করোনায় অনলাইন ক্লাসঃ সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা

অনেকেরই ফোন নাই।এখানে মানসম্পন্ন ফোনের কথা না, এখানে উপযুক্ত ফোনের ব্যাপার। আপনি নিশ্চই জাভা বেজড ফোনে জুম ইনস্টল করে ক্লাস করতে পারবেন না। আর অনলাইনে ক্লাস কিভাবে করবে যারা ভাল ফোন না কিনে সেই বাজেট ল্যাপটপ কেনায় এডজাস্ট করে নিয়েছে? এটা অনেকেই করেছে, আমিও করেছিলাম। ফোন না কিনে ল্যাপটপ কিনেছিলাম। এখন আমার হাতে ফোন আছে, ল্যাপটপ আছে। কিন্তু যার নাই?
school, video conference, digitization-5711987.jpg

শুধু দুর্বল মোবাইল নেটওয়ার্ক কিংবা মোবাইল ডেটার উচ্চমূল্যই অনলাইন ক্লাসের বাধা নয়। কিছু শিক্ষার্থী বাদে বাকিরা সবাই কোন ধরণের প্রস্তুতি না নিয়েই বাড়ি ফিরেছে। কেউ ল্যাপটপ কেউবা বই-পত্র রেখেই চলে আসতে বাধ্য হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট,বইপত্র নাই, ইন্টারনেট ডেটার উচ্চমূল্য, মোবাইল/ল্যাপটপ নাই…আর আমরা সেজেছি করোনায় অনলাইনে ক্লাস করতে। মানে ঢাল-তলোয়ার কিছুই না নিয়েই করোনায় অনলাইন ক্লাস করতে নিধিরাম সর্দার সেজেছি!

অনেকেরই ফোন নাই।এখানে মানসম্পন্ন ফোনের কথা না, এখানে উপযুক্ত ফোনের ব্যাপার। আপনি নিশ্চই জাভা বেজড ফোনে জুম ইনস্টল করে ক্লাস করতে পারবেন না। আর অনলাইনে ক্লাস কিভাবে করবে যারা ভাল ফোন না কিনে সেই বাজেট ল্যাপটপ কেনায় এডজাস্ট করে নিয়েছে? এটা অনেকেই করেছে, আমিও করেছিলাম। ফোন না কিনে ল্যাপটপ কিনেছিলাম। এখন আমার হাতে ফোন আছে, ল্যাপটপ আছে। কিন্তু যার নাই? নাই, অনেকেরই নাই। বাকি অনেকেরই আছে। এই ‘অনেকেরই’  শব্দটার ব্যাপ্যতা কতখানি? হাজার দশেক কিংবা বিশ হাজার! না, তাদের সংখ্যা লাখেরও অধিক। তাদের এখন মোডেম কিনতে হবে,আলাদা সিম কিনতে হবে। সেটাও কিনলো, যাদের কিছুই নেই?  ‘আধুনিক বাংলাদেশে’র এই সময়েও অনেকে বই ফটোকপি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আসছে তাদেরতো বই পর্যন্ত নাই, এমন আশেপাশের ১০০ জনের মধ্যে আমি কমপক্ষে এমন ২০ জনের  নাম বলতে পারব যারা এভাবে ক্লাস করতে অপারগ।অনলাইনে কিভাবে কি করবে?

করোনায় অনলাইন ক্লাস, school, video conference, digitization-5711987.jpg

একটা ভাল উদ্যোগ হতে পারে যদি সরকারি টেলিকম অপারেটর টেলিটকে মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারই ডেটা প্রদান করে। খুব ভাল হবে। কিন্তু যেখানে বিদ্যুৎ না থাকলে টেলিটক মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্ভিস দিতে অক্ষম সেখানে কি হবে? এটা সত্যিই। বিদ্যুৎ  না থাকলে টেলিটক  ৩০ মিনিট থেকে আধা ঘন্টা পর সার্ভিস দিতে পারে না, ফোন ‘ইমার্জেন্সি কল অনলি’ হয়ে থাকে।এটার ভুক্তভোগী আমি নিজেই,  একটা উপজেলা সদরের ১ কিলোমিটার মধ্যে থেকেও।যেখানে মেইনটেনান্সের নামে দিনরাত লোডশেডিংয়ে একাকার হয়ে যায় সেখানে কিভাবে সম্ভব? টেলিক বাদ, অন্য অপারেটরগুলোর কি অবস্থা। ৪জি বাদ, ওটা পার্লামেন্টারিয়ান নেটওয়ার্ক, ওটায় জনসাধারণের মূলত কোন একসেস নাই, এখন পর্যন্ত জেলা সদরগুলোতেও মানসম্পন্ন  ৪জি নেটওয়ার্ক এভেইলেবল না,উপজেলা কথা আমরা নাই ভাবি। গ্রামীনফোনে রাত ৩ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত লাইভে থাকার মতো ইন্টারনেট স্পীড পাওয়া যায়। আর ডেটার মূল্য সম্পর্কে আমার বলতেই হবে না, সরকার এবং বিটিভি ছাড়া সবাই জানি। বাকিদের মধ্যে বাংলালিংকে মূল্য তুলনামূলক কম গ্রামীনফোন থেকে কিছু প্যাকেজের ক্ষেত্রে।
স্কাইপে এইচডি রেজুলেশনের জন্য ইন্টারনেটের স্পিড হতে হবে ১.২ এমবিপিএস। জুমের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে ৩ এমবিপিএস। জুমে লাইভ স্ট্রিম করতে অবশ্যই কমপক্ষে ৩জি নেটওয়ার্ক থাকতে হবে। আমরা এইচডির কথা বাদ দেই। আমাদের নেটওয়ার্কের হাল-হকিকত আমরা জানি। যেখানে আমরা ৩জি তেও ১২৮ কেবি/সে.  ইন্টারনেট স্পীড পাইনা সেখানে কিভাবে ক্লাস করব? 

করোনায় অনলাইন ক্লাসের বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে কি কি?

বই- পত্র সাথে না থাকা

শিক্ষার্থীরা বই-পত্র ছেড়ে আসছে।এগুলো নিজ এলাকায় এভেইলেবল না। এগুলো এত দামে কেনাও সম্ভব না। যারা ফটোকপি করে পড়াশোনা চালিয়ে যেত তারা পুরোপুরি অক্ষম। এই বইগুলোর অভাব কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভব না। বই-পত্র ছাড়া পড়াশোনা করার মতো অত্যাধিক বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থী আমাদের মধ্যে হয়ত লাখে ২ জন আছে। যাদের ৩০০০ টাকার টিউশনি করিয়ে মাস চলে যেত তাদের সাথে আর যাইহোক এহেন তামাশা করার কোন সু্যোগ নেই।

দুর্বল ইন্টারনেট

নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট অপরিহার্য্য । স্পীডের যে অবস্থা সেখানে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ক্লাসে অংশগ্রহণ অসম্ভব। ভিডিও অফ করেই ক্লাস করতে যে পেরেশানি,  ভিডিও অন করলে কি অবস্থা হয় সেটা আপনি জুম ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন। ক্লাসে অংশগ্রহনে অংশগ্রহনে নিরুৎসাহিত করবে এই ইন্টারনেট সংযোগের দূর্বলতা।

উপযুক্ত ডিভাইস না থাকা

কারো ফোন নেই, তো কারো ল্যাপটপ নেই এমনকি কারো এদুটোর একটাও নেই। ল্যাপটপ  থাকা জরুরী না। উপযুক্ত মোবাইলই অনলাইন ক্লাসের উপযুক্ত, কিন্তু যাদের সেই উপযুক্ত ফোন নেই, তারা কি করবে!

