বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসন পতনের পর থেকে ভারতীয় প্রশাসন ও তাদের গণমাধ্যম গুজব ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে "হিন্দু নিপীড়নের" একটি গল্প তৈরিতে ব্যস্ত।
লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনির মতো আমিও গত সাত মাস ধরে আমার ফোনের দিকে চোখ আটকে রেখেছি, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের উপর নিরবচ্ছিন্ন আক্রমণের ছবি এবং ভিডিও একের পর এক দেখছি।
কিভাবে ইসরায়েল এখনও জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে থাকতে পারছে? কেন এখনও বহিষ্কৃত হয়নি এমন একটি সংগঠন থেকে, যে সংগঠনটিকে নিরন্তর এবং নির্লজ্জভাবে আক্রমণ এবং অবমূল্যায়ন করছে?
৯/১১ হামলাকে অপরাধ হিসেবেই ধরা যেত। যুক্তিসঙ্গত এবং নজিরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণও হতে পারত। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় আফগানিস্তানের ওপর আমেরিকার অযৌক্তিক ও অনৈতিক যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার ফলে। আফগানিস্তানের অর্থনীতি, বিদেশনীতি, রাজনীতি, মানবনীতি ধুলিস্যাৎ করে দেয় আমেরিকা!
যদি ইন্ডিক এবং কুরিয়েল বিশ্বাস করেন যে, ফিলিস্তিন কখনোই প্যারামিটার মেনে নিতে ও ইসরাইলের সাথে শান্তি চুক্তি করতে চায়নি, ভাল। তারা তা মনে করুক। যদিও ঐতিহাসিক সত্য ভিন্ন কথা বলে।
কিছু দেশে সত্যিকার অর্থেই শরণার্থী সমস্যা বিরাজমান। উদাহরণস্বরূপ, লেবাননে, যেখানে জনসংখ্যার সম্ভবত এক-চতুর্থাংশ সিরিয়া থেকে আগত শরণার্থী আর তার উপরে ফিলিস্তিন ও ইরাক থেকে আসা শরণার্থীদের বন্যা।
ওয়াশিংটনের মতে সর্বশেষ সপ্তাহে রাশিয়া ১ লাখেরও বেশী সৈন্য ইউক্রেন ও সংযুক্ত ক্রিমিয়া সীমান্তে মোতায়েন করেছে। আর এই সেনা মোতায়েন কিয়েভ ও পশ্চিমাদের মধ্যে ভয় চড়িয়েছে যে, হয়ত মস্কোর রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়া সাবেক অঙ্গরাজ্য ও প্রতিবেশীর সাথে ক্রেমলিন যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছে।
নিয়ান্ডারথালরা আমাদের বিমুগ্ধ করে, আমাদের জানায় – আমরা কে ছিলাম এবং কে হতে পারতাম। বেহেশতের আদম এবং হাওয়ার মতোই প্রকৃতির সাথে একে অপরের সাথে নির্বিবাদে বসবাস করাটা যেন মনোমুগ্ধকর কাব্যের মত।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ উষা পাতনায়েকের নতুন গবেষনা ব্রিটেনের গালভরা গল্পকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। প্রায় দুই শতক সময়ের বাণিজ্য ও কর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য গবেষণা করে উষা পাতনায়েক হিসেব করেন যে, ব্রিটেন ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮পর্যন্ত প্রায় ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার লুট করেছে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে। সেই হিসেবে, ব্রিটেনের বর্তমান মোট বার্ষিক জিডিপির ১৭ গুণ সমান হচ্ছে এই ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার।