আমেরিকায় চীনা ছাত্ররা নিষিদ্ধ!

চীন থেকে প্রতি বছরই অনেক শিক্ষার্থী আমেরিকায় পাড়ি জমায় শিক্ষার জন্য।অনেকেই পড়া শেষে বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানে চাকরীতে ঢুকে যান। আর তাদের এই প্রবণতাটা স্বভাবতই বেশি কারণ তাদের বিভিন্ন ইন্টেলেকচুয়াল প্রজেক্টে কাজ করার দক্ষতা এবং আত্মোৎসর্গ  করার মানসিকতার জন্য। কিন্তু গত ৩০ মে ট্রাম্প প্রশাসন একটা নির্বাহী আদেশ জারি করে চীনা গ্রাজুয়েট ছাত্রদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ।
চীনা ছাত্র, আমেরিকা, CGTN U.S. bans some Chinese students from entering its borders

চীন থেকে প্রতি বছরই অনেক শিক্ষার্থী আমেরিকায় পাড়ি জমায় শিক্ষার জন্য।অনেকেই পড়া শেষে বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানে চাকরীতে ঢুকে যান। আর তাদের এই প্রবণতাটা স্বভাবতই বেশি কারণ তাদের বিভিন্ন ইন্টেলেকচুয়াল প্রজেক্টে কাজ করার দক্ষতা এবং আত্মোৎসর্গ  করার মানসিকতার জন্য। কিন্তু গত ৩০ মে ট্রাম্প প্রশাসন একটা নির্বাহী আদেশ জারি করে চীনা গ্রাজুয়েট ছাত্রদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে । অভিযোগ চীনা ছাত্ররা তাদের সরকার ও সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ(intellectual property) অবৈধভাবে সংগ্রহ করে পাচার করছে। 

এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা বলতে হলে কয়েকটা প্রশ্ন মাথায় আসে শুরুতেই।যেগুলো নিয়ে ভাবলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

  • অভিযোগটা আসলে কি?
  • এর পেছনে অন্য কোন বিষয় কলকাঠি নাড়ছে নাতো? 
  • এই নিষেধাজ্ঞায় আসলে কার কতটুকু লাভ বা ক্ষতি?

চীনা ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগটা আসলে কি?

যেসব স্নাতক পর্যায়ের এবং গবেষণার জন্য চীনা ছাত্র আমেরিকার স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক এবং গণ চীনের সুগঠিত ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর তথ্যপ্রযুক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ( intellectual property) অবৈধভাবে সংগ্রহ করে সেনাবাহিনীতে পাচার করছে যার মাধম্যে চীনা সেনাবাহিনী নিজেদের আধুনিকায়ন করছে। এসব অভিযোগ ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জারি করেছে । এই আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন আমেরাকায় চীনা ছাত্রদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে যেখানে এফ এবং জে ক্যা্টাগরির ভিসা অন্তর্ভুক্ত তবে স্নাতক ছাত্র ও গ্রীন কার্ড ধারীরা এর আওতায় পড়বেনা।

চীনা ছাত্র, আমেরিকা, CGTN U.S. bans some Chinese students from entering its borders

লাদাখের গালওয়ানে চীন-ভারত সংঘর্ষঃ টক্করে কে জিতবে?

বেশিরভাগ চীনা শিক্ষার্থী আমেরিকায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত বিষয়ে ডিগ্রি নেয়, ব্যবসা আসে পরের ধাপে। আমেরিকার দাবী হচ্ছে চীনের সেনাবাহিনীর সাথে সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আরো গভীর সম্পর্ক আছে, চীনের ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তি এবং চুরির অভিযোগও রয়েছে। শুধু শিক্ষা প্রদানেই সেই সম্পর্ক থেমে নেই বরং সেনাবাহিনীর সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এমনকি গণচীনের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ আছে সেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কে দেশের বাইরে পড়তে যাবে কি যাবেনা। অনেক সময় বাইরে পড়ার খরচ যোগায় সরকার আর সেটার পূর্ব শর্ত হলো চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন তালিকা প্রকাশ না করলেও মোটামুটি ৭ টা প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাওয়া যায় এই সন্দেহের ক্ষেত্রে। এদেরকে  Seven Sons of National Defence বলা হয়ে থাকে।এই ইন্সটিটিউটগুলো বিভিন্নভাবে  জাতীয় ডিফেন্স সেক্টরের বা State Administration of Science, Technology and Industry for National Defense (SASTIND) অধীন । 