বিদ্যুৎ বিভ্রাট

বিভাগীয় শহর কিংবা জেলা শহর গুলোতে হয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট কম সেখানে কাজ চালিয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু উপজেলা গুলোর যে দৈন্যদশা সেখানে কি হবে? একটা উপজেলার কথা বলি, পাটগ্রাম, যেখানে আকাশে রোদ কড়া হলে কিংবা আকাশে শরতের মেঘ ওড়া শুরু হলেই বিদ্যুৎ যায়।  আর সেখানে বিদ্যুৎ একবার হলে ৩-৭ দিন পর্যন্ত আসার নাম করেনা, সেখানে কি হবে? পাটগ্রামের বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার এই কথা জানতেন? পাটগ্রাম একটা মাত্র উপজেলা, এটা বাদ। আপনার নিজ জেলার জেলা শহর বাদে বাকি উপজেলা গুলোর বিদ্যুৎ  বিভ্রাটের দিকে তাকিয়ে ভাবুন…কি দশা সেখানে।

ইন্টারনেট ডেটার উচ্চমূল্য

সবচেয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব মোবাইল অপারেটর বলা চলে টেলিটককে। তারা মোটামুটি কম দামেই ডেটা বিক্রি করে। ১০ জিবি ৯৭ টাকাতে তারা দিচ্ছে, কিন্তু  নেটওয়ার্ক উন্নত মানের নয়। কিন্তু অন্য অপারেটরগুলো? তারাতো একরকম ডাকাতি করে ইন্টারনেট ডেটার চার্জ করতে। ডেটার দাম সম্পর্কে যাচাই করতে প্রত্যেক অপারেটরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে পারেন, যাচাই করে দেখেন।

How Sikkim became a part of India?

সাইবার সিকিউরিটি

আমাদের গণতান্ত্রিক দেশতো, তাই কথা বলাটা একটু বেশিই ঝুকিপূর্ণ। এই ধরুন, আমি শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো তুলে ধরলাম, আমাকেই হয়তো কেউ ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বলে বসবে। আমার এই কথাতেই যদি এই অবস্থা হতে পারে তাহলে শিক্ষকদের নিরাপত্তা কোথায়? আমি বলছিনা শিক্ষকরা রাষ্ট্রদ্রোহ বা তদরূপ কোন কাজ করবেন কিন্তু যখন ইন্টারনেট নির্ভর ক্লাসের কথা আসে, তার সাথে সাথে সেটার নিরাপত্তা নিয়েও কথা আসে। জুম’এর অনেক ভালোর সাথে খারাপেরও উদাহরণ আছে এর নিরাপত্ত নিয়ে। এখানে ক্লাস শুধু একটা ইন্সটিটিউটের হবে না। লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ক্লাস, হাজারো ইন্সটিটিউটের ক্লাস, হাজারো শিক্ষক এটার সাথে সম্পৃক্ত হবেন। এটা নিশ্চই কোন মামুলি ব্যাপার নয়। এখানে প্রত্যেকের বস্তুনিষ্ঠ-যৌক্তিক মতপ্রকাশের, প্রচারের অবাধ স্বাধীনতা থাকতে হবে, ইন্টারনেটে তাদের নিরাপত্তা থাকতে হবে,শিক্ষক হোন আর শিক্ষার্থীই হোন না কেন।

সমাধান কি হতে পারে?

যাইহোক, সব কিছুর আগে মূল কথা হলো, আমাদের অনলাইনে ক্লাস করতে হলে আগে সেই সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে, সমস্যা গুলোর সমাধান করতে হবে। আমরা তো কেউ সরকারি কর্মকর্তা না যে অনলাইন মিটিংয়ের সময়ে ৪ লাখ টাকার নাস্তা বিল করব কিংবা খাতা কলম কিনতে লাখ টাকা খরচ করব। সেসব শিক্ষার্থীদের ইন্টারেস্টে নাই। তাদের ইন্টারেস্ট তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে, সেটার সুব্যবস্থাপনা নিয়ে। অনলাইনে ক্লাস হোক আর ভিডিও তৈরীর মাধ্যমে হোক, ক্লাস এটাই চাওয়া। যেভাবেই হোক, কোন কিছু যাতে থমকে না থাকে।

অনলাইনে ক্লাসের একটা কার্যকরী বিকল্প হতে পারে অফলাইনে শিক্ষকদের নিজেদের ক্লাস নিজেরাই রেকর্ড করে সংশ্লিষ্ট সার্ভারে আপলোড করে দেয়া। তাতে করে অনলাইনে সংযুক্ত হওয়ার বিড়ম্বনাটা থাকবে না। যার অনলাইনে সংযুক্ত হওয়ার কোন উপায় নাই সে শিক্ষার্থী চাইলেই তার নিজ এলাকার কোন কম্পিঊটার/ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবে। অনলাইনে লাইভ সংযুক্ত হওয়ার যে বিড়ম্বনা বা ডিভাইস না থাকার যে সমস্যা সেক্ষেত্রে এটা খুব কার্যকরী একটা বিকল্প হতে পারে।

Read More: লাদাখের গালওয়ানে চীন-ভারত সংঘর্ষঃ টক্করে কে জিতবে?

আরেকটা বিষয়, অনলাইনে ক্লাস চলুক। সেই সাথে যাদের বিভিন্ন পরীক্ষা আটকে আছে, বর্ষোত্তীর্ণ /সেমিস্টার পরীক্ষা সেটা যাইহোক তাদের একটা বিহিত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এমনটা করা যেতে পারে যে শুধু পরীক্ষার্থীদেরকে ইন্সটিটিউটে পরীক্ষা প্রদানের জন্য প্রবেশের অনুমতি দিয়ে পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। অর্থাৎ,  একটা ইন্সটিটিউটে সবারই তোর পরীক্ষা আটকে নেই,  শুধু যাদের পরীক্ষা শুধু তারাই ইইন্সটিটিউটে যাবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে, দরকার হলে আগে যেখানে এক/দুই ক্লাসরুমে পরীক্ষা নেয়া হতো এখন সেখানে চারটা রুমে বসিয়ে পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। এতে করে অভাগা ছাত্রদের আদুভাই হওয়া বা মারাত্মক সেশনজট থেকে হয়ত বাঁচানো যেতে পারে।

চাঁচাছোলা কথা

আমরা একটা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছি যেখানে আমাদেরকে সিস্টেমের সাথে গিরগিটির মত রং বদলিয়ে চলতে হচ্ছে। আমরা গিলছি আর উগড়ে দিচ্ছি, কিছুই থাকছে না। আমরা তরলের মত নিজের স্বকীয়তাকে পাত্রের আকৃতির কাছে বিলিয়ে দিচ্ছি। আজ পর্যন্ত কয়জন শিক্ষার্থী এই করোনা পরিস্থিতিতে তার ইন্সটিটিউটের একজন শিক্ষকের ফোন পেয়েছে? কেউ জানতে চেয়েছিল কি হালে আছে তার শিক্ষার্থীরা বা তার পরিবার? করোনাতো দুরের কথা স্বাভাবিক সময়গুলোতে মাননীয় শিক্ষকগণ কয়জনকে কাছে ডেকে নিয়ে জানতে চেয়েছেন তার পড়াশোনার কথা,তার আর্থিক অবস্থার কথা?  শিক্ষার্থীদের  কথা এই সময়গুলোতে মনে পড়েনা, শুধু বার্ষিক ফি,ভর্তি ফি,এই ফি, সেই ফী….এসবের বেলায় মনের মধ্যে গাঁথা থাকে। আমি স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছি। আসলে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্কটা হয়েছে জনগনের সাথে সরকারের সম্পর্কের মতো। সরকার যেমন পাঁচ বছর অন্তে নির্বাচনের বেলায় জনগণের কথা ‘ভাবে'(!) তেমনি শিক্ষকদেরও অবস্থা। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য নয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার  দুর্ভাগ্য। আজ তারা যেমন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকেন না, তেমনি শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের পাশে থাকেন না। এটা বাস্তবতা, মানা না মানার ওপর এটার বাস্তবতা নির্ভর করে না।

What is the rule of law and why is it important in a democratic society?

