গাজায় যুদ্ধবিরতিঃ সহিংসতার সাময়িক বিরতি নাকি স্থায়ী শান্তির পথ?

যুগ যুগ ধরে সংঘাত চলমান গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এক গভীর প্রশ্ন উঠে আসে: এটি কি সহিংসতার একটি সাময়িক বিরতি, নাকি একটি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা?
যুগ যুগ ধরে সংঘাত চলমান গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এক গভীর প্রশ্ন উঠে আসে: এটি কি সহিংসতার একটি সাময়িক বিরতি, নাকি একটি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা?

যুগ যুগ ধরে সংঘাত চলমান গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এক গভীর প্রশ্ন উঠে আসে: এটি কি সহিংসতার একটি সাময়িক বিরতি, নাকি একটি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা? ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের পেছনের ইতিহাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাসহ গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি বিশ্লেষণ করে, আমরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব। এ নিবন্ধে গাজায় চলমান মানবিক সংকট, চুক্তির মূল দিকগুলো, এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের পটভূমি

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘাতের মূল শিকড় বহু পুরনো। ১৯১৭ সালে বেলফোর ঘোষণা থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের সময় ফিলিস্তিনে ইহুদি অভিবাসনের দ্রুত বৃদ্ধি এই সংঘাতের ভিত্তি গড়ে তোলে। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক প্রস্তাবিত বিভাজন পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি আরবদের আপত্তি সত্ত্বেও ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ফলে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি তাদের ভূমি থেকে উৎখাত হয়, যা নাকবা নামে পরিচিত।

ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফিলিস্তিনি জনগণ ভূমি, স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। পরবর্তী দশকগুলোতে ইসরাইলি দখল, বসতি স্থাপন, এবং ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা দখল এই সংঘাতকে আরও জটিল করে তোলে।

২০০৬ সালে ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে হামাস বিপুল জয়লাভ করে, যা আন্তর্জাতিক মহল এবং ইসরাইলকে অবাক করে। এই বিজয়ের পর ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়, পরে  ২০০৭ সালে হামাস গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা কার্যত হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় সংঘাত আরও তীব্র রূপ নিয়েছে।

হামাসের শাসনাধীন গাজা ক্রমাগত ইসরায়েলি অবরোধের মুখে পড়ে। অবরোধের কারণে গাজার জনগণ অর্থনৈতিক সঙ্কট, জ্বালানি এবং খাদ্যের অভাব, এবং উন্নয়নহীনতার শিকার হয়। একইসঙ্গে, হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে রকেট হামলা এবং সুড়ঙ্গ খননের মাধ্যমে আক্রমণ।

৭ অক্টোবর ২০২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাস ইসরাইলে ব্যাপক মাত্রায় রকেট হামলা ও সীমান্তবর্তী এলাকায় সাঁড়াশি আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং শত শত মানুষ অপহৃত হয়। হামাস দাবি করে, এটি ছিল ইসরায়েলি দমনপীড়নের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিশোধ। ব্যাপারটি এমন নয় যে কোন প্রেক্ষিত ছাড়াই হামাস ৭ই অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলা করেছে।

হামাসঃ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আদায়ে যে সম্মুখে লড়ছে

ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই ইসরায়েল ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাব এবং আন্তর্জাতিক আদালতের রায় উপেক্ষা করে ইসরায়েলি সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি স্থাপন, গণহত্যা, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

যুগের পর যুগ ধরে উন্মুক্ত কারাগারে ফিলিস্তিনিদের অবরোধ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা করায় গাজার জনগণের অসন্তোষ তীব্র হয়ে ওঠে। ৭ অক্টোবরের কয়েক মাস আগেই ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আল-আকসা মসজিদে বারবার সংঘর্ষ পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলে।

এতসব ঘটনা, অভিজ্ঞতায় ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের পাশে শুধু হামাসকেই পেয়েছে। ফিলিস্তিনের অধিকার আদায়ে, প্রতিষ্ঠায় হামাস ভিন্ন কেউ কার্যকরি পদক্ষেপ রাখেনি। যুগের পর যুগ ধরে ইসরায়েল যত নারী, শিশু, পুরুষকে হত্যা করেছে প্রত্যেকেরই সন্তান, বাবা, ভাইকে হামাসের সদস্য বানিয়েছে ইসরায়েল নিজেই।

৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ভয়াবহ রকমের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে ইসরায়েল। ৭ই অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে। গত ১৫ ই জানুয়ারি পর্যন্ত এসব হামলায় গাজায় ৪৬ হাজার ৭০৭ জন ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। এছাড়া ১০৯৬৬০ জনেরও বেশী আহত এবং ১১১৬০ জনেরও বেশি নিখোঁজ হয়েছেন।

পশ্চিম তীরে ৮৫২ জন নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ১৭৫ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া ৬৭০০ জন আহত হয়েছেন। ইউনিসেফের মতে, অন্ততপক্ষে ১৪ হাজার পাঁচশ শিশু মারা গেছে, কয়েক হাজার আহত হয়েছে, ১৭ হাজার তাদের পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন, প্রায় ২০ লাখ গৃহচ্যূত হয়েছে।

ইসরায়েলি বোমা হামলায় হাসপাতাল, স্কুল এবং রিফিউজ ক্যাম্প ধ্বংস হয়ে যায়। বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিলেও, অনেক মুসলিম দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠন ইসরাইলের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সমালোচনা করে।

ইসরায়েল – হামাস যুদ্ধবিরতি

ইসরায়েল- হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয় সংঘাতের শুরু থেকেই। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানায়। তবে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে বারবার আস্থার অভাবের কারণে এগুলো কার্যকর হয়নি।

বিভিন্ন দেশ যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়েছে। বিশেষত কাতার, মিসর এবং তুরস্ক এই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। মিসরের মধ্যস্থতায় ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আলোচনার নতুন ধাপ শুরু হয়। তবে প্রধান সমস্যাটি ছিল বন্দি বিনিময় এবং গাজার পুনর্গঠন নিয়ে মতপার্থক্য। যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে ভূমিকা নিতে চেয়েছিল। তবে সরাসরি ইসরাইলের পক্ষপাতিত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ হও্য়ায় মূখ্য ভূমিকায় তারা আসতে পারেনি।

যাইহোক, ২০২৫ সালের শুরুতে গাজার সংঘাতে প্রাণহানি এবং ধ্বংসযজ্ঞ আরো সীমাহীন হয়ে পড়ে। ইসরায়েলের দখলদারি, অবরোধ ও হামাসের পাল্টা প্রতিরোধ—এই চলমান মানবিক সংকট এবং আন্তর্জাতিক চাপ অবশেষে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষকে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে বাধ্য করে। গত ১৫ই জানুয়ারি দোহায় কাতারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিঃ ইসরায়েল ও হামাসের ঐতিহাসিক সমঝোতা

চুক্তিটি তিনটি ধাপে বিভক্ত; প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় এবং গাজার মানবিক সহায়তা কার্যক্রম। দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা এবং তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। চুক্তিটি ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জঃ স্থায়ী শান্তির পথে বাধা

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের ইতিহাস ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই শুরু হয়। সেই সময় ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমি হারায় এবং তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতার ভিত্তি স্থাপিত হয়, যা আজ পর্যন্ত এই অঞ্চলের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এরপর থেকে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনে হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক উত্থান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। গাজার পরিস্থিতি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা সংক্রান্ত ইস্যুগুলো ক্রমশ আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়। দখলদারিত্বের প্রসার এবং ফিলিস্তিনি ভূমিতে অবৈধ বসতি স্থাপনের কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

যুগ যুগ ধরে সংঘাত চলমান গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এক গভীর প্রশ্ন উঠে আসে: এটি কি সহিংসতার একটি সাময়িক বিরতি, নাকি একটি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা?

