষণা করে সেখানে সামরিক অভিযান চালিয়ে  রাশিয়া মূলত আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন ফ্রেন্ডশীপ চুক্তি, বুদাপেস্ট মেমোরান্ডাম, মিনস্ক চুক্তি, সবগুলোরই লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া।

কিন্তু কেন সব চুক্তি বা আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে দোনেটস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল আর কেনইবা ইউক্রেনের ওপর এই সামরিক আগ্রাসন শুরু করল রাশিয়া?

ইউক্রেনের ন্যাটোভুক্তি ঠেকাতে পুতিন আক্রমন করেছেন

ইউক্রেন ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়া ফেডারেশনের অংশ। ভাষা, ধর্ম, জাতি, সব দিক থকেই রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। শীতল যুদ্ধে ভেঙ্গে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষত এখনও রাশিয়া বয়ে নিয়ে চলছে।

শীতল যুদ্ধে আমেরিকা ও ইউরোপ সফল ভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভেঙ্গে কয়েক টুকরা করে দেয়। আর এসবের মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ আর শক্তিশালী হল ইউক্রেন। ইউক্রেনের অবস্থান রাশিয়ার একদম কোলঘেষে, বলা চলে রাশিয়াপন্থি বেলারুশ, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল ও কৃষ্ণ সাগরের মাঝে অবস্থান। ফলে, ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই ভুখন্ড রাশিয়ার পাশাপাশি আমেরিকা ও ন্যাটোর জন্য খুব সুবিধাজনক একে অপরের ওপর খবরদারি বজায় রাখতে।

Let’s call Israel’s violence what it is: terrorism, not clashes

আমেরিকা ও ন্যাটো যদি এখানে কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে পারে তাহলে রাশিয়ার সীমান্তেই বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা বসাতে পারবে তারা। আর তাতে করে রাশিয়ার ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারবে ন্যাটো। ন্যাটোকে এই সুবিধা দিয়ে ইউক্রেনও সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে পারবে আর পূর্বাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করতে পারবে।

এমতাবস্থায় পুতিন নিশ্চয়ই তার প্রতিবেশীকে অন্যের খেলাঘর হতে দেবেন না?

ইউক্রেনের পশ্চিমা প্রেমে ইউরোপের বাজার রাশিয়ার বেহাত হতে দেবে না পুতিন

ইউরোপের মোট গ্যাস চাহিদার এক চতুর্থাংশই রাশিয়া সরবরাহ করে। আর রাশিয়ার মোট গ্যাস রপ্তানির প্রায় ৮০% ইউক্রেনের ওপর দিয়েই ইউরোপে প্রবেশ করে। রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানি মিলে যদিও ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ নামে বাল্টিক সাগরে ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নতুন একটি পাইপলাইন তৈরি করেছে, এখন পর্যন্তু গ্যাস সরবরাহের জন্য ইউক্রেনের ওপর নির্মিত পাইপলাইনগুলোই প্রধানত ব্যবহৃত হচ্ছে। ইউক্রেন যদি আমেরিকা-ন্যাটোর বলয়ে চলে যায়, রাশিয়ার এই পাইপলাইন হুমকির সম্মুখিন হবে। তাহলে সেটা রাশিয়ার জন্য মারাত্মক বিপদ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ করতে না পারলে রাশিয়ার বাজার আমেরিকা দখল করে নেবে। আর জার্মানি বা ফ্রান্সকে তখন রাশিয়ার দ্বিগুণ দামে আমেরিকা থেকে গ্যাস নিতে হবে যেটা জার্মানি বা ফ্রান্স কেউই চাইবে না।

ইউক্রেন সরকার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান পুতিন

ইউক্রেনের সরকারে নিয়ন্ত্রণ বসানো জরুরী ছিল রাশিয়ার জন্য। ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থি কোন প্রতিনিধি বসানো রাশিয়ার জন্য জরুরী, যাতে করে ইউক্রেনের সামরিক ও রাজনৈতিক নীতি নিয়ন্তণে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন করে বেলারুশের মত সরকার রাশিয়ার প্রক্সি সরকার হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য দোনেটস্ক ও লুহানস্কে ২০১৪ থেকেই রাশিয়া প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে আসছিল। যদিও তারা ২০১৪ সালেই স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল, এখন তাদের স্বীকৃতি দেয়াটাও জরুরী ছিল। এই সুযোগে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়াটাও পুতিন জায়েজ করে নিতে চাচ্ছেন পশ্চিমাদের কাছে।

