উনিশ শতক থেকে শুরু থেকে একটার পর একটা যুদ্ধে বিপর্যস্ত বিশ্বজুড়েই ছড়ি্যে ছিটিয়ে চলছে অসংখ্য ছোট বড় যুদ্ধ। আসলে যুদ্ধ বললে ভুল হবে। এগুলো একেকটা আগ্রাসন, ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক নিতান্ত সাধারণ, অনুন্নত কিন্তু সম্পদশালী রাষ্ট্রগুলোর ওপর বিশ্বজুড়ে এই সামরিক আগ্রাসন বা যুদ্ধ চলছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ম্যানিলা যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, ইরান-ইরাক যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ, সিরিয়া যুদ্ধ, ইয়েমেন যুদ্ধ; একটার পর একটা চলছেই। কোন যুদ্ধ শুরু হয়েছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র বা Weapon of Mass Destruction রাখার অজুহাতে বা দায়ে আবার কোনটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বা অজুহাতে। আবার কোনটা অন্যের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়ে বা অজুহাতে শুরু হয়েছে।
তবে এসব যুদ্ধের কোনটাই একটা আরেকটার থেকে কম গণবিধ্বংসী ছিল না। ইতিহাসে প্রথম “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” ব্যবহারের কথা জানা যায় ইরান-ইরাক যুদ্ধে। সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ১৯৮০ সালের দিকে ইরান-ইরাক যুদ্ধে ইরানী ও কুর্দিদের ওপর সর্বপ্রথম রাসায়নিক অস্ত্র অর্থাৎ, “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। ১৯৯০-৯১ সাল পরবর্তি সময়ে জাতিসংঘের অধীনে আপত্তিকর সব কৌশল,অস্ত্র ধ্বংস করা হয়। ইরাকের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বোমা তৈরীর অভিযোগ থাকলেও তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
What Does Mean By Human Rights?
কিন্তু, ২০০৩ সালে আমেরিকার নেতৃতে আমেরিকাপন্থি রাষ্ট্রগুলো “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” রাখার দায়ে সাদ্দামের নেতৃত্বাধীন ইরাকে আগ্রাসন চালায়। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ছিলেন ইরাক যুদ্ধের বা আগ্রাসনের মূল হোতা। এর এক বছর পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট আনুষ্ঠানিকভাবে ইরাক যুদ্ধের ওপর প্রাক-যুদ্ধ গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট প্রকাশ করে, যে ইরাকি “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” সম্পর্কে বুশ প্রশাসনের যুদ্ধ-পূর্ব বিবৃতিগুলি বিভ্রান্তিকর এবং গোয়েন্দা তথ্য দ্বারা সমর্থিত নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পরিদর্শনে পরে দেখাও যায় যে ইরাক এর আগেই সক্রিয় “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” উৎপাদন এবং মজুদ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু ততদিনে ইরাকের সামগ্রিক ধ্বংস সাধন সম্পন্ন করে ফেলেছে জর্জ ডব্লিউ বুশ ও টনি ব্লেয়ার। একুশ শতকের শুরুর দিকে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক আগ্রাসন বা যুদ্ধ যা এই ২য় পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধ নামেও পরিচিতি পায়।
Download Senate Report of Pre-war Intelligence on Iraq
তবে প্রশ্ন হলো দশক ধরে চালানো ইরাক যুদ্ধের মূল অজুহাত এই “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” বলতে আসলে কি বোঝায়। কাকে বলে “গণবিধ্বংসী অস্ত্র”?
গণবিধ্বংসী অস্ত্র কাকে বলে?
১৯৩৭ সালের দিক থেকে “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” শব্দটির চল শুরু হয়েছে। তবে এখনকার মত এতো প্রচলিত ছিল না সেই সময়। এখন যেমন অহরহ শব্দটির ব্যবহার হচ্ছে বা জানা যাচ্ছে আজ থেকে ১০০ বছর আগেও এই শব্দের প্রচলণ ছিল না। “গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র”” শব্দটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমারু বিমানের বিশাল গঠনকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তিতে পারমানবিক অস্ত্র, রাসায়নিক অস্ত্র প্রভৃতির ক্ষেত্রে এই শব্দের প্রচলন শুরু হয়।
“গণবিধ্বংসী অস্ত্র” বা Weapons of Mass Destruction বলতে সাধারণ অর্থে বোঝায় এমন একটি অস্ত্র যা কোন বাছ-বিচার ছাড়াই, যুদ্ধের নিয়মনীতি না মেনেই জন সাধারণের জীবন নাশকারী একটি যুদ্ধাস্ত্র, যেমন পারমানবিক বোমা বা রাসায়নিক বোমা ইত্যাদি। অক্সফোর্ড ডিকশনারির অর্থে দাঁড়ায়, “ব্যাপক ধ্বংস এবং প্রাণহানি ঘটাতে সক্ষম একটি পারমাণবিক, জৈবিক বা রাসায়নিক অস্ত্র। ব্রিটানিকার মতে, “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” বা Weapons of Mass Destruction বলতে বোঝায় এমন এক অস্ত্রকে যা বড় আকারে ও নির্বিচারে মৃত্যু ও ধ্বংস করার ক্ষমতা সম্পন্ন এবং বিরোধী বা শত্রু শক্তির হাতে এর উপস্থিতিকে একটি গুরুতর হুমকি মনে করা হয়।
১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাশ করা রেজুলেশনে প্রথম এই শব্দের দেখা মেলে। ওই রেজুলেশনে “গণবিধ্বংসে সক্ষম অস্ত্র” হিসেবে পরিচিতি পায়। “গণবিধ্বংসী অস্ত্র”-এর সংজ্ঞা কি হতে পারে তা ঠিক করতে ১৯৪৭ সালে জতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি কমিটি গঠন করে “প্রচলিত অস্ত্র সংক্রান্ত কমিশন” নামে। ১৯৪৮ সালের ১২ই আগস্ট ওই কমিশন “গণবিধ্বংসী অস্ত্র”কে এভাবে সংজ্ঞায়িত করে যে, “গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র হলো. . . পারমাণবিক অস্ত্র, তেজস্ক্রিয় অস্ত্র, প্রাণঘাতী রাসায়নিক এবং জৈবিক অস্ত্র, এবং ভবিষ্যতে উদ্ভাবিত যে কোনও অস্ত্র যার বৈশিষ্ট্য উপরে উল্লেখিত অন্যান্য অস্ত্রের সমপর্যায়ের।” ওই সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন এই সংজ্ঞাকে অস্বীকার করে এর বিপক্ষে ভোট দিলেও পরবর্তিতে ১৯৭৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এই সংজ্ঞাকে মেনে নিয়ে ওই রেজুলেশনে সাক্ষর করে।
Is the USA a Leading Terrorist State?
অস্ট্রেলিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র” (বিস্তার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী, “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” বা Weapons of Mass Destruction (WMD Program) বলতে পারমাণবিক, জৈবিক, রাসায়নিক অস্ত্র বা এমন অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের গবেষণা, উন্নয়ন, উৎপাদন, অধিগ্রহণ বা মজুদ করার জন্য একটি পরিকল্পনা বা প্রোগ্রামকে বোঝায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২০০৩ সালে গৃহীত গণবিধ্বংসী অস্ত্রের প্রসারের বিরুদ্ধে কৌশলে রাসায়নিক, জৈবিক, তেজস্ক্রিয় বা ফিসাইল উপকরণকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার পেনাল কোড অনুযায়ী, “গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র”-এর মধ্যে রয়েছে রাসায়নিক যুদ্ধের এজেন্ট, জৈবিক অস্ত্র বা জৈবিক যুদ্ধের এজেন্ট, নিয়ন্ত্রিত জৈবিক এজেন্ট, পারমাণবিক এজেন্ট, তেজস্ক্রিয় এজেন্ট, বা অস্ত্র হিসাবে শিল্পজাত এজেন্ট সমূহের উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিস্তার, বা যানবাহন কোডের ৩৪৫০০ ধারার বর্ণনা অনুযায়ী একটি বিমান, জাহাজ বা যান, যা একটি ধ্বংসাত্মক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
আমেরিকার নেভাদার রাজ্যের নেভাদা রিভাইজড স্টাচুটস অনুযায়ী “গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র” বলতে এমন কোন অস্ত্র বা যন্ত্রকে বোঝায় যা বিপুল সংখ্যক ব্যক্তির মৃত্যু বা উল্লেখযোগ্য শারীরিক ক্ষতির একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করার উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়েছে।
গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বৈশিষ্ট্য
জাতিসংঘের “প্রচলিত অস্ত্র সংক্রান্ত কমিশন” সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” বলতে শুধু প্রাণঘাতী রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্রের কথা উল্লেখ থাকলেও এর মধ্যে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয় অস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত হবে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে উদ্ভাবন হতে পারে এমন অজানা ও সর্বাত্মক ধ্বংস সাধনকারী যেকোন অস্ত্রও এই সংজ্ঞার আওতাভুক্ত হবে। এসব সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্রের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়-
- এটি পারমাণবিক, জৈবিক, তেজস্ক্রিয় এবং রাসায়নিক অস্ত্র হতে পারে;
- এটি উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরক অস্ত্র হতে পারে;
- এমন অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান বা জাহাজ;
কখন একটি অস্ত্রকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র বলা যেতে পারে?