Seven Sons of National Defence

  • বেইজিং ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (Beijing Institute of Technology)
  •  হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি (Harbin Engineering University)
  • বেইহাং ইউনিভার্সিটি (Beihang University)
  • হারবিন ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (Harbin Institute of Technology)
  • নানজিং ইউনিভার্সিটি অব এরোনটিক্স এন্ড এস্ট্রোনটস (Nanjing University of Aeronautics and Astronautics)
  • নানজিং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (Nanjing University of Science and Technology)
  • নর্থ ওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি (Northwestern Polytechnical University)

প্রতি বছর এই ইন্সটিটিউটগুলো থেকে গড়ে প্রায় ১০০০০ গ্রাজুয়েট জাতীয় ডিফেন্স সেক্টরে যোগদান করে। অস্ট্রেলিয়ার ASPI’s International Cyber Policy Centre এর ২০১৮ সালের রিপোর্ট বলছে People’s Liberation Army(PLA) বা গণচীনের সেনাবাহিনী বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বেশ ভালভাবেই সম্পৃক্ত থাকে বিভিন্ন গবেষণাধর্মী কাজের জন্য। এই রিপোর্ট অনুযায়ী চীন ৫ টা দেশকে টার্গেট করেছে তাদের শিক্ষার্থীদের সেসব দেশে পাঠানোর জন্য যারা সেনাবাহিনীর হয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে । দেশগুলো হলো আমেরিকা, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। গণচীন ২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ বিজ্ঞানীকে চীনের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে প্রশিক্ষণ ও কাজের জন্য এবং সেখান থেকে লব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা গণচীনের সেনাবাহিনীকে সরবরাহ করে। 

ম্যালকম এক্সঃ আসামী থেকে ধর্মীয় নেতা

আমেরিকার বিচার বিভাগ ও এফবিয়াই – এর আশঙ্কা এসব চীনা শিক্ষার্থীদের চীনা সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েই পাঠিয়েছে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পাচার করার জন্য। এখানে অনেকেই যেমন আশংকা করেন যে চীন এসবের মাধ্যমে আমেরিকাকে ইন্টেলিজেন্স থ্রেটের মধ্যে রাখছে আবার অনেকে তাদেরকে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থার জন্য সম্ভাব্য এজেন্ট মনে করেন যাদেরকে আমেরিকার স্বার্থে ব্যবহার করা সম্ভব। যদি তাদের আসা বন্ধ করে দেয় , আমেরিকা মূলত চীনের সেনাবাহিনীতে এদেরকে ব্যবহার করার সুযোগ হারাবে ।

আমেরিকা চীনের ওপর ক্ষুব্ধ আরেকটা বিষয়ে, চীনের “থাউজেন্ড ট্যালেন্ট প্লান” (Thousand Talents Plan)। এটি এমন একটি ক্যাম্পেইন যা আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকদের শিক্ষা, গবেষনা এবং শিল্প খাতে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে আকৃষ্ট করছে। 

কনফুসিয়ায় মতবাদ নিয়েও আমেরিকার আপত্তি যে চীন এর প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং তথ্য সংগ্রহ করছে যদিও চীন সরকার তা অস্বীকার করেছে। 

চীনা ছাত্রদের নিষিদ্ধ করা নাকি আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনকে চাপ প্রয়োগ করাটা মূল উদ্দেশ্য? 