মূলত দোনেটস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনের অভ্যন্তরে রাশিয়ার সৈন্যদের অবৈধ অবস্থান বৈধ করা। এতদিন রাশিয়া বেনামে লুহানস্ক ও দোনেটস্ককে সাহায্য-সহযোগিতা করলেও এখন আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বৈধভাবেই লুহানস্ক ও দোনেটস্ককে সাহায্য করতে পারবে। রাশিয়ার জন্য এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেন আক্রমনের ঘোষণা

এসব কারণেই রাশিয়া অসংখ্যবার আমেরিকা, ন্যাটোর কাছে দাবি জানিয়ে আসছে যেন ইউক্রনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত না করা হয়। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার দাবিকে অগ্রাহ্য করে আসছে বরাবরই। রাশিয়া গ্যারান্টি চাইলেও পশ্চিমারা এই গ্যারান্টি দিতে নারাজ যে, ইউক্রেন ন্যাটোতে অংশগ্রহণ করবে না। বরং তারা ইউক্রেনকে আরো বিভিন্ন রকম সামরিক সহায়তা দেয়া শুরু করে। তারা লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ডে সেনা, অস্ত্র মোতায়েন করে রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসনকে রুখতে।

Dictatorship and Human Rights: The Ongoing Struggle for Freedom

রাশিয়া ইউক্রেনকে বারবার সতর্ক করে দেয় ন্যাটোতে যোগ না দিতে। আমেরিকা ও ন্যাটোর সাথে দফায় দফায় দরকষাকষি চলে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে না নিতে। সেটা সামরিকভাবেই হোক আর রাজনৈতিকভাবেই হোক। ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি হলে সেটা রাশিয়ার জন্য বিপদজনক হবে। শুধু রাজনৈতিকই নয়, সেটা অর্থনৈতিকভাবেই বিপদজনক।

এমতাবস্থায় ইউক্রেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তি না করানোর দাবি নিশ্চিত না হওয়াটা পুতিন মেনে নিতে পারে নি। যেকোন মূল্যে ইউক্রেনের ন্যাটো অন্তর্ভুক্তিকে পুতিন থামাতে পুতিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একই সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে চান পুতিন। ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতাকাও দেখা গেছে রাশিয়ার সামরিক বহরে।

এমন প্রেক্ষাপটেই ২১শে ফেব্রুয়ারিতে দোনেটস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েই ওই অঞ্চলে সেনাবহর পাঠায়। ২৪ তারিখে কৃষ্ণ সাগর থেকে নৌবাহিনী, ক্রিমিয়া, দোনেটস্ক ও লুহানস্ক ও বেলারুশ থেকে স্থল ও আকাশ বাহিনী পূর্ণ শক্তিতে আক্রমণ শুরু করে করে। । শুরুতেই তারা সব ধরণের সামরিক স্থাপনা, বিমানবন্দর, রাডার, ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর হামলা করে। ত্রিমুখী আক্রমনে ইউক্রেন দিশেহারা হয়ে পড়ে। এবং পুতিন ঘোষণা দেন যে, কিয়েভে গত আট বছর ধরে যারা লাঞ্ছনা ও গণহত্যার শিকার হয়েছেন তাদেরকে কিয়েভ সরকারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই এই অভিযান। যেই হোক না কেন, কেউ যদি রাশিয়ার এই অভিযানে বাঁধা দেয় তাহলে সে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হবে যা কখনোই ইতিহাসে দেখেনি।

ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি

রাজধানী কিয়েভ থেকে মাত্র বিশ কিলোমিটার দুর পর্যন্ত রাশিয়ার সেনাবাহিনী চলে এসেছে। ইউক্রেনের আরো বেশ কয়েকটি শহর এরই মধ্যে রাশিয়ার কব্জায় এসেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন। ইউক্রেনের দাবি, ১৫০ টি ট্যাংক, ৭০০ সাজোয়া যান এবং ২৬ টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে। আর অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১০০০ টি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে ২৭ টি কমান্ড পোস্ট, ৩৮ টি বাক এম-১ ও ওসা আকাশ প্রতিরক্ষামূলক মিসাইল ব্যবস্থা এবং ২৬টি রাডার ধ্বংস হয়েছে। আর কয়েক হাজার সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন দুপক্ষেরই।

সামরিক বনাম অর্থনৈতিক যুদ্ধ

এখন পর্যন্ত আমেরিকা বা ন্যাটো কেউই ইউক্রেনের পক্ষে সক্রিয়ভাবে দাড়ায়নি। প্রত্যেকেই ইউক্রেন সীমান্তের পশ্চিম প্রান্তে দাড়িয়েই রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। রাশিয়ার বিভিন্ন আর্থিক, সামরিক ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোম্পানি এবং কয়েকজন ব্যক্তি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন। জার্মানির আপত্তিতে আন্তর্জাতিক ব্যাংক ব্যবস্থা ‘সুইফট’ সুবিধা রাশিয়ার জন্য বন্ধ করতে পারছে না। ফলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হতে সময় লাগছে।

