যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার বিচার করতে নিয়োজিত বিশ্বের একমাত্র স্থায়ী আন্তর্জাতিক আদালত বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসন এবং আদালত ও এর কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকির মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন উঠছে: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কি পরবর্তী চার বছর টিকে থাকতে পারবে?

আইসিসির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক কূটনৈতিক সম্মেলন অ্যাসেম্বলি অব স্টেটস পার্টিজ-এ অংশগ্রহণের পর আমি এই প্রশ্নটি তুলেছি। এই সম্মেলনটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যখন দ্য হেগের ওপর—আইসিসির সদর দপ্তর—প্রতীকী এবং বাস্তবিক উভয় অর্থেই কালো মেঘ জমেছিল। নিষেধাজ্ঞা আসছে, এবং সম্ভবত খুব শীঘ্রই।

খবর এসেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। বরং রিপাবলিকানরা হয়তো ওয়াশিংটনের বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট এবং ব্যয়ের পরিকল্পনা নির্ধারণ করার ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্টেই নিষেধাজ্ঞা যুক্ত করবে।

আদালতের সমর্থকদের আশা, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো কেবল আদালতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করবে, পুরো প্রতিষ্ঠানকে নয়। আইসিসি তার কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করতে পারবে। কিন্তু যদি নিষেধাজ্ঞা প্রতিষ্ঠানটির ওপর প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তার প্রভাব হবে অনেক বড় এবং ধ্বংসাত্মক। তখন কীভাবে আইসিসি-র তদন্তকারী ও কর্মকর্তারা ভ্রমণ করবেন? যদি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিষেধাজ্ঞার ভয়ে আদালতের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে কর্মীদের বেতন কীভাবে পরিশোধ হবে? এমনকি বিচারপতিরা কি তাদের রায় লেখার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন?

এটিই প্রথমবার নয় যে আদালত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। গত ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ মাসগুলোতে আদালতের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল যার মধ্যে গাম্বিয়ার তৎকালীন প্রধান প্রসিকিউটর ফাতু বেনসৌদাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কিন্তু এবার আদালত এবং এর সমর্থকরা চার বছরের ক্রমাগত হুমকির মুখোমুখি। এমনকি যদি নির্দিষ্ট আইসিসি কর্মীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলি দেয়া হয়, তবে তারা ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে পরিচিত বৈষম্যমূলক এবং বর্ণবাদী চিন্তাভাবনা প্রকাশ করবে: পশ্চিমা মিত্রদেশের আইসিসি কর্মীরা ট্রাম্প প্রশাসনকে তাদের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখতে ট্রাম্পকে রাজি করানোর ক্ষেত্রে অনেক শক্তপোক্ত অবস্থানেই থাকবেন, যেখানে গ্লোবাল সাউথের কর্মীদের ক্ষেত্রে তা নয়।

আইসিসি-র জন্য চ্যালেঞ্জটি তীব্র। যেকোন মূল্যে আদালতকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা এড়াতে হবে এবং তার স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে। সেই সঙ্গে, আদালতকে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক বা বৈধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া চলবে না।

এ মুহূর্তে এটি কীভাবে সম্ভব তা কল্পনা করা কঠিন। এমন একটি পরিস্থিতি বিবেচনা করা যেতে পারেঃ আসন্ন সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন আইসিসি-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালত যা করার তা-ই করে এবং আইসিসি অপ্রতিরোধ্য থাকার ঘোষণা করে। সদস্য রাষ্ট্রগুলো আদালতের পক্ষে সমবেত হয়। আদালতের কাজ অব্যাহত থাকে, এবং প্রসিকিউটর পশ্চিম তীরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার অনুরোধ করেন। এই পদক্ষেপটি একটি স্বাধীন আদালতের সঠিক এবং যৌক্তিক কাজ হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। কিন্তু একটি অসন্তুষ্ট হোয়াইট হাউস নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দেয় এবং আদালতকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আরও এক ধাপ এগিয়ে, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের আদালতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করলে তাদের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়।

সাইপ্রাস সমস্যার আদ্যোপান্ত

উপরোক্ত পরিস্থিতি পুরোপুরি বাস্তবসম্মত। মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন যে কানাডা, ফ্রান্স এবং জার্মানির মতো দেশগুলোকে আইসিসি সমর্থনের জন্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা উচিত। আদালত কি এমন চাপ সহ্য করতে পারবে? এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো কি তা পারবে?

আইসিসি অতীতে ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ সহ্য করেছে, বিশেষত যখন আইসিসির প্রথম দিককার বছরগুলোতে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শত্রুতামূলক প্রশাসনের মুখোমুখি হয়েছিল। আমেরিকা শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছিল যে লর্ডস রেজিস্ট্যান্স আর্মি নেতা জোসেফ কোনি বা সুদানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ওমর আল-বশিরের মতো লোকদের টার্গেট করার সময় আইসিসি তার স্বার্থের জন্য সামান্য বা কোন হুমকি সৃষ্টি করেনি; বিপরীতে, কুখ্যাত নৃশংস অপরাধীদের বিচার করার জন্য তার বোমাবাজি বিরোধিতার কারণে আমেরিকান স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে। প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট কন্ডোলিজা রাইস এমনকি দাবি করেছিলেন যে আইসিসির প্রতি তার প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি “নিজেদের পায়ে গুলি করার” অনুরূপ ছিল।

কিন্তু এবার আইসিসি সরাসরি মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে, বিশেষত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কারণে। যেমন এই পরোয়ানাগুলো বাতিল হবে না, ঠিক তেমনি আমেরিকার বিরোধিতাও থাকবে।

কিভাবে আদালত টিকে থাকবে?

