প্রাচীন গৌড়ে মুঘল আমলের স্থাপত্যকর্ম

মুঘল শাসকগণ ১৫২৬ সাল থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করেন। এসময় তারা অসংখ্য স্থাপত্য নির্মাণ করেন। গৌড়ের মুঘল আমলে নির্মিত স্থাপত্যসমূহের মধ্যে তাহখানা কমপ্লেক্স, শাহ নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মসজিদ ও সমাধি অন্যতম।

প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় বর্তমান ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল মালদা-চাপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে অবস্থিত। গঙ্গার ৪০ কিলোমিটার ভাটিতে ও মালদার ১২ কিলোমিটার দক্ষিনে এর অবস্থান ছিল। তবে ধীরে ধীরে গঙ্গার প্রবাহ শহর থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। সেন আমলে এই শহর উন্নতি লাভ করে। সেন রাজা লক্ষণের নামানুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয়। মুঘল শাসকগণ ১৫২৬ সাল থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করেন। এসময় তারা অসংখ্য স্থাপত্য নির্মাণ করেন। প্রাচীন গৌড়ে মুঘল আমলের স্থাপত্যকর্ম সমূহের মধ্যে তাহখানা কমপ্লেক্স, শাহ নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মসজিদ ও সমাধি অন্যতম। বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

তাহখানা কমপ্লেক্স

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী মুঘল তাহখানা (Mughal Tahakhana) বা তাহখানা কমপ্লেক্সের অবস্থান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে তাহখানার দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। ফার্সি শব্দ তাহখানার অর্থ ঠান্ডা ভবন বা প্রাসাদ। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পু্ত্র সুলতান শাহ সুজা তাঁর মুর্শিদ সৈয়দ নেয়ামতউল্লাহর শীতকালীন বসবাসের সুবিধার্থে ফিরোজপুরে তাপনিয়ন্ত্রিত ৩ তলা বিশিষ্ট এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র মতে, ১৬৩৯-১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দে এই তাহখানাটি নির্মিত হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী মুঘল তাহখানা (Mughal Tahakhana) বা তাহখানা কমপ্লেক্সের অবস্থান। প্রাচীন গৌড়ে মুঘল আমলের স্থাপত্যকর্ম
তাহখানা কমপ্লেক্স

ভূমি নকশা ও গঠনশৈলী

আয়তাকার নকশা পরিকল্পনায় নির্মিত দ্বিতলাকৃতি বিশিষ্ট এ ইমারতটি একটি বৃহদাকারের দিঘির পশ্চিমপাড় ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে। উত্তর-দক্ষিণে প্রলম্বিত এ ইমারতের বাইরের দৈর্ঘ্য ৩১.৭০ মি. × ১০.৩০ মি.। দ্বিতলাকার এ ইমারতটির নিচতলায় চারটি আয়তাকার কক্ষ রয়েছে। কক্ষগুলোর ছাদ চৌচালাকৃতির স্বচ্ছ উচ্চ ভল্ট দ্বারা আবৃত (বর্তমানে ছাদ ধসে পড়েছে)। কক্ষগুলো চতুর্কেন্দ্রিক খিলানের দ্বারা দিঘি অভিমুখে উন্মুক্ত। এগুলো শীতলকক্ষ হিসেবে পরিচিত। ইমারতের দ্বিতীয়তলা প্রধানত তিনটি অংশে বিভক্ত-

  • উত্তরাংশে মসজিদ বা এবাদতখানা,
  • মধ্যবর্তী স্থানে হলঘর ও আবাসন প্রকোষ্ঠ এবং
  • দক্ষিণাংশে স্নানাগার

এবাদত কক্ষটি খুব সম্ভবত সুবেদারের ব্যক্তিগত এবাদত কক্ষ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। হলঘর ও আবাসিক প্রকোষ্ঠরূপে পরিচিত ইমারতের মধ্যবর্তী অংশে ৮ টি রয়েছে। আয়তাকার বৃহৎ কক্ষটি হলঘর রুপে চিহ্নিত। বর্তমানে এর ছাদ ধ্বসে পড়েছে।

তাহখানা ইমারতের সর্বদক্ষিণে বাথ কমপ্লেক্স বা স্নানাগার। দুটি ছোট বড় কক্ষের সমন্বয়ে এ অংশ গঠিত। কক্ষগুলোর ছাদ গম্বুজ, অর্ধ-গম্বুজ, চৌচালা ভল্ট এবং অর্ধ পিপাকৃতির ভল্ট দ্বারা আচ্ছাদিত। উষ্ণ ও শীতল জলাধারসহ পাকা চৌবাচ্চা এ অংশের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। স্নানাগার সংলগ্ন অষ্টভুজাকার (অভ্যন্তরভাগ গোলায়িত) বুরুজ সদৃশ অবকাঠামোটি প্রধান জল-ভান্ডারের ভূমিকা পালন করতো।