এই সংকট নিরসনের জন্য বহুবার যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মিসর, কাতার, এবং তুরস্কের মতো দেশগুলো শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে। তবে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা শর্ত এবং হামাসের বন্দি বিনিময়ের দাবির মতো ইস্যুগুলো আলোচনার সাফল্যকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার অভ্যন্তরীণ মতবিরোধে ভুগছে। নেতানিয়াহুর কঠোর নীতিগুলো ইসরায়েলের চরমপন্থী জায়নিস্ট এজেন্ডাকে তুলে ধরে, যেখানে ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে চিরতরে উৎখাত করার পরিকল্পনা স্পষ্ট। তার শাসনামলে পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট উদাহরণ।

ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ব্যাপক সামরিক, অর্থনৈতিক, এবং কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে। প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার সামরিক সাহায্য প্রদান এবং জাতিসংঘে ইসরায়েলবিরোধী প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার ফলে ইসরায়েল কার্যত কোনো আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার আওতায় থাকে না। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব এবং ইসরায়েলকে প্রধান কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করার কারণে এই সংঘাত আরও জটিল হয়েছে।

গাজায় গণহত্যায় ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে কারা?

যদিও সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছে, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বেশ কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। গাজার পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নির্ধারণ, ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এখনও অমীমাংসিত।

কারা গাজা চালাবে এবং সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কিংবা সেখানে কি হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে এমন অসংখ্য প্রশ্নের কোন উত্তর অজানা। মনে রাখতে হবে, ইসরাইলের ঘোষিত লক্ষ্য ছিল হামাসকে নির্মূল করা- বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়– “আমরা উপলব্ধি করেছি যে, হামাস যত সদস্য হারিয়েছে প্রায় ততজন নতুন সদস্য পেয়েছে। আমি মনে করি সবাই দেখতে পাচ্ছে যে, ইসরায়েল গাজায় যে উদ্দেশ্যে তার সমস্ত সামরিক বাহিনী চাপিয়ে দিয়েছে এবং যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে, তা হামাসকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ বা সত্যিকারের নিরাপত্তার কাছাকাছি নিয়ে আসেনি”। বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য কি ব্যার্থতার সরল স্বীকারোক্তি, নাকি পরবর্তিতে ফিলিস্তিনে হামাসের অযুহাতে আগ্রাসন চালাবার অযুহাত!

স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ইসরায়েলকে জাতিসংঘের রেজোলিউশন অনুযায়ী দখলকৃত অঞ্চল থেকে সরে আসতে হবে। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি, ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা এই চুক্তির সফলতার উপর নির্ভর করছে। ইরান, কাতার এবং তুরস্কের মতো দেশগুলো এই অঞ্চলের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান অত্যন্ত জটিল হলেও আন্তঃসংলাপ এবং আন্তর্জাতিক সমর্থনের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তির পথ সুগম করা সম্ভব।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার ফলে গাজার মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে, তবে এটি কি স্থায়ী শান্তির পথে একটি পদক্ষেপ, নাকি শুধুমাত্র একটি সাময়িক বিরতি? এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে। গাজার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা, ইসরায়েল ও হামাসের সদিচ্ছা এবং দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সমাধানের উপর।

    শেয়ার করুনঃ
    আরো আর্টিকেল পড়ুন
    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস
    জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস

    ইতিহাসের পাতায় যেসব মুহূর্ত স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, তার মধ্যে বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্যতম।

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
    বিবিসির তদন্তে শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিও: ‘যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করো’

    বিবিসির প্রতিবেদনে প্রমান মিলেছে যে, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া অডিওতে হাসিনা স্বয়ং নিরাপত্তা বাহিনীকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।
    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল তার প্রকৃত কারণ

    কেন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছিল? আন্তর্জাতিক বিচারের হাত থেকে বাঁচতে, গাজার নিপীড়ন থেকে দৃষ্টি সরাতে ও ইহুদি আধিপত্য জাহিরের হতাশাজনক প্রচেষ্টা।

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
    সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

    গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

    গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

    আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।
    অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

    পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে “অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস” নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ “গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর”।

    শেষপর্যন্ত কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলাই কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধাবে?
    শেষপর্যন্ত কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলাই কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধাবে?

    পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, ও সীমান্তে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ।

    আদালত কী? আদালত কত প্রকার ও কি কি?
    আদালত কী? আদালত কত প্রকার ও কি কি?

    আদালত হলো রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত সেই বৈধ প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিরোধ নিষ্পত্তি, অপরাধের বিচার ও আইনি অধিকার রক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

    নিয়মিত আর্টিকেল পেতে

    সাবস্ক্রাইব করুন

    Scroll to Top
    ×