আগে থেকেই হংকং ইস্যুতে চীনের সাথে আমেরিকার দ্বন্দ্ব চরমে। এতে ঘি ঢেলে দিল ক’দিন আগে চীন হংকংকে নিয়ে কিছু আলোচিত পদক্ষেপ , যাতে স্বভাবতই আমেরিকা ক্ষুব্ধ, তার স্বার্থের জন্য সেটা বৈধ কি অবৈধ সেটা পরের কথা। স্বশাসিত হংকংয়ে নিজেদের রাশ টেনে ধরতে ওই এলাকাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনছে চীন। গত বছর টানা কয়েকমাস ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সহিংসতার হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, বৈধ সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখতে হংকং- এর মিনি সংবিধানের আর্টিকেল ২৩ অনুযায়ী,গত বৃহস্পতিবার চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের দুই হাজার ৮৭৮ জন প্রতিনিধি স্ট্যান্ডিং কমিটির আনা খসড়া বিলের পক্ষে ভোট দিয়ে এ নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে। এর আগে ২০০৩ সালে একবার এই আইন পাশ করার উদ্যোগ নিলেও তা আর হয়ে ওঠেনি বিক্ষোভের ফলে।

চীনের এই পদক্ষেপ নতুন করে আমেরিকার সাথে সংকট তৈরী করেছে। আমেরিকাও পাল্টা পক্ষেপের কথা জানিইয়েছে পরদিনই। হংকং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শুল্কের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পেত আর এই সুবিধাগুলো পরোক্ষভাবে ভোগ করে চীন। নতুন করে চীনের নিরাপত্তা আইন চালুর পদক্ষেপের  বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষনার পরপরই ট্রাম্পের ঘোষনা এলো প্রত্যর্পণ চুক্তি, বাণিজ্য এবং ভ্রমণ খাতে হংকংকে দেয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করা হলো। মূলত হংকং নিয়ে চীনকে চাপে রাখতেই বিভিন্ন খাতে হংকংএর সুবিধা বাতিলের পাশাপাশি ছাত্রদের ভিসা বাতিল বা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। এটা অবশই কোন একক সিদ্ধান্ত নয়। 

এই নিষেধাজ্ঞায় আসলে কার কতটুকু লাভ বা ক্ষতি?

আমেরিকায় অনেক দেশের ছাত্ররাই পড়তে যায়, বৃত্তি নিয়ে অথবা নিজের খরচে। আমেরিকাতে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী পড়তে গেছে। তবে চীনের ছাত্রদের হিসেব আলাদা ভাবেই করতে হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং গবেষনার জন্য তারা আমেরিকায় যায়। স্বভাবতই তারা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশ ভাল প্রভাব রাখে। পড়াশোনা ,গবেষনা কিংবা নতুন উদ্ভাবনীতে তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষণীয়। প্রতি বছর শুধু চীনা ছাত্রদের টিউশন ফি থেকেই আমেরিকা বিশাল পরিমান অর্থ আয় করে থাকে যেগুলো তাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ব্যবহার করে। এর মধ্যে চীনেরই প্রায় এক-তৃতীয়াংশ! ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী শুধু চীনেরই, ভাবা যায়? গত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে শুধু চীনের ছাত্রদের সংখ্যাই ছিল ১৩৩৩৯৬ জন। মোট ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী গত ২০১৮ সালে প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯ সালে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি দিয়েছে আমেরিকাকে। চীনা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সাথে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর যে সম্পর্ক, নির্ভরতা সেটা অনেক ব্যাপক শক্ত। 

Is the USA a Leading Terrorist State?

চীনা শিক্ষার্থহীদের ভিসা বন্ধ করার চিন্তাভাবনা প্রায় ৩ বছর ধরেই করে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। ২০১৮ সালে এক বছর মেয়াদি ভিসার রিনিউয়াল করার শর্ত আরো কঠিন করার মাধ্যমে এর শুরু হয়। ২০২০ এর জানুয়ারিতে বোস্টন ইউনিভার্সিটির এক চীনা শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয় যার বিরুদ্ধে চীনের সেনা বাহিনীর সাথে সম্পর্ক লুকোনোর অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।

আমেরিকার এই ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়ায় হয় বড়জোর ৩০০০ শিক্ষার্থী আটকে যাবে । কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হলো এই কয়েকজনই হয়ত কোন গবেষণা কাজে নিয়োজিত আছেন সেখানে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো, যারা বিভিন্ন খরচ, গবেষকের জন্য নির্ভর করত চীনা শিক্ষার্থীদের ওপর। যদি আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চীনও একই পথে হেটে একই নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার ওপর দেয় তাহলে বিষয়টা আরো জটিল হয়ে দাঁড়াবে। সবচেয়ে বিপদে পড়বে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো , গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলো। STEM research এ চীন হলো আমেরিকার অনেক বড় অংশীদার, যা প্রভাবিত হবে অন্য যেকোন সময়ের তুলনায়।

আমেরিকার এই ছাত্র ভিসা বন্ধের ঘোষনার পরপরই আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং গবেষনা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান গুলো শুধু চীনা ছাত্রদের অর্থের ওপরই নির্ভর নয়, তারা আশংকা করছে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের যেসব ছাত্রদের এবং গবেষকদের একসেস ছিল সেসবও হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে চীনের পাল্টা পদক্ষেপে যেটা মুলত নিজের পায়ে নিজের কুড়াল মারার শামিল। অন্যদিক থেকে এই পদক্ষেপ বিশ্বে একটা বার্তা ছড়িয়ে দেবে যে এশিয়ার নাগরিকরা আমেরিকার বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছে এবং স্পষ্টতই একটা বিভেদের দেয়াল তুলে দিচ্ছে। একই অভিযোগ তুলে যদি অন্য কোন দেশ আমেরিকানদের একসেস সেসব দেশে সংকুচিত করে দেয় কিংবা নিষিদ্ধ করে দেয় তাহলে পরিস্থিতি কি দাঁড়াতে আরে তাও ভেবে দেখা উচিত আমেরিকার।

Let’s call Israel’s violence what it is: terrorism, not clashes

অন্য যেকোন দেশের মত চীনেরও রাষ্ট্র পরিচালনা নীতি আছে। তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা হয় এমন নীতিই অনুসরণ করবে।এর বিপরীতটা ভাবা বোকামি। আর  চীনের যে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ,সেটায় স্বভাবতই সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রন থাকবেই, এই নিয়ন্ত্রনের সাথে সাংঘর্ষিক নীতি নিয়ে তাদের সাথে একসাথে কাজ করা সম্ভব না। কাজ করতে হলে তাদের নিতিমালার সাথে মানিয়ে নিয়েই কাজ করতে হবে, অন্যথায় অন্য দিকে ঝুঁকতে হবে। কিন্তু কেউ তাদের নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করতে পারবে না, সেটা সম্ভবও না। শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সুফল আসে না, নিষেধাজ্ঞা বরং একটা রাষ্ট্রকে স্বাবলম্বি করে তোলে, একলা চলতে শেখায়। আর কোন শক্ত প্রমান না থাকা সত্ত্বেও শুধু সন্দেহের ওপর ভিত্তি করে এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা কতটা যুক্তিযুক্ত তা সমইয়ই বলে দেবে। 

লেখক

  • রাকিবুল ইসলাম, মেরুনপেপার

    রাকিবুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম সম্পন্ন করেছেন। রাজনীতি, আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ইতিহাস নিয়ে স্পষ্ট ও তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। ওয়ার্ডপ্রেসসহ ডিজিটাল প্রকাশনার মাধ্যমে তিনি পাঠককে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

    শেয়ার করুনঃ
    আরো আর্টিকেল পড়ুন
    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।
    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)
    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 
    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
    বিবিসির তদন্তে শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও: ‘যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করো’

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রমান মিলেছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।
    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল তার প্রকৃত কারণ

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
    সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

    আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।
    অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

    পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ “গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর”।

    এই আর্টিকেলগুলিও আপনি পড়তে পারেন

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    ইতিহাসের পাতায় যেসব মুহূর্ত স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তার মধ্যে বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্যতম।

    নিয়মিত আর্টিকেল পেতে

    সাবস্ক্রাইব করুন

    Scroll to Top
    ×