আরো পড়ুনঃ প্রাচীন গৌড়ে সুলতানী আমলের স্থাপত্যকর্ম

অলঙ্করণ

ইমারতের বহির্গাত্র আনুভূমিক ও উলম্ব প্যানেলে সজ্জিত। ইমারতের গম্বুজ, অর্ধ গম্বুজ ও অষ্টভূজাকার কক্ষগুলোর ছাদতল স্ট্যাকো দ্বারা জলাকার নকশায় অলঙ্কৃত। ক্ষুদ্র মসজিদ অর্ধ গম্বুজাকার মিহরাব কুলঙ্গি ও অষ্টভূজাকৃতির কক্ষগুলোর দেওয়াল গাত্রে নির্মিত কুলঙ্গি মুকার্নাস নকশায় অতি হৃদয়গ্রাহীভাবে অলঙ্কৃত।

শাহ নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মসজিদ

১৬৩৯-৬০ খ্রিস্টাব্দ সময়ের মধ্যে নির্মিত এই মসজিদটি তাহখানা ইমারতের উত্তর-পশ্চিম দিকে সামান্য দূরে অবস্থিত।

শাহ নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মসজিদ, প্রাচীন গৌড়ে মুঘল আমলের স্থাপত্যকর্ম,
শাহ নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মসজিদ

ভূমি নকশা ও গঠনশৈলী

মুঘল আমলে নির্মিত এই মসজদটি আয়তাকৃতির এবং তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। নামাজঘরটি দুটি প্রশস্ত আড়খিলানের দ্বারা তিনভাগে বিভক্ত হয়ে তিনটি ‘বে’- বর্গের রুপ ধারণ করেছে। একটি করে গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত ‘বে’ বর্গের মধ্যবর্তীটি পার্শ্বদুটির চেয়ে সামান্য বড়। বাংলা পান্দানতিফ্ পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্মিত হয়েছে এর গম্বুজ আর বৃত্তাকার একটি ড্রাম এই গম্বুজ ছাদের ভার বহন করতো। গম্বুজের চূড়া প্রস্ফুটিত পদ্মফুল ও তদুপরি কলসাকৃতির শিরোচূড়া দ্বারা শোভিত।

মধ্যবর্তী ফাসাদে তিনটি প্রবেশপথ চতুর্কেন্দ্রিক খিলান দ্বারা সাহনের দিকে উন্মুক্ত। ফাসাদের মধ্যবর্তী স্থান অভিক্ষিপ্ত অবস্থায় নির্মিত এবং এ উদগত অংশের উভয় কোণায় রয়েছে দুটি খাঁজকাটা ট্যারেট। মসজিদের কিবলা প্রাচীরে রয়েছে তিনটি মিহরাব যার মধ্যে কেন্দ্রীয় মিহরাবটি ষড়ভুজাকার এবং অপর দুটি আয়তাকার।

মসজিদের চারকোণায় চারটি অষ্টভূজাকার বুরুজ বপ্র অতিক্রম করে উপরের দিকে উত্থিত যা নিরেট গম্বুজে আবৃত এবং কলসাকৃতির ফিনিয়ালে (শীর্ষদন্ড) শোভিত। মসজিদের ছাদ স্বল্পোচ্চ বপ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং বপ্রের বহির্গাত্র বদ্ধ মার্লন নকশায় অলঙ্কৃত। নামাজ ঘরের সম্মুখে যে সাহন রয়েছে তা একটি অনুচ্চ প্রাকার দ্বারা পরিবেষ্টিত।  

অলঙ্করণ

মসজিদ প্রাকার ও ফাসাদের অভ্যন্তরীণ ও বহির্গাত্রে কুলঙ্গি নির্মাণ, আনুভূমিক ও উলম্ব প্যানেল নকশায় বিভক্তকরণ, মিহরাব ও কুলঙ্গিতে মুকার্নাস ডিজাইন, বপ্রে বদ্ধ মার্লন পান্দানতিফ্ এবং ঘালিবকারি ডিজাইন প্রধান অলঙ্করণ মোতিফ্ হিসেবে চিহ্নিত।

শাহ নিয়ামত উল্লাহ্ ওয়ালীর সমাধি

 এ সমাধিসৌধটি তাহখানা কমপ্লেক্স হতে ৩০/৩৫ মিটার উত্তরে অবস্থিত। প্রায় বর্গাকৃতির (২৪.৪০ মি. ×৩৩.৮০ মি.) একটি স্বল্পোচ্চ মঞ্চের মধ্যবর্তি স্থানে এটি নির্মিত। এর নির্মাণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ইট ও পাথর উভয়ই।

ভূমি নকশা ও গঠনশৈলী

বর্গাকার নকশা পরিকল্পনায় এটি নির্মিত এবং অভ্যন্তরীণ সমাধি কক্ষের চতুর্দিক প্রশস্ত বারান্দায় পরিবেষ্টিত। পান্দানতিফ্ ও স্কুইঞ্জ পদ্ধতির গম্বুজ দ্বারা এর মূল কক্ষটি পরিবেষ্টিত।

