বিচারিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো আদালতের এখতিয়ার। এই শব্দটি আইনের পরিভাষায় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, যা আদালতের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সীমা ও ক্ষমতা নির্ধারণ করে। এখতিয়ার ছাড়া কোনো আদালতের পক্ষে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সংবিধান, সিভিল প্রসিডিউর কোড ১৯০৮, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড ১৮৯৮ এবং বিভিন্ন বিশেষ আইনে এখতিয়ারের ধারণা ও প্রয়োগ বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত হয়েছে। এই নিবন্ধে আদালতের এখতিয়ারের সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, ভিত্তি এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর ব্যবহারিক দিকগুলো বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।

আদালতের এখতিয়ার

এখতিয়ার (Jurisdiction) শব্দের অর্থ হলো কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা আইনি সত্তার আইনি ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব। এই শব্দটির উৎস ল্যাটিন ভাষার দুটি শব্দ—‘juris’ (অর্থ: আইন) ও ‘dictio’ (অর্থ: ঘোষণা বা বক্তব্য)। একত্রে, Jurisdiction বা এখতিয়ার বলতে কোনো সত্তাকে আইন প্রয়োগ, বিচারকার্য পরিচালনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রদত্ত আইনগত কর্তৃত্ব-কে বোঝায়।আদালতের এখতিয়ার বা Jurisdiction বলতে কোনো আদালতের আইনি কর্তৃত্ব ও সীমাকে বোঝায়, যা দ্বারা সে নির্দিষ্ট ধরনের মামলা শুনানি, সিদ্ধান্ত প্রদান বা আইনগত প্রশ্ন সমাধানের অধিকার পায়। অর্থাৎ, কোন আদালত কোন ধরনের বিচারিক কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম, যেমন-মামলাগ্রহণ, শুনানি, রায় প্রদান বা তত্ত্বাবধানের ক্ষমতাকে আদালতের এখতিয়ার বোঝায়। এটি আদালতের বিচারিক কার্যক্রমের সীমানা ও ক্ষমতা নির্ধারণ করে, যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অনিবার্য অংশ। বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রসিডিউরাল কোডগুলো এখতিয়ারের প্রকার, ভিত্তি ও প্রয়োগ পদ্ধতি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে।

সিভিল প্রসিডিউর কোড ১৯০৮-এর ধারা ৯ অনুসারে, প্রতিটি আদালতের বিষয়গত, আঞ্চলিক ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকা মামলাই কেবল নিষ্পত্তি করার অধিকার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একজন সহকারী জজের আদালত ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূল্যের দেওয়ানি মামলার এখতিয়ার প্রয়োগ করতে পারে, যেখানে জেলা জজ আদালতের এখতিয়ার ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। অন্যদিকে, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড ১৮৯৮-এর ধারা ১৭৯ অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটনের স্থানভিত্তিক আদালতই এখতিয়ার প্রয়োগ করে থাকে।

আদালতের এখতিয়ার কত প্রকার?

আদালতের এখতিয়ারকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়:

১. আদি (Original) এখতিয়ার

আদি এখতিয়ার বলতে কোনো মামলা প্রথমবারের মতো শুনানি ও নিষ্পত্তির ক্ষমতাকে বোঝায়। বাংলাদেশের জুনিয়র দেওয়ানি আদালতগুলো (যেমন: সহকারী জজ আদালত) মূলত আদি এখতিয়ার প্রয়োগ করে থাকে। ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোও আদি এখতিয়ারের অধিকারী। সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানের ১০১ ধারা অনুযায়ী রিট মামলার ক্ষেত্রে আদি এখতিয়ার প্রয়োগ করে, যা রাষ্ট্রের যেকোনো অঙ্গের সাংবিধানিক লঙ্ঘন রোধে সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ দেয়।

