বিংশ শতাব্দীর ইরানের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো ১৯৭৯ সালের প্রথম দিকে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানের ইসলামী বিপ্লব, যার মাধ্যমে আমেরিকা-ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের অনুচর পাহলভী রাজবংশের পতন ঘটিয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সূচনা করা হয়।
ন্যাটো বা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট উত্তর আটলান্টিক চুক্তির মাধ্যমে গঠিত একটি আঞ্চলিক সামরিক সহযোগিতার জোট। ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত এই সামরিক জোটটি পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ও কার্যকর আঞ্চলিক সামরিক জোট।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা, ব্যপকতা, আধুনিক অস্ত্র ও সাজসরঞ্জামের ব্যবহার, প্রাণ ও ধনসম্পদের বিনাশ, সকল দিক বিবেবচনায় দীর্ঘ চার বছর তিনমাস ব্যাপী এই সর্বগ্রাসী ধ্বংসলীলা সমগ্র বিশ্বকে ওলট-পালট করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় উড্রো উইলসনের চৌদ্দ দফা নীতির দেখা মেলে মার্কিন কংগ্রেসে তার ভাষণে।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় দেখি। তা হলো ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন, যা বাঙালী জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে এক বৈপ্লবিক ঘটনা।
১৯০৮ সালে পারস্যের মসজিদ-ই-সুলাইমানিয়া নামক তেলক্ষেত্রের আবিষ্কারের দ্বারা মধ্যপ্রাচ্যে তেল উত্তোলন শুরু হয়। শুরুর দিকে অ্যাংলো ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানীর হাতে তেল উৎপাদনের সর্বময় ক্ষমতা থাকলেও পরবর্তিতে ডঃ মোসাদ্দেকের নেতৃত্বে ইরানের তেল শিল্প জাতীয়করণ করা হয়।
কুব্বাত আস-সাখরা(কুব্বাতুস সাখরা) মূলত ডোম অফ দ্য রক (Dome of the Rock) নামে পরিচিত চমৎকার এই ইসলামী সাংস্কৃতিক ও স্থাপনাটি সপ্তম শতাব্দীর শেষের দিকে নির্মিত হয়।
ইরাকের আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল ১৯৫৮ সালের ১৪ জুলাই বিপ্লব। এই নিবন্ধে ঐতিহাসিক ১৪ই এপ্রিলের বিপ্লবের পটভূমি, জড়িত মূল পক্ষ এবং আধুনিক ইরাকের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি আলোচনা করা হবে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার উপর জোর দেওয়ার জন্য একটি ঘোষণাপত্র প্রণয়ন ও কার্যকর করার জন্য মরোক্কোর এনডাউমেন্টস অ্যান্ড ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে মারাকেশ সম্মেলনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক একটি থিংক ট্যাঙ্ক ফোরাম ফর দ্য প্রমোশন অব পিস ইন মুসলিম সোসাইটি। নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের অধিকার সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে মারাকেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী হলো হরমুজ প্রণালী, এটি মূলত একটি সরু জলপথ। মার্কিন ভূখন্ডের বাইরে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক রুট হলো হরমুজ প্রণালী। সমকালীন বিশ্ব অর্থনীতিতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই প্রণালীর উপর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, অর্থনৈতিক রাজনীতি, অর্থনৈতিক বাণিজ্যের সফলতা নির্ভর করে। মধ্যপ্রাচ্যে এই প্রণালীর গুরুত্ব অপরিসীম।
মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল সুলতাবন পঞ্চম মুহাম্মদের ত্যাগ, সংগ্রাম। ফরাসীদের মনোনীত শাসক হলেও দেশের গণমানুষের জন্য তিনি সব স্বার্থকে তুচ্ছ করে সংগ্রাম করেছেন ফরাসীদের বিরুদ্ধে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে ফরাসীরা পরাজিত হয় এবং ১৯৫৬ সালে মরক্কো স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
মুঘল শাসকগণ ১৫২৬ সাল থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করেন। এসময় তারা অসংখ্য স্থাপত্য নির্মাণ করেন। গৌড়ের মুঘল আমলে নির্মিত স্থাপত্যসমূহের মধ্যে তাহখানা কমপ্লেক্স, শাহ নিয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর মসজিদ ও সমাধি অন্যতম।
ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রত্নতত্ত্ব সম্পদে সমৃদ্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জ বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের রাজধানী হিসেবে শিবগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক স্থাপনা ও দর্শনীয় নিদর্শন হিন্দু শাসন আমলে বিশেষ করে সেন বংশের শেষ রাজাদের খননকৃত দিঘী ও সুলতানী আমলে মুসলিম সুলতানদের নির্মিত মসজিদই এ উপজেলার প্রধান ঐতিহাসিক স্থাপনা।
আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলোর মধ্যে পশতুনিস্তান সমস্যা অন্যতম যা গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে আজও অমিমাংসিত অবস্থায় বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। পশতুনিস্তান, পাকতুনিস্তান নামেও পরিচিত যার অর্থ “পশতুদের দেশ”।
সাইপ্রাস, ভূমধ্যসাগরের একটি দ্বীপ যা তুরস্কের উপকূল হতে মাত্র ৪০ মাইল দূরে অবস্থিত। এ দ্বীপটির উত্তরাংশে তুর্কি বংশোদ্ভুত মুসলিম এবং দক্ষিণাংশে গ্রীক বংশোদ্ভূত খৃষ্টান জাতি বসতি গড়ে তুলেছিল। বিভিন্ন বিষয়ে মত পার্থক্যের কারণে উভয়ের মাঝে সৃষ্টি হয় বিদ্বেষ ও হিংসাত্মক সম্পর্কের যা গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তার পথে বাঁধা হয়ে উঠেছে।
ছোট সোনা মসজিদ, খনিয়া দীঘি ও মসজিদ, দারাসবাড়ি মাদ্রাসা ও মসজিদ, তাহাখানা কমপ্লেক্স উল্লেখযোগ্য। এই স্থাপত্যগুলো নির্মিত হয়েছিল মূলত দেশীয় ও দিল্লির রাজকীয় স্থাপত্যরীতির এক অপুর্ব সংমিশ্রণে।
প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে পড়ছে তাজা তাজা প্রাণ। সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে বিভৎস লাশের ছবি। এমন কোন দিন নেই যে দিনে কোন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছেনা।