দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে দুটি ভিন্ন শক্তি বিশ্বের নিয়ন্ত্রক হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই শক্তি দুটির কেন্দ্রে ছিল পৃথক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আদর্শ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুঁজিবাদের আদর্শ ধারণ ও তার সম্প্রসারণে সবসময় প্রচেষ্ট ছিল। আর অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল সমাজতন্ত্রের বাহক। এই দুই মতাদর্শের দ্বন্দ্বই ছিল প্রতিপক্ষ মতাদর্শের প্রসার রোধ। আর এই প্রসার রোধে উভয় পক্ষই নানা পদ্ধতি ও পন্থা অনুসরণ করতে থাকে। ইউরোপ আমেরিকায় সমাজতন্ত্র ও সোভিইয়েত ইউনিয়নের হুমকি মোকাবেলার লক্ষ্যেই বিশ্বযুদ্ধোত্তর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী সামরিক জোট “ন্যাটো” গড়ে ওঠে। শুধু শক্তিশালীই নয়, বলা যায় পৃথিবীর একমাত্র কার্যকরি সামরিক প্রতিরক্ষা জোট হলো ন্যাটো। পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ ভাগই শুধু ন্যাটোরই সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে খরচ হয়।
ন্যাটো কি?
ন্যাটো বা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট উত্তর আটলান্টিক চুক্তির মাধ্যমে গঠিত একটি আঞ্চলিক সামরিক সহযোগিতার জোট। ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত এই সামরিক জোটটি পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ও কার্যকর আঞ্চলিক সামরিক জোট। উত্তর আটলান্টিক চুক্তির আওতায় জোটভুক্ত দেশগুলো পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ১২টি হলেও বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য ৩১ টি। সদস্য দেশ হলো আলবেনিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টিনেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিনল্যান্ড। সর্বশেষ ফিনল্যান্ড ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ন্যাটোতে যোগ দেয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও আলবেনিয়াই কেবল মুসলিম দেশ। ন্যাটোর বর্তমান সদর দপ্তর যদিও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, পূর্বে এর সদর দপ্তর ছিলো ফ্রান্সের প্যারিসে। বর্তমানে ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে জেসন স্টলবারবার্গ দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনঃ যুক্তফ্রন্টের গঠন, বিজয় ও মুসলিম লীগের পরাজয়
পুর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের প্রসার রোধে ইউরোপের গণতন্ত্রপন্থি দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রাপ্ত কোন সিদ্ধান্তকে জাতিসংঘের বাইরে এসে কার্যকর করার প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারের জন্য পাশ্চাত্যগোষ্ঠী ন্যাটো গঠনে প্রণোদিত হয়। বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ অঙ্গিকার নিয়ে ন্যাটো গঠিত হলেও এর অন্যতম লক্ষ্য হলো, গণতন্ত্রের আড়ালে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব প্রতিরোধে কার্যকর সামরিক শক্তি সংগঠন সৃষ্টি করা।
ন্যাটো গঠনের ইতিহাস
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞে ইউরোপের বেশিরভাগ অংশ কল্পনাতীত ভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৩৬.৫ মিলিয়ন ইউরোপীয়র সলিল সমাধিহয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, তাদের মধ্যে ১৯ মিলিয়নই ছিল বেসামরিক লোকজন। শরণার্থী শিবিরগুলোর অবস্থা ছিল আজকের সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, আফগানিস্তান কিংবা ইউক্রেনের মত। কিছু কিছু এলাকায় শিশু মৃত্যুর হার এতো বেড়েছিল ছিল যে, প্রতি চারজনে একজন শিশু মারা যেত। লক্ষ লক্ষ মানুষ শহরের ঘরহারা হয়েছিল। শুধু জার্মানির হামবুর্গ শহরেই পাঁচ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর শীতল যুদ্ধে সম্ভাব্য রাশিয়া বা জার্মানীর হুমকি মোকাবেলা ও যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ সামাল দিতে ১৯৪৭ সালের ৪ই মার্চ ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও জোট হিসেবে “ডানকার্ক চুক্তি” সাক্ষরিত হয়। একই সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় কমিউনিস্টরা ইউরোপ জুড়ে গণতন্ত্রপন্থি সরকার গুলোকে হুমকি দিচ্ছিল। ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে চেকোস্লোভাকিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি সোভিয়েত ইউনিয়নের গোপন সমর্থনে সে দেশের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর পশ্চিম জার্মানির গণতান্ত্রিকীকরণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে জার্মান রাজধানীতে তাদের দখল সুসংহত করার জন্য মিত্র-নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম বার্লিন অবরোধ করে। বার্লিন এয়ারলিফটের বীরত্ব মিত্রদের কিছুটা সান্ত্বনা দিলেও স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতার জন্য সোভিয়েত একটি গুরুতর হুমকি হিসাবে রয়েই যায়।
মারাকেশ ঘোষণাপত্রঃ মুসলিম দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় আধুনিক দলিল
আমেরিকা এই সময়ে “ইউরোপ পুনরুদ্ধার কর্মসূচি” ও অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসার প্রচেষ্টা করে। তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অনেকাংশে নির্ভর করে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর। পারস্পরিক নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমেই কেবল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব। এই ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে ইউরোপের প্রয়োজন ছিল সামরিক সহযোগিতা। এই চিন্তাভাবনা মাথায় রেখে ইউরোপের গণতন্ত্রপন্থী দলগুলো আলোচনার টেবিলে বসে কিভাবে আরো বৃহৎ ও সামগ্রিক সামরিক জোট গঠন করা যায়। এরই ফলশ্রুতিতে, ১৯৪৮ সালের মার্চে “ব্রাসেলস চুক্তি”র অধীনে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ ইউরোপীয়ানদের এই সংগঠনকে বিস্তৃত করে। বিস্তৃত এই সংগঠন পরে “ব্রাসেলস চুক্তি সংগঠন” নামে পরিচতি পায়। এটি ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়ন নামেও পরিচিত হয়। কিন্তু পরবর্তিতে তাদের বিবেচনায় ক্রমবর্ধমান সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণাত্মক শক্তির হুমকির মুখে এ ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত বলে মনে হয়। সম্ভাব্য সোভিয়েত আগ্রাসন মোকাবেলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ তারা একটি বৃহত্তর সংগঠন গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করে যা, পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ভাগ্যক্রমে এই সময় আমেরিকা ইউরোপের সাথে কূটনৈতিক দুরত্ব ঘুচিয়ে ইউরোপের সাথে বৃহৎ সামরিক জোট গঠনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এই সামরিক জোটটি কতগুলো মৌলিক নীতিতে ঐকমত্য পোষণ করে; যথাঃ
- সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্থান ও প্রসার প্রতিরোধ;
- উত্তর আমেরিকার সুস্পষ্ট ও কার্যকরী অবস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে পুরো ইউরোপে জাতীয়তাবাদি সামরিক শক্তির উত্থান প্রতিরোধ ও
- ইউরোপে রাজনৈতিক সংঘবদ্ধতা নিশ্চিত করণ।
মূলত তিনটি লক্ষ্য সামনে রেখেই ১৯৪৯ সালের ৪ই এপ্রিল ওয়েস্টার্ণ ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এবং আমেরিকা, কানাডা, পর্তুগাল, ইতালি, নরওয়ে, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড উত্তর আটলান্টিক চুক্তি বা North Atlantic Treaty সাক্ষর করে NATO গঠন করে। এছাড়া তুরস্কও এই জোটের সদস্য। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও আলবেনিয়াই কেবল মুসলিম দেশ। সর্বশেষ ফিনল্যান্ড ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ন্যাটোতে যোগ দেয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ১২টি হলেও বর্তমানে ন্যাটো জোটভুক্ত মোট সদস্য রাষ্ট্র ৩১ টি।
মরক্কোর জাতীয়তাবাদি আন্দোলন ও সুলতান মুহাম্মাদ
ন্যাটো জোটের উদ্দেশ্য ও নীতিমালা
ন্যাটোর উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক ও সামরিক উপায়ে স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা ও সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। উত্তর আটলান্টিক চুক্তি, যার মাধ্যমে এই সামরিক জোটের জন্ম, সেখানে বলা আছে, “কোন একটি সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ সমগ্র জোটের ওপর আক্রমণের সামিল হবে।“ যৌথ প্রতিরক্ষার এই নীতিটিই ন্যাটো জোটের নিরাপত্তা বিধানের ভিত্তি। যাইহোক, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ন্যাটোর নর্থ আটলান্টিক চুক্তির অধীনে ন্যাটোর উদ্দেশ্য ও নীতি সম্বলিত ১৪টি অনুচ্ছেদে সম্মত হয়। এর পাশাপাশি তারা জাতিসংঘ সনদেও পূর্ণ আস্থা জ্ঞাপন করে।
নর্থ আটলান্টিক চুক্তির ভিত্তিতে ন্যাটোর উদ্দেশ্য গুলো হলোঃ
- ইউরোপে শান্তি ও নিরাপত্তা আনয়ন ও রক্ষা
- ন্যাটোভুক্ত অঞ্চলের বাইরে সামরিক উপস্থতির মাধ্যমে ন্যাটোভুক্ত অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা
- পরামর্শ ও ঐকমতের ভিত্তিতে যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ
- ন্যাটোর কৌশলগত নীতি প্রণয়ন
- বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন সামরিক ঝুকির মোকাবেলা করা
নর্থ আটলান্টিক চুক্তির নীতিমালা সম্বলিত উল্লেখিত ১৪টি অনুচ্ছেদগুলো নিম্নরূপঃ
অনুচ্ছেদ ১: শান্তিপূর্ণ সমাধান
শান্তিপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি করার মাধ্যমে বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পক্ষগুলি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা জাতিসংঘের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক এমন শক্তি বা হুমকি ব্যবহার না করতে পক্ষগুলো সম্মত।
অনুচ্ছেদ ২: বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
পক্ষগুলি তাদের প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করে, মৌলিক নীতিগুলি প্রচার করে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং স্থিতিশীলতাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবে।
অনুচ্ছেদ ৩: প্রতিরক্ষা সক্ষমতা
পক্ষগুলি ক্রমাগত আত্মনির্ভরতা এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে সশস্ত্র আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সম্মিলিতভাবে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে এবং বিকাশ করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুচ্ছেদ ৪: পরামর্শ
কোন দলের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হলে দলগুলো পরামর্শ করবে।
অনুচ্ছেদ ৫: সম্মিলিত প্রতিরক্ষা
ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার যে কোনও দলের উপর সশস্ত্র আক্রমণ কে সকল পক্ষের উপর আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। জবাবে, প্রতিটি পক্ষ উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার এবং বজায় রাখার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহার সহ ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে। গৃহীত পদক্ষেপগুলি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জানানো হবে।
রুয়ান্ডা গণহত্যার প্রেক্ষাপট ও ফলাফল
অনুচ্ছেদ ৬: আক্রমণের সংজ্ঞা
আক্রমণ বলতে, উত্তর আটলান্টিক চুক্তিভুক্ত যেকোন অঞ্চলের কোন একটি বা একাধিক দেশের পদাতিক বাহিনী, জাহাজ বা বিমানের উপর সশস্ত্র আক্রমণকে বোঝায়।
অনুচ্ছেদ ৭: জাতিসংঘ সনদের বাধ্যবাধকতা
এই চুক্তি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের প্রাথমিক দ্বায়িত্বসহ জাতিসংঘ সনদের অধীনে পক্ষগুলির অধিকার এবং কর্তব্যকে কোনভাবে প্রভাবিত করবে না।
অনুচ্ছেদ ৮: অ-দ্বন্দ্বমূলক সম্পৃক্ততা
প্রতিটি পক্ষ ঘোষণা করে যে অন্যান্য পক্ষ বা তৃতীয় রাষ্ট্রের সাথে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিগুলি এই চুক্তির বিধানগুলির সাথে সাংঘর্ষিক নয়। তারা চুক্তির সাথে সাংঘর্ষিক সম্পর্কে না যাওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ।
অনুচ্ছেদ ৯: বাস্তবায়ন পরিষদ
চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ন্যাটো জোটভুক্ত প্রত্যেকটি সদস্য দেশের প্রতিনিধিত্বে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করবে। অনুচ্ছেদ ৩ এবং ৫ এর জন্য পদক্ষেপের সুপারিশ করার জন্য একটি প্রতিরক্ষা কমিটি গঠন করবে এবং সেই সাথে প্রয়োজনীয় অন্যান্য অঙ্গসংগঠন সৃষ্টি করবে।
অনুচ্ছেদ ১০: অতিরিক্ত পক্ষসমূহ
উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়িয়ে তোলার উদ্দেশ্যে পক্ষগুলি সর্বসম্মতিক্রমে অন্যান্য যোগ্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলিকে এই চুক্তিতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
অনুচ্ছেদ.১১: চুক্তি অনুমোদন এবং প্রয়োগ
পক্ষগুলি এই চুক্তি অনুমোদন এবং কার্যকর হওয়ার জন্য নিজ নিজ সংবিধানে কার্যকর সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ করবে। অনুমোদন হওয়ার সাথে সাথে সেসব অঞ্চলে চুক্তিটি কার্যকর হবে।
