ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) হল সাধারণ আইন (Common Law) এর শর্তের বাইরে গিয়ে ন্যায্যতা ও ন্যায় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হওয়া একটি স্বতন্ত্র বিচারব্যবস্থা, যা প্রয়োজনে নির্দিষ্ট কার্যাদেশ (Injunction), নির্দিষ্ট পূরণ (Specific Performance) ইত্যাদি আকাঙ্ক্ষিত প্রতিকার প্রদান করে। ন্যায়বিচারের মুল ভিত্তি হলো ১২টি সর্বোচ্চ নীতি বা ম্যাক্সিম, যেমন “Equity follows the law”, “He who seeks equity must do equity” ইত্যাদি। এই ম্যাক্সিমগুলো বিভিন্ন মামলায় প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থায় ন্যায্যতার ভারসাম্য রক্ষা করে। এই নিবন্ধে ইক্যুইটির ধারণা, ইক্যুইটির ম্যাক্সিম সমূহ এবং ম্যাক্সিমের প্রয়োগ ও তাৎপর্য বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।

ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) কী?

ন্যায়বিচার (Equity) একটি সার্বজনীন ধারণা যা মানব সমাজের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। দর্শন, আইন ও নীতিশাস্ত্রের আলোচনায় ন্যায়বিচারের সংজ্ঞা ও প্রয়োগ নিয়ে শতাব্দীজুড়ে তত্ত্ব ও বিতর্ক গড়ে উঠেছে। মূলতঃ ন্যায়বিচারের সংজ্ঞা নির্ভর করে প্রসঙ্গ ও সংস্কৃতির উপর। দার্শনিক প্লেটোর মতে, ন্যায়বিচার হলো সমাজের প্রতিটি অংশের সঠিক ভারসাম্য। অন্যদিকে, ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে ন্যায়বিচার আল্লাহর নির্দেশিত নৈতিক আদর্শের প্রতিফলন, যা নবি মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর জীবনদর্শনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আবার, আইনশাস্ত্র ও দর্শনে ন্যায়বিচারকে সংজ্ঞায়িত করা হয় “প্রতিটি ব্যক্তির প্রাপ্য অধিকার ও দায়িত্বের সঠিক বণ্টন” হিসেবে। ন্যায়বিচার বা Equity শুধু আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং নৈতিকতা, সামাজিক সমতা এবং মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়।আধুনিক আইনশাস্ত্রে ন্যায়বিচারকে তিনটি প্রধান বিভাগে ভাগ করা হয়:

  • বিতরণমূলক ন্যায়বিচার: সম্পদ ও সুযোগের সুষম বণ্টন।
  • সংশোধনমূলক ন্যায়বিচার: অপরাধের জন্য উপযুক্ত প্রতিকার বা শাস্তি।
  • পুনর্বাসনমূলক ন্যায়বিচার: ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের ক্ষতিপূরণ ও সামাজিক পুনর্বহাল

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের মতে, “ন্যায়বিচার কেবল আদালতের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগের নৈতিক দায়িত্ব”।

ইক্যুইটির ম্যাক্সিমঃ ন্যায়বিচারের ১২টি মূলনীতি

সাধারণ আইনের অসম্পূর্ণতা পূরণে ইকুইটির নীতিমালা গড়ে উঠেছে। চ্যান্সেরি আদালতের সুবিবেচনায় এই নীতিগুলো ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিকশিত হয়েছে। নিচে এগুলির বিস্তারিত বিবরণ ও প্রয়োগ আলোচনা করা হলো:

১. ইক্যুইটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে কাজ করে (Equity acts in personam)

Equity-র আদেশ ব্যক্তির বিবেকের ওপর কার্যকর হয়, সম্পত্তি-নির্দিষ্ট নয়; ফলে আদালত শুধুমাত্র ব্যক্তিকে বাধ্য করে, বস্তুগত অধিকার নয়। উদাহরণস্বরূপ, Ewing v Orr Ewing (1883) 9 App Cas 34 মামলায় ইংলিশ আদালত Scots স্থায়ী সম্পত্তির ট্রাস্ট প্রসঙ্গে ইতিবাচক আদেশনামা জারি করে, কারণ ট্রাস্টি ইংল্যান্ডে উপস্থিত ছিলেন। Penn v Lord Baltimore (1750) মামলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালত ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।

২. শুধুমাত্র আইনগত নয়, বিবেক এবং নৈতিকতার ভিত্তিতে আদালত প্রতিকার প্রদান করে

“Equity acts on the conscience” ম্যাক্সিমটি চ্যান্সারির আরেকটি প্রধান নীতি। এই নীতি নির্দেশ করে যে equity আদালত বিচার করে শুধুমাত্র আইনগত ফর্মালিটি নয়, বরং বিবেক এবং নৈতিকতার ভিত্তিতেই প্রতিকার প্রদান করে। আজকের আধুনিক common law–এ এই নীতি দেখায় যে, বিচারের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা নয়, বরং ন্যায়পরায়ণ আচরণ নিশ্চিত করা। এ নীতি-এর মূল ভিত্তি মধ্যযুগের চ্যান্সারিতে, যেখানে চ্যান্সেলররা “কনসায়েন্স”–এর আদেশ দিয়েছেন, তখন থেকেই equity-কে “a court of conscience” বলা হয়। Equity আদালত যখন কোনো পক্ষের কাছে প্রতিকার দেয়, তখন বিচার করে যে ওই পক্ষের আচরণ নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কি না, আইনি ফর্মালিটির থেকে বিবেককে এগিয়ে রাখে

৩. ইক্যুইটি সচেতনকে সাহায্য করে (Equity aids the vigilant not those who slumber on their rights / Delay defeats equity)

“Equity aids the vigilant and not those who slumber on their rights” অর্থাৎ, ইক্যুইটি দ্রুত এবং সক্রিয় আবেদনকারীকে প্রতিকার দেয়, দেরিতে আসা বা অলস পক্ষের দাবিকে এড়িয়ে চলে। আইন-সঙ্গত ন্যায়ের জন্য সময়মতো পদক্ষেপ অপরিহার্য । এই নীতি লেচিস (laches) বা বিলম্ব-প্রতিবন্ধকতার ভিত্তি, যেখানে অনুচিত বিলম্বের ফলে প্রমাণের ক্ষতি, সাক্ষীর অনুপস্থিতি ইত্যাদি জনিত অসুবিধা হলে equitable relief বন্ধ করা হয়।

৪. ইক্যুইটি কোনো অন্যায়কে প্রতিকারবিহীন রাখে না (Equity will not suffer a wrong to be without a remedy)

যেখানে কোনো অধিকার লঙ্ঘন, সেখানেই ন্যায়বিচার বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিকার নিশ্চিত করে (Ubi jus ibi remedium) । Ashby v White (1703)-মামলায় Lord Holt CJ বলেন, “It is a vain thing to imagine there should be right without a remedy”।

৫. ইক্যুইটি আইনকে অনুসরণ করে (Equity follows the law)

ন্যায়বিচার সাধারণ আইনের বিপরীতে নয়, বরং তার পরিপূরক ও সমর্থক। Equity-র নীতি সাধারণ আইনকে অগ্রাহ্য না করে Common Law-এর সাথেই সামঞ্জস্য রেখে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, Walsh v Lonsdale (1882) মামলায় আদালত নির্ধারণ করেছিলেন যে ইক্যুইটেবল অধিকারগুলি আইনি অধিকারের সমান গুরুত্ব বহন করে, সেগুলি আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে না। Earl of Oxford’s Case (1615) 1 Ch Rep 1 এ স্পষ্ট করা হয়, Equity ও Chancery যখন Common Law-এর সাথে দ্বন্দ্বে পড়ে, তখন Equity-র আদেশই কার্যকরি হবে।

৬. ইক্যুইটি ফর্মের চেয়ে উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য দেয় (Equity looks to intent rather than form)

Equity বাহ্যিক রূপ নয়, পক্ষগুলোর প্রকৃত উদ্দেশ্য (substance) বিচার করে। Parkin v Thorold (1852) 22 LJ Ch 170 এ Lord Romilly MR বলেন, “courts of equity make a distinction… between that which is substance and that which is form…”।  Parkin v Thorold (1852)মামলায় একটি অসম্পূর্ণ লিখিত চুক্তিকে ইক্যুইটি স্বীকৃতি দেয় কারণ চুক্তিপত্রে উভয় পক্ষের অভিপ্রায় স্পষ্ট ছিল।

৭. সমপর্যায়ের ইক্যুইটিতে আইন প্রাধান্য পায় (Where the equities are equal, the law prevails)

“Where the equities are equal, the law prevails” ম্যাক্সিমটি ন্যায়বিচারের সেই নীতি নির্দেশ করে যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষদের equitable দাবি একপ্রকার সমান (equal equities), সেক্ষেত্রে বিষয়টির অবশেষে রায় নির্ধারণের ক্ষেত্রে common law বা legal title–ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। এই নীতি সতেরো শতক থেকে Court of Chancery-তে বিকশিত হলেও, আধুনিক যুগে এর প্রয়োগ দেখা যায় যেমন Travel Industries of Kansas v. United States (425 F.2d 1297, 10th Cir. 1970)–এ, যেখানে করদাতার equitable অবস্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দাবি সমান হওয়ার পরেও আইনি অধিকার থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই রায় হয়। দুই পক্ষের দাবি সমান হলে আইনি অধিকার প্রাধান্য পায়। এর বিপরীতে, “Between equal equities, the first in order of time prevails” ম্যাক্সিমটি chronology–ভিত্তিক priority–র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; মানে equitable দাবি সমপর্যায়ে থাকলেও, যিনি প্রথম সময় claim করেছেন বা notice দিয়েছেন, তিনিই অগ্রাধিকার পাবেন।

৮. যে ন্যায়বিচার চায়, তাকে ন্যায়পরায়ণ হতে হবে (He who seeks equity must do equity)

ন্যায় বিচার চাওয়ার আগে নিজেকে ন্যায়পরায়ণ প্রমাণ করতে হবে। Equity demands reciprocity—অভিসন্ধি বা equitable relief চাওয়ার আগে আবেদনকারীকে নিজে তার correlative equitable কর্তব্য পালন করতে হবে​।।D & C Builders v Rees (1966) মামলায় ঋণগ্রহীতা জোরপূর্বক কম টাকা দিয়ে চুক্তি বাতিল করতে চাইলে আদালত তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। Anstalt v. Ness Energy Int’l, Inc. (2012) কেসে আবেদনকারীকে তার নিজ দায়িত্বও সঠিকভাবে পালন করতে বলা হয়, কারণ equitable relief চাওয়ার আগে তার “own obligations” সম্পূর্ণ করতে হয়।

৯. যে ইকুইটির আশ্রয় নেয়, তার হাত পরিষ্কার থাকতে হবে (He who seeks equity must come with clean hands)

অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে ইকুইটির সুযোগ পাওয়া যায় না। Dering v Earl of Winchelsea (1787)-এ জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত পক্ষ আবেদন হারায়। Jehon v Vivian (1876) কেসে Lord Chancellor Hatherley ঘোষণা করেন, “this court never allows a man to make profit by a wrong,” অর্থাৎ অসৎ হাতে সারল্য পাওয়া যায় না।

১০. সমতাই ইক্যুইটি (Equality is equity)

Equity-র ভিত্তি ‘সমতা’। যেখানে বিভিন্ন পক্ষের দাবিগুলো সমান—কোনো পক্ষের উপর পৃথক কোনো অগ্রাধিকার (priority) নেই—সেখানে সমস্ত দাবিদারকে সমানভাবে (pari passu) হিসাব করে সম্পদের বণ্টন করতে হবে। এই নীতি সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করে এবং “বিচার-বিনিময়ে কোনও পক্ষ প্রিয়তর নয়” নিশ্চিত করে। ১৮৭৫ সালে South Carolina সুপ্রিম কোর্টের State v. The Spartanburg & Union Railroad Co. (8 S.C. 129) মামলায় এই নীতিটিই দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয় যে বিলে বকেয়া সুদের দাবিদাররা এবং মূলঋণের দাবিদারদের মধ্যে কোনো মূল্যস্খলন (preference) থাকবে না, বরং বাকি সম্পদ সমান অনুপাতে (pari passu) বিতরণ হবে।

১১. যা করা উচিত ছিল তা করা হয়েছে বলে ইক্যুইটি বিবেচনা করে (Equity regards as done what ought to be done)

Equity regards as done what ought to be done—যে কাজ আইনত বা চুক্তিভিত্তিকভাবে হওয়া উচিত, equity সেটাকে সম্পন্ন বলে ধরে নেয়​। অসম্পূর্ণ চুক্তিকেও আইনি বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। Walsh v Lonsdale (1882) মামলায় Court of Appeal equitable maxim প্রয়োগ করে lease deed না থাকলেও lease যেমন হওয়া উচিত ছিল, তেমনি enforceable বলে specific performance আদেশ দেন​।

১২. দায়বদ্ধতা পূরণের ইচ্ছাকে ইকুইটি বিবেচনা করে (Equity imputes an intention to fulfill an obligation)