Dictatorship and Human Rights: The Ongoing Struggle for Freedom

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আমেরিকা ও ন্যাটোর ২৬ টি দেশ ইউক্রেনকে অল্প পরিমানে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। রাশিয়ার বিমানের জন্য ইউরোপের প্রায় সবকটি দেশের আকাশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

  • আমেরিকা ৩৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জ্যাভেলিন ট্যাংক মিসাইল, এন্টি-এয়ারক্রাফট ব্যবস্থা ও অন্যান্য যুদ্ধ সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
  • জার্মানি ১০০০ টি এন্টি ট্যাংক গ্রেনেড লঞ্চার ও ৫০০ টি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য স্টিঞ্জার মিসাইল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
  • ডাচ সরকার ৫০ টি প্যাঞ্জারফস্ট-৩ এন্টি ট্যাংক অস্ত্র ও ৪০০ টি রকেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
  • ইউরকেনে যুদ্ধাহতদের বহনে আজারবাইজান বিনামূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করবে।

ন্যাটো ও আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়াও পালটা পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়াস্থিত পশ্চিমাদের সম্পদ জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।

এই যুদ্ধ কি এড়ানো সম্ভব?

ইউরোপ-আমেরিকা জানে যে, ইউক্রেনের খুব কম সম্ভাবনা আছে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার। তারপরেও তারা এটা স্বীকার করে নিচ্ছে না যে, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না। তারা জানেই যে, পুতিনকে যদি এই গ্যারান্টি দেয়া হয় যে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে নেয়া হবে না তাহলেই রাশিয়া আক্রমণ করত না। পশ্চিমারা সেটা করবেনা। তারা এটাকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে।

প্রথমত, এই সুযোগে ইউক্রেনের কাছে যত সম্ভব অস্ত্র বিক্রি করতে হবে। আপাতত ইউক্রেন ছাড়া আর কোথাও অস্ত্র বেচার জায়গা নেই। তাই ইউক্রেনকে হাতছাড়া করতে চাইবে না। যতদিন সম্ভব যুদ্ধকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে।

শরণার্থী সংকট নিয়ে নোয়াম চমস্কি

দ্বিতীয়ত, যদি এভাবে পুতিনকে ধৈর্য্যচ্যুত করে ন্যাটোভুক্ত কোন দেশে আক্রমন করানো যায়, তাহলে পুরো ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমন করার বৈধতা পাবে। তখন, ইউক্রেনকে ন্যাতোভুক্ত করা হোক না হোক, সরাসরি রাশিয়াকে ঘায়েল করা যাবে সম্মিলিতভাবে।

তৃতীয়ত, পুতিন যদি ন্যাটোর দেশগুলোতে আক্রমন নাও করে, ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ‘মানবাধিকার রক্ষায়’ ন্যাটো ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করে নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে যেতে পারে।

তবে খুব কম সম্ভাবনা আছে ইউক্রেন সংকটে ন্যাটোর জড়িয়ে পড়ার। যদিও ইউক্রেন জরুরী ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিইয়নে যোগ দেয়ার জন্য আপিল করেছে। ইউক্রেনের জন্য এত বড় ঝুঁকি ইউরোপ নেবে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন। তবে ইউরোপ ঝুঁকি নেবে কি নেবে না সেটা নির্ভর করছে রাশিয়ার পরবর্তি পদক্ষেপের ওপর। আর যদি যুদ্ধ শুরুও হয়ে যায় তাহলে সেটা হবে একুশ শতকে মানব সভ্যতার সবচেয়ে মানবেতর সংকট।

ভিডিওঃ রাশিয়া কেন ইউক্রেন আক্রমন করল?

লেখক

  • রাকিবুল ইসলাম, মেরুনপেপার

    রাকিবুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম সম্পন্ন করেছেন। রাজনীতি, আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ইতিহাস নিয়ে স্পষ্ট ও তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। ওয়ার্ডপ্রেসসহ ডিজিটাল প্রকাশনার মাধ্যমে তিনি পাঠককে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

    শেয়ার করুনঃ
    আরো আর্টিকেল পড়ুন
    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।
    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)
    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 
    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
    বিবিসির তদন্তে শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও: ‘যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করো’

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রমান মিলেছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।
    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল তার প্রকৃত কারণ

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
    সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

    আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।
    অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

    পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ “গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর”।

    এই আর্টিকেলগুলিও আপনি পড়তে পারেন

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    ইতিহাসের পাতায় যেসব মুহূর্ত স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তার মধ্যে বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্যতম।

    নিয়মিত আর্টিকেল পেতে

    সাবস্ক্রাইব করুন

    Scroll to Top
    ×