আমাদের মধ্যে গোমরাহি আছে, থাকবে। আমরা কেউ হয়তো এক শিক্ষকের কাছে ভিড়তে পারি আবার অন্যের চক্ষুশুলও হতে পারি। আমরা একজন হয়তো আরেকজনকে শিক্ষকের কাছে বিকৃতরূপে উপস্থাপন করি নিজের গোস্বার কাছে হেরে গিয়ে। আমরা সহ্য করতে না পেরে কানকথা বলি, কানকথায় বিশ্বাস করে চিলের পিছে ছুটি কান হারিয়ে গেছে বলে,দিনশেষে হয়ত খুঁজে দেখি কান কানের জায়গাতেই আছে মাঝ খানে শুধু সম্পর্কের অবনতি,আন্তরিকতা অবনতি…এসব হয়, অস্বীকার করতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে এসবই সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় যে, এক শিক্ষার্থী তো আরেক শিক্ষার্থীর পেছেনে বাঁশ দেয়ই, সেখানে কিছু ‘শিক্ষক’ও অংশগ্রহন করে। লজ্জা,লজ্জা।ওনারাই হয়তো বড় গলায় ক্লাসে লেকচার দেবেন তোমরা সবাই সমান, ভাল কিছু কর…। আফসোস, বড়ই আফসোস, পরিত্রানও পাইতে চাইনা এসব থেকে!

প্রত্যেকটা ব্যাবস্থারই ভাল-মন্দ দিক থাকে, ভালটাকে নিয়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এগোতে হয়। এক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। শুধু নির্দেশ জারি করে স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা প্রদান না করে বসে থাকলে চলবেনা। গত ৯ই জুলাই ক্লাস শুরু হওার কথা থাকলেও বিভিন্ন প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পেরিয়ে যাচ্ছে অনেকটা সময়। এটা অব্যবস্থাপনার ফলাফল। ব্যাপারটা বাংলাদেশের করোনাকে প্রতিরোধ করার প্রস্তুতির মত হয়ে গেছে। এগুলোর দায় নিয়ে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। নাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মতো এখানেও কোটি কোটি টাকা বিনষ্ট হবে। দোষ না চাপিয়ে বরং এটা চেষ্টা করতে হবে যেন কোন দোষের কাজ না হয়। সুস্থ সুন্দর মননে এদেশের শিক্ষা, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সর্বপরী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে, কাজ করতে হবে। তামাশা করলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মতো আরেকটা দগদগে ঘা সৃষ্টি হবে।

লেখক

  • রাকিবুল ইসলাম, মেরুনপেপার

    রাকিবুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম সম্পন্ন করেছেন। রাজনীতি, আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ইতিহাস নিয়ে স্পষ্ট ও তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। ওয়ার্ডপ্রেসসহ ডিজিটাল প্রকাশনার মাধ্যমে তিনি পাঠককে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

    শেয়ার করুনঃ
    আরো আর্টিকেল পড়ুন
    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।
    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)
    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 
    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
    বিবিসির তদন্তে শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও: ‘যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করো’

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রমান মিলেছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।
    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল তার প্রকৃত কারণ

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
    সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

    আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।
    অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

    পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ “গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর”।

    এই আর্টিকেলগুলিও আপনি পড়তে পারেন

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    ইতিহাসের পাতায় যেসব মুহূর্ত স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তার মধ্যে বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্যতম।

    নিয়মিত আর্টিকেল পেতে

    সাবস্ক্রাইব করুন

    Scroll to Top
    ×