২. আপীল (Appellate) এখতিয়ার

আপীল এখতিয়ার হলো নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা। জেলা জজ আদালত সহকারী জজের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল গ্রহণ করতে পারে। ফৌজদারি মামলায় সেশনস জজ আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের রায় পুনর্বিবেচনা করে। সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল শুনানি করে, যা সংবিধানের ১০৩ ধারা দ্বারা নিশ্চিত।

৩. পরিদর্শন (Supervisory) এখতিয়ার

পরিদর্শন এখতিয়ার হলো উচ্চ আদালতের নিম্ন আদালতের কার্যক্রম তদারকি ও সংশোধনের ক্ষমতা। হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানের ১০৯ ধারা অনুযায়ী নিম্ন আদালতের কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে পারে। ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডের ধারা ৩৯৭-এ সেশনস জজ বা হাইকোর্ট কর্তৃক রেকর্ড তলব করে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের আইনগত ন্যায্যতা যাচাইয়ের বিধান রয়েছে। এই এখতিয়ার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এখতিয়ারের ভিত্তিসমূহ

আদালতের এখতিয়ার নির্ধারণে তিনটি প্রধান ভিত্তি বিবেচনা করা হয়:

১. বিষয়গত (Subject-matter) এখতিয়ার

প্রতিটি আদালত নির্দিষ্ট ধরনের মামলা নিষ্পত্তির জন্য গঠিত। কোন আদালত কী ধরনের মামলা দেখবে, তা মামলার প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। যেমন: পারিবারিক আদালত বিবাহ, তালাক ও ভরণপোষণের মামলার এখতিয়ার প্রয়োগ করে, অন্যদিকে অর্থঋণ আদালত ঋণ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করে। সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানিক ব্যাখ্যা, কোম্পানি আইন ও মেধাসম্পদ সংক্রান্ত মামলার জন্য বিশেষ এখতিয়ার ভোগ করে।

২. আঞ্চলিক (Territorial) এখতিয়ার

আদালতের ভৌগোলিক সীমানা এর আঞ্চলিক এখতিয়ার নির্ধারণ করে। অর্থাৎ, আঞ্চলিক এখতিয়ার বলতে আদালতের অবস্থান বা ক্ষেত্রের মধ্যে সংঘটিত ঘটনা বিচার করার ক্ষমতাকে বোঝায়। সিভিল প্রসিডিউর কোডের ধারা ১৫-২০ অনুযায়ী, মামলার বিষয়বস্তু বা প্রতিবাদীর বাসস্থানভিত্তিক এলাকার আদালতেই মামলা দায়ের করতে হয়। ফৌজদারি প্রসিডিউর কোডের ধারা ১৭৯-এ অপরাধ সংঘটনের স্থানকে আঞ্চলিক এখতিয়ারের ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

৩. আর্থিক (Pecuniary) এখতিয়ার

দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে মামলায় আর্থিক মুদ্রা-মূল্য বা দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ অনুযায়ী আদালতের এখতিয়ার নির্ধারিত হয়। যেমন- সহকারী জজ আদালত ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত,যুগ্ম জজ আদালত ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং জেলা জজ আদালত ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে। এই সীমা অতিক্রম করলে উচ্চতর আদালতে মামলা দায়ের করতে হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট: আদালতের এখতিয়ার ও বিচারিক কাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ভবন

বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ার

বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা একটি স্তরবদ্ধ কাঠামো অনুসরণ করে, যেখানে প্রতিটি আদালতের এখতিয়ার স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত:

সুপ্রীম কোর্ট

সংবিধানের ৯৪ ধারা অনুযায়ী সুপ্রীম কোর্টের দুই বিভাগ-আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ-নিজ নিজ ক্ষেত্রে এখতিয়ার প্রয়োগ করে। হাইকোর্ট বিভাগের মূল এখতিয়ারের মধ্যে রয়েছে:

  • রিট এখতিয়ার: সংবিধানের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রিট মামলা গ্রহণ।
  • আদি এখতিয়ার: কোম্পানি, নৌ ও ট্রেড মার্ক সংক্রান্ত মামলা।
  • আপিল এখতিয়ার: নিম্ন আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা।

জেলা আদালত

জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতগুলো সুনির্দিষ্ট এখতিয়ার প্রয়োগ করে:

  • দেওয়ানি আদালত: সহকারী জজ, যৌথ জজ ও জেলা জজ আদালত আর্থিক সীমা অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তি করে।
  • ফৌজদারি আদালত: ম্যাজিস্ট্রেট, সেশনস জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী মামলা পরিচালনা করে।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল

বিভিন্ন বিশেষ আইনের অধীন গঠিত ট্রাইব্যুনালগুলোর এখতিয়ার সুনির্দিষ্ট:

  • নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল: নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলা।
  • সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল: সন্ত্রাসমূলক অপরাধের বিচার।
  • অর্থঋণ আদালত: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি।

 

আদালতের এখতিয়ার সম্পর্কিত সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)

১. আদালতের এখতিয়ার কী?

উত্তর: আদালতের এখতিয়ার বলতে বোঝায় সেই আইনানুগ ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট আদালত নির্দিষ্ট ধরনের মামলা শুনানি, বিচার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এটি আদালতের বিচারিক ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করে, অর্থাৎ কোন আদালত কোন মামলার বিচার করবে তা এখতিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়।

২. আদালতের এখতিয়ারের কত প্রকার আছে?

উত্তর: আদালতের এখতিয়ার প্রধানত তিন প্রকার:

  • আদি (Original) এখতিয়ার: যেখানে মামলা প্রথমবারের মতো শুনানি হয়।
  • আপীল (Appellate) এখতিয়ার: যেখানে নিম্ন আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা করা হয়।
  • পরিদর্শন (Supervisory) এখতিয়ার: যেখানে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের কার্যক্রম তদারকি করে।

৩. এখতিয়ারের ভিত্তি কী কী?

উত্তর: আদালতের এখতিয়ার নির্ধারণে তিনটি প্রধান ভিত্তি থাকে:

  • বিষয়গত (Subject-matter): আদালত কোন ধরনের মামলা শুনতে পারে। যেমন, পারিবারিক আদালত শুধুমাত্র পারিবারিক বিষয় নিয়ে কাজ করে।
  • আঞ্চলিক (Territorial): আদালতের ভৌগোলিক সীমা, অর্থাৎ কোন এলাকার মামলা সে শুনতে পারে।
  • আর্থিক (Pecuniary): মামলার আর্থিক মূল্য বা দাবির পরিমাণ অনুযায়ী আদালতের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ থাকে।

৪. হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার কী কী?

উত্তর: বাংলাদেশের সংবিধানের ১০১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, হাইকোর্ট বিভাগের রয়েছে:

  • আদি এখতিয়ার: যেমন সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিট আবেদন গ্রহণ।
  • আপীল এখতিয়ার: নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল শুনানি।
  • পরিদর্শন এখতিয়ার: নিম্ন আদালতগুলোর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান ও নির্দেশ প্রদান।

৫. জেলা আদালতের এখতিয়ার কেমন?

উত্তর: জেলা আদালত দেওয়ানি ও ফৌজদারী ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এখতিয়ার রাখে। দেওয়ানি আদালত আর্থিক সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করে, যেমন সহকারী জজ আদালত ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মামলা শুনতে পারে। ফৌজদারী আদালত অপরাধের গুরুত্ব ও স্থানভিত্তিক এখতিয়ার প্রয়োগ করে।

৬. বিশেষ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার কী?

উত্তর: বিশেষ ট্রাইব্যুনাল যেমন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল, অর্থঋণ আদালত ইত্যাদি নির্দিষ্ট আইনের অধীনে বিশেষ ধরনের মামলার এখতিয়ার রাখে এবং শুধুমাত্র সেই বিষয়েই বিচার করে।

৭. এখতিয়ারে আপত্তি কীভাবে করা যায়?

উত্তর: আদালতের এখতিয়ারে আপত্তি থাকলে তা যত দ্রুত সম্ভব প্রথম দিকেই আদালতে উত্থাপন করতে হয়। যদি সময়মতো আপত্তি না করা হয়, তবে আদালত পরবর্তীতে আপত্তি নাও শুনতে পারে। তবে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আপিল বা রিভিশন আদালত বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

৮. মামলা স্থানান্তর ও এখতিয়ার সম্পর্ক কী?

উত্তর: মামলা স্থানান্তর আদালতের এখতিয়ার ও প্রশাসনিক ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত। জেলা জজ ও হাইকোর্ট বিভাগ নিজেদের অধীনস্থ আদালতের মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তর করতে পারে অথবা নিজেই বিচার করতে পারে। স্থানান্তরের আবেদন সাধারণত উচ্চ আদালতে করা হয়।

৯. দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ারে পার্থক্য কী?

উত্তর: দেওয়ানী আদালত নাগরিক অধিকার ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করে, যেমন জমি বা পারিবারিক বিরোধ। ফৌজদারী আদালত অপরাধমূলক কার্যক্রম, যেমন চুরি, হত্যা ইত্যাদি মামলার বিচার করে।

১০. গ্রাম আদালতের এখতিয়ার কী?

উত্তর: গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী, গ্রাম আদালত ছোটখাটো দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ, যেমন পারিবারিক কলহ বা ছোটখাটো চুরির মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে।

১১. আদালতের এখতিয়ার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আইন কোনগুলো?

উত্তর: আদালতের এখতিয়ার নির্ধারণে নিম্নলিখিত আইনগুলো গুরুত্বপূর্ণ:

আদালতের এখতিয়ার হলো বিচারিক ক্ষমতার সীমা ও ধরন, যা আদালতকে নির্দিষ্ট ধরনের মামলা পরিচালনার অধিকার প্রদান করে। এটি আদি, আপীল ও পরিদর্শন এখতিয়ার হিসেবে বিভক্ত। এখতিয়ারের ভিত্তি বিষয়গত, আঞ্চলিক ও আর্থিক। বাংলাদেশে সুপ্রীম কোর্ট, জেলা আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব এখতিয়ার রয়েছে। এখতিয়ারে আপত্তি ও মামলা স্থানান্তর বিষয়গুলোও আইনের আওতায় সুনির্দিষ্ট।

আপনার মতামত বা প্রশ্ন থাকলে নিচে মন্তব্য করুন। এই নিবন্ধটি আইনি পরামর্শের বিকল্প নয়, তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে সহায়ক হবে।

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক রাজনীতি রাকিবুল ইসলামের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। তাঁর লেখালেখির মূল বিষয়বস্তু হলো রাজনীতি, সরকার, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

Leave A Comment

সম্পর্কিত আর্টিকেল

কোন আর্টিকেল খুঁজছেন?
আমাদের অনুসরণ করুন

এক নজরে এই আর্টিকেলে যেসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে…

লেখক হিসেবে আমাদের সাথে যোগ দিন

সাম্প্রতিক আর্টিকেল

  • কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।

কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল তার প্রকৃত কারণ

কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।

  • গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

  • গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

  • পিকেকে-র বিলুপ্তির ঘোষণা: তুরস্কের সামনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ, নাকি কুর্দিদের জন্য অধিকার হারানোর নতুন ঝুঁকি?

পিকেকে-র বিলুপ্তি: তুরস্কের জন্য সুযোগ নাকি কুর্দিদের জন্য নতুন সংকট?

পিকেকে-র বিলুপ্তির ঘোষণা: তুরস্কের সামনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ, নাকি কুর্দিদের জন্য অধিকার হারানোর নতুন ঝুঁকি?

  • আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।

অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"।