অনুচ্ছেদ ১২: চুক্তি পর্যালোচনা
পক্ষগুলি জাতিসংঘ সনদের অধীনে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ব্যবস্থা সহ শান্তি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিরকে বিবেচনা করে দশ বছর পরে বা যেকোন সময়ে চুক্তিটি পর্যালোচনা করার জন্য পরামর্শ করতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্রসমূহ এবং ইরানের তেল শিল্প জাতীয়করণে ডঃ মোসাদ্দেকের ভূমিকা
অনুচ্ছেদ ১৩: জোটের সদস্যতা ত্যাগ
বিশ বছর পরে, কোনও পক্ষ মার্কিন সরকারকে এক বছরের নোটিশ দিয়ে সদস্যতা ত্যাগ করতে পারে।
অনুচ্ছেদ ১৪: চুক্তির অন্যান্য সংস্করণের গ্রহণযোগ্যতা
এই চুক্তির ইংরেজি এবং ফরাসি গ্রন্থগুলি সমানভাবে নির্ভরযোগ্য।
ন্যাটোর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো
ন্যাটোর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বেশ জটিল ও বহুমুখী। তবে এই সাংগঠনিক কাঠামোকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। একটি অংশ রাজনৈতিক ও কৌশলগত সামরিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং অপর অংশ সেসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করে। যথাঃ
- বেসামরিক কাঠামো (নর্থ আটলান্টিক কাউন্সিল)
ন্যাটোর এই অংশটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কৌশলগত নীতি নির্ধারণের কাজে নিয়োজিত। ন্যাটোভুক্ত প্রত্যেকটি সদস্যদেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহনে গঠিত “নর্থ আটলান্টিক কাউন্সিল” এই বেসামরিক কাঠামোর দায়িত্বে নিয়োজিত। নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সপ্তাহে অন্তত একবার আলোচনায় বসে এই কাউন্সিল।
- সামরিক কাঠামো (সুপ্রীম এলায়েড কমান্ডার ইউরোপ ও ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি স্টাফ)
নর্থ আটলান্টিক কাউন্সিলের রাজনৈতিক ও সামরিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কাজটি করে এই অংশ। এই অংশের দায়িত্বে নিয়োজিত আছে যেকোন একটি সদস্য দেশের চার তারকা খচিত জেনারেল অথবা এডমিরাল যার পদবি সুপ্রীম এলায়েড কমান্ডার ইউরোপ বা Supreme Allied Commander Europe (SACEUR)। তিনি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর সামরিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি স্টাফ বা International Military Staff (IMS) পরামর্শে তার দায়িত্ব পালন করেন।
ন্যাটোর এই অংশের কাজের প্রতিফলন ঘটে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, প্রথমত এলায়েড কমান্ড অপারেশন্স ও দ্বিতীয়ত, এলায়েড কমান্ড ট্রান্সফরমেশন।
- এলায়েড কমান্ড অপারেশন্স বা Allied Command Operations (ACO)
এলায়েড কমান্ড অপারেশন্স ন্যাটোর অপারেশনাল শাখা। এটি শান্তিকালীন এবং যুদ্ধকালীন উভয় ন্যাটো সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। এর পরিচালনায় আছেন সুপ্রীম এলায়েড কমান্ডার ইউরোপ বা Supreme Allied Commander Europe (SACEUR)।
১৯৫৮ সালে ইরাকের সামরিক বিপ্লবের পটভূমি
- এলায়েড কমান্ড ট্রান্সফরমেশন বা Allied Command Transformation (ACT)
এই শাখার কাছ হচ্ছে ন্যাটোর সামরিক সক্ষমতার উন্নতি সাধন ও আধুনিকীকরণ। এর নেতৃত্বে আছে যেকোন একটি সদস্য দেশের চার তারকা খচিত জেনারেল অথবা এডমিরাল যার পদবি সুপ্রীম এলায়েড কমান্ড্র ট্রান্সফরমেশন বা Supreme Allied Commander Transformation (SACT)। সম্ভাব্য সামরিক হুমকি কার্যকরভাবে সামলাতে এই শাখাটি এলায়েড কমান্ড অপারেশন্সের সাথে খুব নিবিড়িভাবে কাজ করে।
এসবের পাশাপাশি ন্যাটোর আরো কিছু অংগসংগঠন আছে যেমন, ন্যাটো পার্লামেন্টারি এসেমব্লি, ন্যাটো সায়েন্স ফর পিস এন্ড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম, ইউরো আটলান্টিক ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার। এই সংগঠন গুলো রাজোনৈতিক পর্যালোচনা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা এবং দূর্যোগে সহযোগিতামূলক দায়িত্ব পালন করে।
বর্তমান আন্তঃরাজনীতিতে ন্যাটোর প্রয়োজনীয়তা
বিশ্বের সামরিক জোটগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বৃহৎ এবং কার্যকর জোট হলো ন্যাটো। অনেকের মতে, ন্যাটোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবার অনেকের উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে শান্তি স্থাপন ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য ন্যাটোর প্রয়োজন আছে। যাইহোক, সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত এই সামরিক জোট সৃষ্টি লগ্ন থেকে বিভিন্ন জায়গায় সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যেমন, কোরিয়ান যুদ্ধ, শীতল যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ, ২০১১ সালে লিবিয়ায় সামরিক আগ্রাসন এবং সাম্প্রতিক কালে ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধ পরিচালনা করছে। আবার এসব সামরিক অভিযানের পাশাপাশি কিছু বেসমরিক কাজেও ন্যাটো যুক্ত আছে যেমন, গণতান্ত্রিক আদর্শ প্রসারে, সন্ত্রাসবাদ দমনে এবং দূর্যোগ নিরসনের মত কাজে। তবে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এর নেতিবচক ভুমিকাই মূলত চোখে পড়ে। যেমনঃ
প্রথমত, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিরোধ তুঙ্গে। ন্যাটো জোটের উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব ও সমাজতন্ত্রের প্রসার প্রতিরোধ করা। এই প্রতিরোধ করতে যেয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিরোধ তুঙ্গে তুলে দিয়েছে। শান্তির বদলে গত কয়েক দশক ধরে পৃথিবী কোরিয়া যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ, ইয়েমেন যুদ্ধ, সিরিয়া যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ, লিবিয়া আগ্রাসনের সাক্ষী হয়েছে।
উড্রো উইলসনের চৌদ্দ দফা নীতি কি? প্যারিস শান্তি সম্মেলনে তার ইচ্ছা কতখানি পূরণ হয়েছিল?
দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণ ন্যাটোর হাতে। বাস্তবিক অর্থে, জাতিসংঘের ক্ষমতা ক্ষর্বই করা হয়েছে ন্যাটোর মাধ্যমে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তিনটি সদস্য দেশই, আমেরিকা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এই জোটের সদস্য। বিশ্বের পররাষ্ট্র নীতি তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে। যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে এই মোড়লদের একিচেটিয়া মনোভাব জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ করেছে।
তৃতীয়ত, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর প্রসার। শুধুমাত্র উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলের দেশগুলোকেই ন্যাটোর সদস্য পদ দেয়া হয়নি। এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোকেও সদস্য করা হয়েছে, যেমন, তুরস্ক, গ্রিস প্রভৃতি। এখন, ২০২২ সালে নতুন করে ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ন্যাটো। এতে ভিষণ চটেছে রাশিয়া। সেও ন্যাটোর উস্কানিতে, ইউক্রেনে ন্যাটোর উপস্থিতির পরিণাম আন্দাজ করে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছে। যারফলে, ন্যাটোর যে যুদ্ধ এতদিন মধ্যপ্রাচ্যকে তছনছ করেছে,সেই যুদ্ধ এখন ইউরোপের উপস্থিত হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত বেসামরিক মানুষ মারা যাচ্ছে।
এসব দিক বিবেচনায় আনলে এটা প্রতীয়মান হয় যে, শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের নামে ন্যাটো গঠিত হলেও, এর কার্যক্রম সম্পূর্ণ বিপরীত। মূলত, “ন্যাটোভুক্ত অঞ্চলের বাইরে সামরিক উপস্থতির মাধ্যমে ন্যাটোভুক্ত অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা”র নীতিই ন্যাটো অনুসরণ করছে। শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে পৃথিবী এখন ন্যাটোকে প্রশ্ন করছে, যে এর গুরুত্ব এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে আছে কিনা।
প্রথমত, ন্যাটোর প্রধান প্রতিপক্ষের সাথে শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যেয়ে বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার প্রভাব সীমিত হয়ে এসেছে। সুতরাং, রাশিয়ার হুমকি সামাল দেয়ার নামে ন্যাটোর প্রয়োজনীয়তা আর নেই।
দ্বিতীয়ত, বিশ্বের দুই পরাশক্তি নিজেদের যুদ্ধাস্ত্র সীমিতকরণে অঙ্গিকারবদ্ধ। মাঝারি পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র নির্মূল চুক্তি বাস্তবায়নে দুই পক্ষই কাজ করছে। ফলে এই সামরিকজোটের গুরুত্ব কমে এসেছে।
তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম ইউরোপ থেকে তার ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে এবং রাশিয়াও পূর্ব ইউরোপ তার ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে। এবস্থায় কোন পক্ষেই আর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে নেই।
হরমুজ প্রণালী ও সমকালীন বিশ্ব অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব
চতুর্থত, সমাজতন্ত্রের সুতিকাগার রাশিয়াতেই সত্যিকার অর্থে আর সমাজতন্ত্র নেই। এখানে গণতন্ত্র প্রবেশ করে সমাজতন্ত্রের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে দিয়েছে। সুতরাং, সমাজতন্ত্রকে প্রতিরোধ করার যে লক্ষ্য ন্যাটোর ছিল তা এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।
পঞ্চমত, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতায় ন্যাটোর হাত রয়েছে। বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে যে সংগঠন গড়ে উঠেছিল সেই সংগঠন শান্তির বদলে গত কয়েক দশক ধরে পৃথিবী কোরিয়া যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ, ইয়েমেন যুদ্ধ, সিরিয়া যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ, লিবিয়া আগ্রাসন চালিয়েছে নানা অজুহাতে। এসব অঞ্চলে আর যাইহোক, শান্তি বা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ন্যাটোর কোন গুরুত্ব নেই।
সমস্ত বিতর্ক ছাড়িয়ে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামরিক জোটগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর জোট হলো ন্যাটো। অনেকের মতে, ন্যাটোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবার অনেকের উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে শান্তি স্থাপন ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য ন্যাটোর প্রয়োজন আছে। তবে যাইহোক না কেন, ন্যাটো যে, বৈশ্বিক রাজনীতিতে একটা বড় খেলোয়াড়, সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত এই সামরিক জোট সৃষ্টি লগ্ন থেকে বিভিন্ন জায়গায় সামরিক অভিযান, আগ্রাসন চালিয়েছে, যেমন, কোরিয়ান যুদ্ধ, শীতল যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ, ২০১১ সালে লিবিয়ায় সামরিক আগ্রাসন এবং সাম্প্রতিক কালে ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধ পরিচালনা করছে। আবার এসব সামরিক অভিযানের পাশাপাশি কিছু বেসমরিক কাজে যুক্ত থাকলেও বিশ্ব রাজনীতিতে ন্যাটো বিলুপ্তি সাধন করা অতি আবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। নতুবা প্রতিবছর আমাদেরকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
সম্পর্কিত আর্টিকেল
কোন আর্টিকেল খুঁজছেন?
আমাদের অনুসরণ করুন
এক নজরে এই আর্টিকেলে যেসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে…
সাম্প্রতিক আর্টিকেল
শেষপর্যন্ত কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলাই কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধাবে?
পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আশঙ্কা, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, ও সীমান্তে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ।
আদালত কী? আদালত কত প্রকার ও কি কি?
আদালত হলো রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত সেই বৈধ প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিরোধ নিষ্পত্তি, অপরাধের বিচার ও আইনি অধিকার রক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) কী? ইক্যুইটির ম্যাক্সিম সমূহ কী কী?
ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) হল সাধারণ আইন (Common Law) এর শর্তের বাইরে গিয়ে ন্যায্যতা ও ন্যায় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হওয়া একটি স্বতন্ত্র বিচারব্যবস্থা
আব্রাহাম চুক্তিঃ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, এবং ফিলিস্তিনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
আব্রাহাম চুক্তি হলো ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সহ আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য একাধিক চুক্তির সমষ্টি।
পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ডঃ ফিলিস্তিনের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের বুলি!
পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখলে মনে হয়, গাজায় কোনো মানুষ নিহত হয় না—শুধু "হামাস মেম্বার" হয়! আর ইউক্রেনের গমের ক্ষেত ধ্বংস হলে "হিউম্যানিটি ক্রাইম" হয় ।