বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার

প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে পড়ছে তাজা তাজা প্রাণ। সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে বিভৎস লাশের ছবি। এমন কোন দিন নেই যে দিনে কোন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছেনা।
3 BAEC officials among 4 killed in Savar road crash

প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে পড়ছে তাজা তাজা প্রাণ। সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে বিভৎস লাশের ছবি। এমন কোন দিন নেই যে দিনে কোন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছেনা। দিনে দিনে এসব দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। কিন্তু কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা চোখে পড়ে না কার্যত। বছর শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিংবা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিবৃতিই যেন ভুক্তভোগীদের একমাত্র প্রাপ্তি হয়ে দাড়াচ্ছে কিংবা ১ লাখ দু লাখ সরকারী ক্ষতিপূরণ। কিন্তু একজন নাগরিকের অকাল মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কি টাকার অংকে মেলানো সম্ভব? একজনের মৃত্যু শুধু সেই ব্যক্তির অনুপস্থিতিই নির্দেশ করেনা, তার ওপর নির্ভর করা পরিবারটাই অধিকাংশ সময়ই বিলীন হয়ে যায় যা চূড়ান্ত ভাবে গোটা সমাজকে বিনষ্ট করছে। অবস্থা এমন হয়েছে যেন সড়ক দুর্ঘটনাই বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ‘মহামারি’! এই নিবন্ধে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব।

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা

সত্যিকার অর্থে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান কি দাড় করানো সম্ভব?

২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে দেড় হাজার। গণমাধ্যমে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ ও সংগঠনের বিভিন্ন শাখা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন দিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নামের সংগঠন। নিসচা’র তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার হাজার ৭০২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ হাজার ২২৭ জন নিহত হয়। এর আগের বছর ২০১৮ সালে তিন হাজার ৩৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে প্রাণ হারায় চার হাজার ৪৩৯ ব্যক্তি। ২০১৮ সালের তুলনায় এক হাজার ৫৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে ২০১৯ সালে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৭৮৮ জন বেশি। ২০১৯ সালে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে তবে কমেছে আহতের সংখ্যা। ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার আটজন আহত হয় আর ২০১৯ সালে আহত হয় ছয় হাজার ৫৩ জন।

Nature of Bengalis

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা, accident, crash, tree-2161956.jpg

২০২০ সালে দেশে চার হাজার ৭৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ৪৩১ জন নিহত এবং সাত হাজার ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন বলে রোডটি সেফটি ফাউন্ডেশনের ‘সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২০’ এ বলা হয়েছে। নিহত পাঁচ হাজার ৪৩১ জনের মধ্যে ৮৭১ জন নারী ও ৬৪৯ জন শিশু। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। প্রাণহানি বেড়েছে চার দশমিক ২২ শতাংশ এবং আহতের হার বেড়েছে তিন দশমিক ৮৮ শতাংশ। আগের বছরে তুলনায় ২০২০ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালে দুই মাস সড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার পরেও দুর্ঘটনা ২০১৯ সালের তুলনায় বেড়েছে। (ডেইলি স্টার)

Dictatorship and Human Rights: The Ongoing Struggle for Freedom

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ‘বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০২১’-এ বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৬ হাজার ২১৩টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯ হাজার ৭৫১ জন। ৪০২টি রেল দুর্ঘটনায় ৩৯৬ জন নিহত এবং নৌপথে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ৩১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সালে সড়ক পথের পাশাপাশি রেলপথে ৪০২টি দুর্ঘটনায় ৩৯৬ জন নিহত, আহত ১৩৪ জন। নৌ-পথে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ৩১১জন নিহত, আহত ৫৭৮ জন এবং ৫৪৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এর আগের বছর ৪ হাজার ৮৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৮৬ জন। আর আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৬০০ জন। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত যানবাহনের ০.৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেলে, ০.৭৬ শতাংশ কার-জিপ মাইক্রোবাসে ০.২১ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ২.৩৬ শতাংশ বাস দুর্ঘটনা, ১ শতাংশ নসিমন-মাহিন্দ্রা-লেগুনা দুর্ঘটনা, ০.৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক দুর্ঘটনা কমেছে।(প্রথম আলো/ দৈনিক ইনকিলাব)

২০২২ সালে, বাংলাদেশে মোট ৬,৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল, যার ফলে ৯,৯৫১ জন নিহত এবং ১২,৩৫৬ জন আহত হয়েছিল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৬,২৬১টি। এতে প্রাণ হারায় ৭,৯০২ জন এবং আহত হয় ১০,৩৭২ জন। গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমলেও, এখনও এটি একটি বড় সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ কি?

সড়ক দুর্ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কারণ গুলো খুঁজতে গেলে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাওয়া যায়। সড়ক দুর্ঘটনার যেসব কারণ সচরাচর চোখে পড়েঃ

  • চালকের অসতর্কতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো: অনেক চালক অসতর্কভাবে গাড়ি চালায়, যা দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
  • ফিটনেসবিহীন যানবাহন: বহু যানবাহনের ফিটনেস নেই, যা সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
  • ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থা: সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নের অভাব রয়েছে।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালক: অনেক চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালায়।
  • ওভারটেকিং ও ট্রাফিক আইন অমান্য করা: নিয়ম না মেনে গাড়ি ওভারটেক করা ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ।
  • রাস্তা বা ফুটপাত দখল: ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের ফলে পথচারীরা রাস্তায় চলাচল করতে বাধ্য হন।

What is cultural aggression? How does it threaten world cultural diversity?

সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায় কি?

প্রশাসন যদি সড়ক দুর্ঘটনার এই কারণগুলো পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে নীতি-নির্ধারণ করে তাহলেই সড়ক দুর্ঘটনার হার কমানো সম্ভব। সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের জন্য নিম্নোক্ত করণীয়গুলো নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারেঃ

  • প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ: গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন বাজার, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, কার্যালয় ইত্যাদির কাছে ফুটওভার ব্রিজ বা ভূগর্ভস্থ সড়ক নির্মাণ করতে হবে।
  • লেনে গাড়ি চলাচলের নিয়ম: গাড়ির ধরন অনুযায়ী পৃথক লেন নির্ধারণ করতে হবে এবং আইন মেনে চলতে হবে।
  • ধীর গতির গাড়ি নিষিদ্ধকরণ: মহাসড়কে ধীর গতির গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হবে।
  • ড্যাশক্যাম বাধ্যতামূলক করা: যানবাহনে ড্যাশক্যাম রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে যাতে দুর্ঘটনার কারণ তদারকি করা যায়।
  • চালকদের ক্লান্তি ও নেশা পরীক্ষা: চালকরা ক্লান্ত, অসুস্থ বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে পারবেন না। প্রয়োজনে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে চালকদের যাচাই-বাছাই করতে হবে।
  • সঠিক ওভারটেকিং নিয়ম: ওভারটেকিং করার সময় হর্ন বাজিয়ে সংকেত দিতে হবে এবং সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হবে।
  • মোড়গুলোতে গতিসীমা নির্ধারণ: রাস্তার মোড়গুলোতে গতিসীমা নির্ধারণ করে গাড়ি চালকদের সাবধান করতে হবে।
  • স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা: ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
  • লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধ: ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে এবং লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে।
  • ফুটপাত দখলমুক্ত করা: ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।
  • গাড়িচালকদের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা: চালকদের প্রশিক্ষণ ও মানসিক কাউন্সিলিং করতে হবে এবং আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে।
  • রোড স্ক্যানিং ও বিশ্লেষণ: রাস্তার বিশ্লেষণ বা রোড স্ক্যানিং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • রাজনৈতিক দুর্নীতি থেকে মুক্তি: পরিবহন খাতসহ প্রত্যেকটি খাতকে রাজনীতিকরণ থেকে মুক্ত রাখতে হবে।

এসবের পাশাপাশি পরিবহনে সেবা ও নিরাপত্তার মান পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের সব মন্ত্রী, সংসদ সদস্য সচিব, জেলা প্রশাসকদের প্রতিমাসে একদিন পরিচয় গোপন রেখে গণপরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। তাহলে তারা সরেজমিনে রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি অনুধাবণ করতে পারবেন। সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের তাগাদা অনুভব করতে পারবেন। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরি পদক্ষেপ হতে পারে।

