বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযানের একটি মূল স্তম্ভ হল বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগই একজন নাগরিকের অধিকার রক্ষার প্রধান গ্যারান্টর। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হলো একটি সুশাসিত, ন্যায়সঙ্গত ও সুষ্ঠু সমাজের মূল ভিত্তি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়ে আসছে। দুর্ভাগ্যবশত, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, প্রশাসনিক বাধা এবং সামাজিক চাপের কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব যে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের কী কী করণীয়।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা: একটি সংকট

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য। এটি আইনের শাসন, মানবাধিকার রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ভিত্তি প্রদান করে। স্বাধীন বিচার বিভাগ একটি সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে, অপরাধীদের শাস্তি দেয় এবং নিরপরাধদের সুরক্ষা দেয়। এছাড়াও, স্বাধীন বিচার বিভাগ একটি দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে এবং বৈশ্বিক সমাজে দেশের ভাবমূর্তি উন্নত করে।

যদিও বাংলাদেশের সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বিধান রয়েছে, বাস্তবে তা কতটা প্রতিফলিত হচ্ছে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। বিভিন্ন সময়ে সরকারের হস্তক্ষেপ, বিচারপতিদের নিয়োগ-বদলির রাজনৈতিক প্রভাব, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সরকারি মন্তব্য, এসবই বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পরিবর্তনের অভাবও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে।

স্বৈরশাসকের উত্থান, জনগণের প্রতিরোধ ও স্বৈরশাসকের পতনের উপায়

সর্বশেষ স্বৈরাচার হাসিনার সময়ে আমরা দেখেছি, দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো বিচার বিভাগকেও কিভাবে হাসিনা সরকার কুক্ষিগত করেছিল। দলীয় নেতাকর্মীদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া, পদন্নোতির নিয়মনীতি না মেনে পছন্দের ব্যাক্তিকে প্রধান বিচারপতি বানানো, বিরোধী মত দমনে আইন-আদালতকে ব্যবহার করা  সহ হেন কোন কাজ হাসিনা বাকি রাখেনি। এমন অবস্থায় গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার মাসব্যাপী গণঅভুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনার পতন ঘটে। ওইদিন হাসিনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি কার্গো বিমানে করে ভারতে পালিয়ে যান। 

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা

পরবর্তিতে ১০ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান বানচাল করার উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে অন্যান্য বিচারপতিরা অনলাইনে ফুল কোর্ট মিটিং এর মাধ্যমে জুডিশিয়াল ক্যু করার অপচেষ্টা চালায়। তাৎক্ষনিক ভাবে ছাত্র-জনতা সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার উপায়

স্বৈরাচার হাসিনার দীর্ঘ দিনের অপশাসন, রাজনৈতিক জুলুম-অবিচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইত্যাদি বাংলাদেশে একটি অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এছাড়া, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পরিবর্তনের অভাবও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে বহুমুখী ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:

সংবিধানের সংশোধন ও সংবিধানের শাসন প্রতিষ্ঠা 

বাংলাদেশের সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংশোধনী আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষ করে বিচারকদের নিয়োগ, পদোন্নতি, এবং অপসারণ প্রক্রিয়ায় নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা প্রয়োজন। সরকার, বিচার বিভাগসহ সকল প্রতিষ্ঠানকেই সংবিধানের মর্মবাণী অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সংবিধানের যেসব বিধান বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়, সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

স্বৈরশাসকের উত্থান, জনগণের প্রতিরোধ ও স্বৈরশাসকের পতনের উপায়

বিচার বিভাগীয় সংস্কার

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ সংস্কার প্রয়োজন। বিচার বিভাগের কার্যকারিতা বাড়াতে, দীর্ঘায়িত মামলা নিষ্পত্তি করতে এবং জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। আর এজন্য চাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। সংবিধান সংশোধন, আইন প্রণয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, বিচারপতি নিয়োগের পদ্ধতি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করা, বিচার বিভাগের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিচারকদের প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, আইনজীবীদের সহযোগিতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি ধারাবাহিক ও সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া, দলীয় বিবেচনায় বা স্বার্থে স্বৈরাচার শাসনামলে নিয়োগকৃত সকল বিচারপতি, আইন কর্মকর্তাদের সরিয়ে লেজুড়বৃত্তির শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে।

বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো এর স্বায়ত্তশাসন। স্বায়ত্তশাসন বলতে বিচার বিভাগকে নির্বাহী ও আইনসভা থেকে পৃথক রাখা এবং বিচার বিভাগের নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো ও আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা বোঝায়। এটি নিশ্চিত করে যে বিচারকরা নিরপেক্ষভাবে আইন প্রয়োগ করতে পারবেন এবং কোন প্রশাসনিক কাঠামো ও আর্থিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সম্পদ দিতে হবে। বিচার বিভাগের কাজ-কর্মে কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি করা যাবে না।

গণতন্ত্র কি? গণতন্ত্রের মূলনীতি ও অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বরূপ

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। রাজনীতিবিদরা প্রায়ই নিজেদের স্বার্থে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। এই হস্তক্ষেপ আইনের শাসনকে দুর্বল করে, জনগণের বিচার বিভাগে আস্থা হারায় এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমনঃ বিচারক নিযুক্তি ও বদলির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ কমিশন গঠন করা, বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাতে তারা স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারেন ইত্যাদি।এর পাশাপাশি,  রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত বিচার বিভাগের উপর তাদের প্রভাব বন্ধ করা এবং একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার নিশ্চয়তা প্রদান করা।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি

জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিচার বিভাগের কাজ-কর্ম সম্পর্কে জনগণকে সঠিকভাবে অবহিত করা, তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। মিডিয়া, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুশীল সমাজের সহযোগিতায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। 

সুশাসন ও মানবাধিকার সংস্থা

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এছাড়া, দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুর্নীতি দমন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য।সুশাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ, গবেষণা, জনমত গঠন – এসব ক্ষেত্রে তাদের অবদান অপরিহার্য। 

সুশাসন কী? সুশাসনের নীতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা কী কী?

আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় সহযোগিতা করতে পারে। আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রণোদিত করা যেতে পারে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশের বিচার বিভাগের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা যেতে পারে।

নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ গঠনে সরকারের ভূমিকা

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সংবিধানের ৯৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচারকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময়ই সরকারের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থা বিচারকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে। এই প্রবণতা রোধ করতে সরকারের উচিত বিচার বিভাগের সাথে যুক্ত সকল ধরনের প্রভাব প্রতিরোধ করা এবং একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তাছাড়া, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সকলের অধিকার। সরকার, বিচার বিভাগ, সংবাদমাধ্যম, সুশাসন সংস্থা, নাগরিক সমাজ – সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার পথ সহজ নয়। তবে অধ্যবসায়, দৃঢ়তা এবং সামাজিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে বাংলাদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সরকার, বিচার বিভাগ, আইনজীবী, নাগরিক সমাজ এবং সাধারণ জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক রাজনীতি রাকিবুল ইসলামের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। তাঁর লেখালেখির মূল বিষয়বস্তু হলো রাজনীতি, সরকার, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

Leave A Comment

সম্পর্কিত আর্টিকেল

কোন আর্টিকেল খুঁজছেন?
আমাদের অনুসরণ করুন

লেখক হিসেবে আমাদের সাথে যোগ দিন

সাম্প্রতিক আর্টিকেল

  • শেষপর্যন্ত কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলাই কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধাবে?

শেষপর্যন্ত কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলাই কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধাবে?

পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, ও সীমান্তে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ।

  • আদালত কী? আদালত কত প্রকার ও কি কি?

আদালত কী? আদালত কত প্রকার ও কি কি?

আদালত হলো রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত সেই বৈধ প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিরোধ নিষ্পত্তি, অপরাধের বিচার ও আইনি অধিকার রক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

  • ইক্যুইটির ম্যাক্সিম

ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) কী? ইক্যুইটির ম্যাক্সিম সমূহ কী কী?

ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) হল সাধারণ আইন (Common Law) এর শর্তের বাইরে গিয়ে ন্যায্যতা ও ন্যায় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হওয়া একটি স্বতন্ত্র বিচারব্যবস্থা

  • আব্রাহাম চুক্তি হলো ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সহ আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য একাধিক চুক্তির সমষ্টি।

আব্রাহাম চুক্তিঃ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, এবং ফিলিস্তিনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা

আব্রাহাম চুক্তি হলো ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সহ আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য একাধিক চুক্তির সমষ্টি।

  • পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখলে মনে হয়, গাজায় কোনো মানুষ নিহত হয় না—শুধু "হামাস মেম্বার" হয়! আর ইউক্রেনের গমের ক্ষেত ধ্বংস হলে "হিউম্যানিটি ক্রাইম" হয়

পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ডঃ ফিলিস্তিনের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের বুলি!

পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখলে মনে হয়, গাজায় কোনো মানুষ নিহত হয় না—শুধু "হামাস মেম্বার" হয়! আর ইউক্রেনের গমের ক্ষেত ধ্বংস হলে "হিউম্যানিটি ক্রাইম" হয় ।