বিগত নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে, হামাস নিধনের অজুহাতে ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযানগুলিতে গাজার মৃতদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক। যারা ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে তারা খুব ভাল করেই জানে ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গাজায় যেখানে প্রায় ২ মিলিয়ন লোকের বসবাস, সেখানে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম যুদ্ধাস্ত্র রফতানিকারক ও অন্যতম পারমানবিক শক্তিধর একটি ক্ষমতা নির্বিচারে সামরিক অভিযান চালালে কি হতে পারে। তাদের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল গাজার বেসামরিক লোকদের প্রাণহানি ও আবাসিক এলাকা, জাতিসংঘ স্কুল, রিফিউজি ক্যাম্প, বইয়ের দোকান, হাসপাতাল এবং প্রধান কোভিড-১৯ পরীক্ষাগারও ধ্বংস করছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫৯৫৩ জন নিহত হয়েছেন যার মধ্যে যার মধ্যে ৭০% জন নারী ও শিশু, যা যুদ্ধাপরাধের সামিল।

এমতাবস্থায় গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বেসামরিকদের ওপর হামলার কারণে ইসরাইলকে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে পশ্চিমা সরকারগুলিকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দল  ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপের অনেক দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররা আন্দোলন করতে দেখছি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনরবরত চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল ও ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে কারণ, ইসরায়েল বেসামরিক লোকদের জীবন রক্ষা করতে এবং যথেষ্ট মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে , caution children playing graffiti

এরই মধ্যে কানাডা, নেদারল্যান্ডস, জাপান, স্পেন এবং বেলজিয়াম ঘোষণা করেছে যে তারা ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে। ডেনমার্কের একটি আদালতের মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সফল হলে ডেনমার্ক সরকার যুক্তরাষ্ট্রে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ রফতানি স্থগিত করতে বাধ্য হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের কাছে ভারী, বাঙ্কার-বাস্টিং বোমা সরবরাহ স্থগিত করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রকাশ্যে ইসরাইলকে সতর্ক করলেও ইসরায়েল শোনেনি, গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।

কোন দেশগুলি ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে?

ইসরাইল বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও অস্ত্রশস্ত্রের জন্য কয়েকটি দেশের ওপর ইসরায়েল নির্ভর করে। যারা ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে তাদের মধ্যে প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হলো যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইতালি। এর পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা,  অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, বেলজিয়াম এমনকি ভারতও ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে।

যারা ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে তাদের মধ্যে সর্ববৃহৎ সরবরাহকারী হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে বিদেশ থেকে আমদানি করা অস্ত্রের প্রায় ৬৮% অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করে। কিন্তু জার্মানিও ইসরায়েলে অন্যতম বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। ইসরায়েলে প্রায় ৩০% অস্ত্র সরবরাহ করে জার্মানি। অন্যান্যদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়া রয়েছে – যদিও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, তার দেশ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু থেকে কোনো অস্ত্র সরবরাহ করেনি।

যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার সামরিক সহায়তার পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বড়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬১ সাল থেকে প্রতি বছর ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে। ২০০৯-২০২০ এর মধ্যে ইসরায়েলের কেনা অস্ত্রের ৭০ শতাংশেরও বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, নির্ভুল-নিয়ন্ত্রিত যুদ্ধাস্ত্র এবং অন্যান্য উন্নত সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে।

২০১৬ সালে, দুই দেশ তৃতীয় দশকব্যাপী সামরিক সাহায্য নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৮ পর্যন্ত ৩৮ বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বছরে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা প্রদান যার মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার – ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে যৌথভাবে উন্নত আয়রন ডোম, অ্যারো এবং ডেভিডের স্লিং সিস্টেম রয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি-সমন্বিত দামে মোট ১৫৮ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছে।

আর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালের ৭ মার্চের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে শতাধিক অস্ত্রের চালান পাঠিয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কংগ্রেস ইসরায়েলের জন্য ১৪.৩ বিলিয়ন ডলারের জরুরি নিরাপত্তা সহায়তা অনুমোদন করে।  বাইডেন প্রশাসন ২০২৪ সালের মে মাসে ইসরায়েলে অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাঠানোর পরিকল্পনার কথা কংগ্রেসকে জানিয়েছিল। এবং ইসরায়েলের জন্য বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র এখনও পাইপলাইনে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ট্যাঙ্ক, গাইডেড মিসাইল, গোলাবারুদ, ইত্যাদি।

জার্মানি

ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক, জার্মানি ইসরায়েলের প্রাথমিক একীকরণ এবং আঞ্চলিক আধিপত্যে ইসরায়েলকে প্রচুর অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে।  ইসরায়েলের প্রতি এই সহায়তার কারণ ঐতিহাসিক, বিশেষ করে হলোকস্টের কারণে জার্মানির দায়বদ্ধতা থেকে উদ্বুদ্ধ। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অর্থায়ন এবং কূটনৈতিক সমর্থন। ১৯৪৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে প্রায় ৮৬.৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে জার্মানি। এই তহবিলের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