Equity regards as done what ought to be done—যে কাজ আইনত বা চুক্তিভিত্তিকভাবে হওয়া উচিত, equity সেটাকে সম্পন্ন বলে ধরে নেয়​। যদি কেউ near performance অর্থাৎ, কাজের প্রায় অংশই সম্পন্ন করে, equity সেটাকেই পূর্ণ কর্ম বলে ধরে নেয়। Graf v Hope Building Corp. (1930) মামলায় New York Court of Appeals নির্ধারণ করে যে mortgage acceleration clause বৈধ, এবং defendant-এর প্রচেষ্টা equitable intention হিসেবে গণ্য হয়​।

বাংলাদেশে ইক্যুইটির নীতিগুলি ব্রিটিশ কমন ল’ এর মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় সংস্কার রোডম্যাপে ইক্যুইটির নীতিগুলির প্রসার ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ, আইনগত সহায়তা পরীক্ষা প্রবর্তন করে দরিদ্রদের জন্য ইক্যুইটেবল সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। যেকোন দেশে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ম্যাক্সিমগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ

  • আইনের অসমতা দূরীকরণ: কঠোর আইনী নিয়মের ফাঁকি দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা।
  • নৈতিক ভিত্তি শক্তিশালীকরণ: “পরিষ্কার হাত” নীতি দুর্নীতি রোধে সহায়ক।
  • সামাজিক ন্যায়বিচার: Equality is equity নীতি অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে ভূমিকা রাখে।

ন্যায়বিচার কেবল আদালতের রায় নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। ইক্যুইটির ম্যাক্সিমগুলি আইনকে মানবিক করে এবং সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে যেখানে আইনী পদ্ধতি ও সামাজিক ন্যায়ের মধ্যে প্রায়ই ব্যবধান দেখা দেয়, সেখানে এই নীতিগুলির যথাযথ প্রয়োগই পারে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে।

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক রাজনীতি রাকিবুল ইসলামের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। তাঁর লেখালেখির মূল বিষয়বস্তু হলো রাজনীতি, সরকার, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

Leave A Comment

সম্পর্কিত আর্টিকেল

কোন আর্টিকেল খুঁজছেন?
আমাদের অনুসরণ করুন

এক নজরে এই আর্টিকেলে যেসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে…

লেখক হিসেবে আমাদের সাথে যোগ দিন

সাম্প্রতিক আর্টিকেল

  • গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রেরঃ নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা

গত ১৩ মে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের রিয়াদে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।

  • গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশনঃ রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ

গত ১২ই মে, ২০২৫ সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এবার আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।

  • পিকেকে-র বিলুপ্তির ঘোষণা: তুরস্কের সামনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ, নাকি কুর্দিদের জন্য অধিকার হারানোর নতুন ঝুঁকি?

পিকেকে-র বিলুপ্তি: তুরস্কের জন্য সুযোগ নাকি কুর্দিদের জন্য নতুন সংকট?

পিকেকে-র বিলুপ্তির ঘোষণা: তুরস্কের সামনে শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ, নাকি কুর্দিদের জন্য অধিকার হারানোর নতুন ঝুঁকি?

  • আজ ১০ মে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটি কোরআনের সূরা আস-সাফের ৪ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"। গত ৬ মে’র ভারতের "অপারেশন সিঁদুর"-এর জবাবে পাকিস্তান এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ভারত প্রকাশ করেনি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দাবি, এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, ও রাজস্থানের একাধিক সামরিক টার্গেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্রাহ্মোস মিসাইল ডিপো এবং এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত।

অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসঃ ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে "অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস" নামে ব্যাপক পাল্টা হামলা শুরু করে। এই অভিযানের নামটির অর্থ "গলিত সীসায় নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর"।

  • বিচারিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো আদালতের এখতিয়ার। আদালতের এখতিয়ার তিন প্রকারঃ আদি এখতিয়ার, আপীল এখতিয়ার, এবং পরিদর্শন এখতিয়ার।

আদালতের এখতিয়ারঃ সংজ্ঞা, প্রকারভেদ ও বাংলাদেশে প্রয়োগ

বিচারিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো আদালতের এখতিয়ার। আদালতের এখতিয়ার তিন প্রকারঃ আদি এখতিয়ার, আপীল এখতিয়ার, এবং পরিদর্শন এখতিয়ার।