কখন একটি অস্ত্রকে বা অস্ত্রের ব্যবহারকে “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” বলা যেতে পারে এই প্রশ্নের উত্তরে আমাদেরকে নির্ভর করতে হবে সেই অস্ত্রের ক্ষমতা, প্রভাবের ওপর। এসব সংজ্ঞার ভিত্তিতে একটা মাপকাঠি দাড় করানো যায় যার ভিত্তিতে কোন অস্ত্র বা অস্ত্রের ব্যবহার বা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণকে “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। যদি সেই অস্ত্র;
- একটি একক মুহুর্তে একটি বিশাল ক্ষতিকারক প্রভাব তৈরি করতে, লক্ষ লক্ষ নাগরিককে হত্যা করতে, প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রকে বিপন্ন করতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবনকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়;
- বিষাক্ত বা দূষিত রাসায়নিকের মাধ্যমে মানুষের মৃত্যু বা গুরুতর জখম ঘটাতে সক্ষম হয়;
- মানুষ, প্রাণী বা উদ্ভিদের ক্ষতি বা হত্যা করার জন্য রোগ সৃষ্টিকারী জীব বা বিষাক্ত পদার্থ ছড়ানো হয়;
- পারমাণবিক বিস্ফোরক ডিভাইস, রাসায়নিক, জৈবিক বা টক্সিন এজেন্ট সমূহ যখন শত্রুদের উদ্দেশ্যে বা সশস্ত্র সংঘাতে ব্যবহার করা হয়।
গণবিধ্বংসী অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তি
বেশ কিছু বহুপাক্ষিক চুক্তি বিশেষ ধরনের Weapons of Mass Destruction বা গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। এই চুক্তিগুলির মধ্যে জৈবিক অস্ত্র কনভেনশন (Biological Weapons Convention) এবং রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (Chemical Weapons Convention) হলো দুটি চুক্তি।
পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তি (Treaty on the Non-Proliferation of Nuclear Weapons), পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (Treaty on the Prohibition of Nuclear Weapons), বায়ুমণ্ডল, বাইরের মহাকাশ এবং জলের নীচে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ করার চুক্তি, যা আংশিক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তি (Partial Test Ban Treaty) নামেও পরিচিত, এবং যা ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত সার্বিক পারমাণবিক-পরীক্ষা-নিষেধাজ্ঞা চুক্তি (Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty), যা এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধের লক্ষ্যে বহুপাক্ষিক চুক্তি।
Let’s call Israel’s violence what it is: terrorism, not clashes
ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পর্কিত প্রযুক্তির প্রসার নিষিদ্ধ করার জন্য অন্যান্য চুক্তিও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুটি চুক্তি হলো হেগ আচরণবিধি ( Hague Code of Conduct ) এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ( Missile Technology Control Regime)।
প্রশ্নের উর্ধ্বে নয় গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সংজ্ঞা
এটা মোটামুটি স্পষ্ট যে, ছোটখাটো ধরণের অস্ত্র বা ভূমি মাইনকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের আওতায় আনা হয়নি যদিও এসব অস্ত্র অনেক বড় সংখ্যায় প্রাণ হানি ঘটাতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০০১ সালে আত্মহত্যা, খুন, যুদ্ধে প্রায় কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছে যা দেখা যায় যে বিশ শতকের পারমানবিক-জৈবিক-রাসায়নিক অস্ত্রের আঘাতে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

A picture taken on April 30, 2018, shows collected victims’ bones and skulls from a newly discovered pit that was used as a mass grave during the 1994 Rwandan genocide and hidden under a house at the local administration office in Kabuga, the outskirts of Kigali, Rwanda.
গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সংজ্ঞার কিছু ফাঁকফোকর থেকে গেছে। যে ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে রুয়ান্ডার ১৩ সপ্তাহ ব্যাপি হত্যাযজ্ঞ যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৮০০০ করে ১৩ সপ্তাহে কমপক্ষে ৮০,০০০০০ মানুষ নিহত হয়েছে অন্যকিছু নয়, শুধু রামদার আঘাতে। কিংবা মাসব্যাপি ম্যানিলা যুদ্ধ যেখানে লক্ষাধিক নারী, শিশু, বৃদ্ধ নিহত হয়েছিলেন। আবার, জাপানে নাপাম(কেরোসিন। পেট্রোল, ডিজেল প্রভৃতির সংমিশ্রনে তৈরি এক ধরণের আগ্নেয় মিশ্রণ) ব্যবহার করে আমেরিকা লক্ষ লক্ষ জাপানি হত্যা করেছে। এই নাপাম এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে, ভ্যানিভার বুশ, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে আমেরিকার বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং একই সাথে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেন, তার রাতের ঘুম হারাম হয়েছিল, উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছিলেন। কারণ তিনিই জাপানে নাপাম ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়েছিলেন। তিনি জাপানে পারমানবিক বোমা হামলার চেয়ে নাপামকে বেশী ভয়াবহ মনে করেছিলেন।
রুয়ান্ডা গণহত্যার প্রেক্ষাপট ও ফলাফল

ভিয়েতনামীদেরকে মার্কিন বাহিনী আগুনে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে
রুয়ান্ডার হত্যাযজ্ঞে বা ম্যানিলায় কিংবা জাপানের টোকিওতে কোন অত্যাধুনিক”গণবিধ্বংসী অস্ত্র” ব্যবহার করা হয়নি। শুধুমাত্র রামদা, নাপামের মত অস্ত্র ব্যবহার করেই লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছে। গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সংজ্ঞার আওতায় তো এসব অস্ত্র আসে না। তাহলে কি এসব “গণবিধ্বংসী অস্ত্র” বা আগ্রাসন নয়? নাকি জাতিসংঘের পাঁচ মোড়ল গণবিধ্বংসী অস্ত্র আইনের আওতার বাইরে?
সম্পর্কিত আর্টিকেল
কোন আর্টিকেল খুঁজছেন?
আমাদের অনুসরণ করুন
এক নজরে এই আর্টিকেলে যেসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে…
সাম্প্রতিক আর্টিকেল
শেষপর্যন্ত কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলাই কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধাবে?
পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, ও সীমান্তে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ।
আদালত কী? আদালত কত প্রকার ও কি কি?
আদালত হলো রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত সেই বৈধ প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিরোধ নিষ্পত্তি, অপরাধের বিচার ও আইনি অধিকার রক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) কী? ইক্যুইটির ম্যাক্সিম সমূহ কী কী?
ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) হল সাধারণ আইন (Common Law) এর শর্তের বাইরে গিয়ে ন্যায্যতা ও ন্যায় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হওয়া একটি স্বতন্ত্র বিচারব্যবস্থা
আব্রাহাম চুক্তিঃ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, এবং ফিলিস্তিনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
আব্রাহাম চুক্তি হলো ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সহ আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য একাধিক চুক্তির সমষ্টি।
পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ডঃ ফিলিস্তিনের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের বুলি!
পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখলে মনে হয়, গাজায় কোনো মানুষ নিহত হয় না—শুধু "হামাস মেম্বার" হয়! আর ইউক্রেনের গমের ক্ষেত ধ্বংস হলে "হিউম্যানিটি ক্রাইম" হয় ।