আইসিসি বেঁচে থাকবে কিনা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করবে যারা এটি তৈরি করেছে, সেই রাষ্ট্রগুলোর ওপর। প্রথমত, তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে এটি আদালতের জন্য একটি অস্তিত্ব সংকট। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা হুমকিগুলো বাস্তব এবং দীর্ঘমেয়াদে থাকবে তা অনুধাবন করে, আদালতকে রক্ষা করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আদালত এবং এর কর্মীদের নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের যা যা করা সম্ভব তা করতে হবে।

রাষ্ট্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে পরোয়ানার কারণে আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে ইউক্রেন, মিয়ানমার এবং ভেনেজুয়েলার মতো ক্ষেত্রে যেখানে আইসিসি এবং মার্কিন স্বার্থ একত্রিত, সেখানে জবাবদিহিতার প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আইসিসির বিরুদ্ধে যতবারই একটি নতুন জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করা হয়, আমেরিকান নীতিনির্ধারকদের ইউক্রেনীয়, রোহিঙ্গা এবং ভেনেজুয়েলার ভুক্তভোগীদের এবং নৃশংসতা থেকে বেঁচে যাওয়াদের কথা শুনতে বাধ্য করা উচিত। আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আমাদের কাছে আফগানিস্তানের কী পাওনা?

যে রাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে আদালতের কার্যকারিতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা সীমিত করার চেষ্টা করে আসছে তার সামনে কেবল ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা নয়। আইসিসি (ICC) অনড় থাকতে পারে এবং কৌশলগত উপায়ে মার্কিন বৈরিতার জবাব দিতে পারে।  উদাহরণস্বরূপ, হামাস এবং এর নৃশংসতাকে সহায়তা এবং মদদ দেওয়ার জন্য ইরানী নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তকারীরা মামলা আনতে পারে। এটি করা সঠিক কাজ এবং এতে ট্রাম্প, গ্রাহাম এবং অন্যদের জন্য সামগ্রিকভাবে, আদালতবিরোধী অবস্থান দুর্বল হবে।

আইসিসি পরবর্তী চার বছর টিকে থাকবে। তবে এটি একটি দুর্বল ছায়ায় পরিণত হবে, নাকি একটি কৌশলগতভাবে দক্ষ এবং আরও কার্যকর আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল হিসেবে আবির্ভূত হবে, তা নির্ভর করবে এর নেতৃত্ব এবং এর সমর্থনকারী রাষ্ট্রগুলোর ওপর।

এই আদালত কি একটি দুর্বল ছায়ায় পরিণত হবে, নাকি কৌশলগতভাবে দক্ষ এবং আরো কার্যকরী একটি আন্তর্জাতিক আদালত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, তা নির্ভর করছে এর নেতৃত্ব এবং সেই রাষ্ট্রগুলোর উপর, যারা আদালতকে সমর্থন করার দাবি করে। তবে এখন তাদের তাদের ক্ষমতার সবকিছু দিয়ে এই সমর্থন প্রমাণ করতে হবে।

আর্টিকেলটি আল জাজিরায় মার্ক কার্সটেন লিখেছেন ১৭ ডিসেম্বরে। তিনি ওয়ায়ামো ফাউন্ডেশনের পরামর্শক এবং ফ্রেজার ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনাল জাস্টিস ও ক্রিমিনোলজির সহকারী অধ্যাপক।

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক রাজনীতি রাকিবুল ইসলামের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। তাঁর লেখালেখির মূল বিষয়বস্তু হলো রাজনীতি, সরকার, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

Leave A Comment

সম্পর্কিত আর্টিকেল

কোন আর্টিকেল খুঁজছেন?
আমাদের অনুসরণ করুন

এক নজরে এই আর্টিকেলে যেসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে…

লেখক হিসেবে আমাদের সাথে যোগ দিন

সাম্প্রতিক আর্টিকেল

  • গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

  • গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

  • পিকেকে-র বিলুপ্তির ঘোষণা: তুরস্কের সামনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ, নাকি কুর্দিদের জন্য অধিকার হারানোর নতুন ঝুঁকি?

পিকেকে-র বিলুপ্তি: তুরস্কের জন্য সুযোগ নাকি কুর্দিদের জন্য নতুন সংকট?

পিকেকে-র বিলুপ্তির ঘোষণা: তুরস্কের সামনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ, নাকি কুর্দিদের জন্য অধিকার হারানোর নতুন ঝুঁকি?

  • আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।

অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"।

  • বিচারিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো আদালতের এখতিয়ার। আদালতের এখতিয়ার তিন প্রকারঃ আদি এখতিয়ার, আপীল এখতিয়ার, এবং পরিদর্শন এখতিয়ার।

আদালতের এখতিয়ারঃ সংজ্ঞা, প্রকারভেদ ও বাংলাদেশে প্রয়োগ

বিচারিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো আদালতের এখতিয়ার। আদালতের এখতিয়ার তিন প্রকারঃ আদি এখতিয়ার, আপীল এখতিয়ার, এবং পরিদর্শন এখতিয়ার।