মূল সমাধি কক্ষের পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ পরিবেষ্টন প্রাকারের মধ্যবর্তী স্থানে একটি করে মোট তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। ব্যাসল্ট প্রস্তরের দ্বারা দরজার ফ্রেম বা ঠৌকাঠ তৈরী। উত্তর প্রাকারের মধ্যবর্তী স্থানে একটি পঞ্চভুজাকার বৃহদাকৃতির মিহরাব বা কুলঙ্গি রয়েছে। এটি অর্ধ-গম্বুজ দ্বারা পরিবৃত। গম্বুজের অবতলভাগ মুকার্নাস অলঙ্করণে শোভিত। এ কক্ষেই চির নিদ্রায় শায়িত রয়েছেন শাহ নিয়ামত উল্লাহ্ ওয়ালী।

সমাধি, প্রাচীন গৌড়ে মুঘল আমলের স্থাপত্যকর্ম
শাহ নিয়ামত উল্লাহ্ ওয়ালীর সমাধি

সমাধি কক্ষের বারান্দায় প্রতি বাহুতে তিনটি করে মোট ১২ টি খিলানপথ আছে একারণেই হয়তো মি. কানিংহাম এ সমাধিকে ‘বার দুয়ারী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বারান্দার উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিমের কক্ষগুলোর ছাদতল সমতল কিন্তু পার্শ্বগুলো নলাকৃতির দেখতে অনেকটা চৌচালা ভল্টের মতো কিন্তু চারটি কোনাকক্ষ গম্বুজাকৃতির অবতল ছাদে আবৃত। ইমারতের চারকোণায় চারটি অষ্টভুজাকার বুরুজ রয়েছে। বুরুজগুলো ছাদ পাঁচিল অতিক্রম করে উপরে উঠেছে এবং শিরাল গম্বুজাকতির ছত্রী দ্বারা এগুলো শোভিত।

অলঙ্করণ পদ্ধতি

ইরানই মুকার্ণাস অলঙ্করণ পদ্ধতির উপ্ত স্থান। এখানেই এ অলঙ্করণ পদ্ধতির উৎপত্তি হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা বিকশিত হয়। মোগল আমলের অন্যতম স্থাপত্য নিয়ামত উল্লাহ্ ওয়ালীর মসজিদ ও সমাধিসৌধে এই অলঙ্করণ পদ্ধতি পরিদৃষ্ট হয়।

লেখক

  • সানজিদা সীমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ ও এমএ সম্পন্ন করেছেন। ইতিহাসের প্রতি তাঁর আগ্রহ পাঠকদের সামনে তুলে ধরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাস্তব বিশ্লেষণ। তাঁর লেখনীতে ইতিহাস শুধু অতীত নয়, বর্তমানকে বোঝারও সহায়ক হয়ে ওঠে।

    সানজিদা সীমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে বিএ ও এমএ সম্পন্ন করেছেন। ইতিহাসের প্রতি তাঁর আগ্রহ পাঠকদের সামনে তুলে ধরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাস্তব বিশ্লেষণ। তাঁর লেখনীতে ইতিহাস শুধু অতীত নয়, বর্তমানকে বোঝারও সহায়ক হয়ে ওঠে।

    শেয়ার করুনঃ
    আরো আর্টিকেল পড়ুন
    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।
    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)
    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 
    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
    বিবিসির তদন্তে শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও: ‘যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করো’

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রমান মিলেছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।
    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল তার প্রকৃত কারণ

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
    সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

    আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।
    অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

    পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ “গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর”।

    এই আর্টিকেলগুলিও আপনি পড়তে পারেন

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    ফিলিস্তিনি সংকট ও আব্রাহাম চুক্তিঃ সমালোচনা, সুফল ও বাস্তবতা

    মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আজ যে উত্তেজনায় ভরা, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ফিলিস্তিনি সংকট এবং আব্রাহাম চুক্তি নামের এক পরিবর্তনশীল কূটনৈতিক প্যাকেজ।

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা (1)

    পি আর পদ্ধতি কী — ধরন, সুবিধা-অসুবিধা ও বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা

    পি আর পদ্ধতি হলো আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা। পি আর পদ্ধতির ধরন, সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনায় বাংলাদেশে পি আর পদ্ধতি প্রাসঙ্গিক কি না প্রশ্ন উঠেছে।

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    মদিনা সনদ কীঃ মদিনা সনদের প্রধান ধারা ও বিশ্ব ইতিহাসে এর গুরুত্ব বিশ্লেষণ

    বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর অন্যতম মদিনা সনদ ইসলামি রাষ্ট্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য ঐতিহাসিক দলিল। 

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    ইতিহাসের পাতায় যেসব মুহূর্ত স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তার মধ্যে বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্যতম।

    নিয়মিত আর্টিকেল পেতে

    সাবস্ক্রাইব করুন

    Scroll to Top
    ×