সরকারকেই দায় ও দায় থেকে মুক্তির উদ্যোগ নিতে হবে

২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চনের মৃত্যুর দিনটিকে ‘নিরাপদ সড়ক দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছিল ২৬ বছর ধরে। ওই দাবির সঙ্গে যুক্ত হয় আরো অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। বলা যায়, মর্মান্তিক মৃত্যু ও তা থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য দিবসটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

তবে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট নিরাপদ সড়কের দাবি নিয়ে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে; কিন্তু তাদের আন্দোলন ও দাবি উপস্থাপন সত্ত্বেও নিরাপদ সড়ক এখনো নাগালের বাইরেই রয়েছে। অর্থাৎ পরিবহন খাতে দুষ্টচক্রের দৌরাত্ম্য এখনো বন্ধ হয়নি। ২০১৭ সালে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সাবধানে চালাব গাড়ি, নিরাপদে ফিরব বাড়ি’। দিবসটি পালিত হলেও ২০১৮ সালে স্কুলছাত্ররা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেনি। ২০২২ এ এসেও এখনো আমাদের কাছে নিরাপদ নয় সড়কগুলো। সড়ক দুর্ঘটনা সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া রোধ করা অসম্ভব। সরকার, চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতা যদি না বাড়ে তাহলে তাহলে শুধু আইন দিয়ে কোন লাভ হবেনা। ৫৪ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে পথচারীদের কারণে। তাই সচেতনতা ও আইন দুটোরই প্রয়োজন রয়েছে।

How Sikkim become a part of India?

অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার দায় ও দায় থেকে মুক্তির উদ্যোগ, দুটোই সরকারকে নিতে হবে। এই সমাধান করতে হলে সরকারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থাই একটি হলো দেশের সুষম ও টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত । এটাকে পাশ কাটিয়ে আকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে লাভ নেই। পায়ের তলার রাস্তা ঠিক না থাকলে মাথার ওপরের রাস্টা টেকসই হবে না কখনোই। জাতীয় স্বার্থে সেজন্যই সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের মনোযোগী ও বাস্তবমূখী হতে হবে।

সড়ক দুর্ঘটনার এই হিসেব গুলো মনগড়া নয়। প্রত্যেকটা জীবনের মূল্য আছে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় এই জীবন সাধারণ কোন সম্পত্তি নয়, অমূল্য সম্পদ। একটু সতর্কতা, একটু নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো, একটু ধৈর্যধারণই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটাকে হারিয়ে দিশেহারা হওয়া থেকে বেঁচে যাবে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারগুলো। স্বজন হারানোর ক্ষত নিয়ে কাঁটাতে হবেনা বাকিটা জীবন। আসুন সবাই সড়ক ট্রাফিক আইন মেনে চলি, অন্যকে মানতে উদ্বুদ্ধ করি, সচেতনতা বৃদ্ধি করি। মনে রাখতে হবে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।

লেখক

  • সানজিদা সীমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ ও এমএ সম্পন্ন করেছেন। ইতিহাসের প্রতি তাঁর আগ্রহ পাঠকদের সামনে তুলে ধরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাস্তব বিশ্লেষণ। তাঁর লেখনীতে ইতিহাস শুধু অতীত নয়, বর্তমানকে বোঝারও সহায়ক হয়ে ওঠে।

    সানজিদা সীমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে বিএ ও এমএ সম্পন্ন করেছেন। ইতিহাসের প্রতি তাঁর আগ্রহ পাঠকদের সামনে তুলে ধরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাস্তব বিশ্লেষণ। তাঁর লেখনীতে ইতিহাস শুধু অতীত নয়, বর্তমানকে বোঝারও সহায়ক হয়ে ওঠে।

    শেয়ার করুনঃ
    আরো আর্টিকেল পড়ুন
    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।
    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)
    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 
    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
    বিবিসির তদন্তে শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও: ‘যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করো’

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রমান মিলেছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।
    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল তার প্রকৃত কারণ

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
    সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

    আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।
    অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

    পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ “গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর”।

    এই আর্টিকেলগুলিও আপনি পড়তে পারেন

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    ইতিহাসের পাতায় যেসব মুহূর্ত স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তার মধ্যে বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্যতম।

    নিয়মিত আর্টিকেল পেতে

    সাবস্ক্রাইব করুন

    Scroll to Top
    ×