২০০৩ সাল থেকে জার্মানি ইসরায়েলে প্রায় সমস্ত ধরণের অস্ত্র রফতানি লাইসেন্স অনুমোদন করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির ৩০% সরবরাহ করেছে জার্মানি। সাবমেরিন, করভেট, ছোট সাবমেরিন এবং এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল, উন্নত রাডার সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে জার্মানি। ২০২৩ সালে ইসরায়েলের জন্য প্রায় দশগুণ প্রতিরক্ষা রফতানি অনুমোদন বাড়িয়েছে জার্মানি, যার পরিমাণ ৩২৬.৫ মিলিয়ন ইউরো।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধের ইতিহাস

তবে, বছরের শুরুতে গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলের সমালোচনা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে জার্মান সরকার উল্লেখযোগ্যভাবে যুদ্ধাস্ত্র রফতানি কমিয়েছে। জার্মান সরকার জানিয়েছে যে, এর মধ্যে ছিল ৩০৬.৪ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম এবং ২০.১ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের “যুদ্ধ অস্ত্র”। ডিপিএ নিউজ এজেন্সি অনুযায়ী, এতে ৩০০০ পোর্টেবল অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য ৫০০,০০০ রাউন্ড গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইতালি

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর আগে ও পরে ইতালি ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে এবং ইতালি ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক। ইতালি প্রশিক্ষণ বিমান সরবরাহ করে এবং পরিবর্তে মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্র পায়। ২০০৯-২০২০ এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রধান কনভেনশনাল অস্ত্র আমদানির ৫.৬ শতাংশ ইতালি থেকে এসেছে। এবং ২০১৯ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে ইসরায়েলের আমদানির মাত্র ০.৯% সরবরাহ করেছে। ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে ইতালি ইসরায়েলে ২.১ মিলিয়ন ইউরো (২.৩ মিলিয়ন ডলার) অস্ত্র ও গোলাবারুদ রফতানি করেছিল যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় তিনগুণ বেশি। । বিভিন্ন প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে সংঘাত তীব্রতর হওয়ার আগে ইতালি ইসরায়েলে ৮১৭,৫৩৬ ইউরো মূল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রফতানি করেছিল।

ইতালীয় কর্মকর্তারা ইসরায়েলে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করার আশ্বাস দিলেও রফতানি অব্যাহত রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গুইডো ক্রোসেটো বলেছেন যে, ইতালি ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে না, রফতানি বন্ধ করেছে, তবে শুধুমাত্র পূর্বে স্বাক্ষরিত অর্ডারগুলি সমন্বয় করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্য সরকার মূলত কোম্পানিগুলিকে বিক্রয়ের লাইসেন্স দিলেও, বিমান এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমের উপাদানসহ ইসরায়েলে সামরিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জামও রফতানি করে। গত বছর, যুক্তরাজ্য ইসরাইলকে কমপক্ষে ৪২ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির লাইসেন্স দিয়েছে।

২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে ৫৭৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি মূল্যের অস্ত্র রফতানির লাইসেন্স দিয়েছে। শুধু ২০২২ সালেই যুক্তরাজ্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করেছে। কিন্তু বাস্তব পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে কারণ অনেক অস্ত্র “ওপেন লাইসেন্স” এর মাধ্যমে রফতানি করা হয়, যেখানে অস্ত্রের পরিমাণ ও মূল্য গোপন থাকে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ইসরায়েলকে শতাধিক অস্ত্র রফতানির লাইসেন্স দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা সত্ত্বেও অস্ত্র বিক্রয় নীতির জন্য কঠোরভাবে সমালোচিত হন এবং গত ৫ জুলাই তার দল কনজারভেটিভ পার্টি যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হয়।  প্রসঙ্গত, দখলদার ইসরায়েলের দৃঢ় সমর্থক ঋষি সুনাকের পরিবার তার শ্বশুরের সহ-প্রতিষ্ঠিত একটি বড় প্রযুক্তি এবং পরামর্শদাতা সংস্থা ইনফোসিসের সাথে যুক্ত। ইনফোসিসের সাথে যুক্তরাজ্যের বড় অস্ত্র সংস্থাগুলির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কানাডা

কানাডা ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির প্রায় ০.৩ শতাংশ সরবরাহ করে। ইসরায়েলে ড্রোন, রাডার সিস্টেম এবং বিমানের জন্য উপাদান রফতানি করে কানাডা। রফতানি করা নির্দিষ্ট ধরণের অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামগুলির মধ্যে বিভিন্ন উন্নত সিস্টেম যেমন সামরিক শেষ ব্যবহারের অংশ এবং উপাদানগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা প্রায়শই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে স্থানান্তরিত হত। তবে, সব ধরণের অস্ত্র বা নির্দিষ্ট আর্থিক বিনিময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কোন প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি।

২০১৯ সালে, কানাডা ইসরাইলকে ১৩.৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক হার্ডওয়্যার ও প্রযুক্তি পাঠিয়েছে। ২০২২ সালে কানাডার অস্ত্র বিক্রি ছিল ২১.৩ মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার মূল্যের । ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইসরায়েলে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। তবে ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ হাউস অব কমন্সে পাস হওয়া একটি প্রস্তাবের পর কানাডা ইসরায়েলে ভবিষ্যতে সব ধরনের অস্ত্র রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

ফ্রান্স

সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিসহ ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে ফ্রান্সের। ফ্রান্স ইসরায়েলকে বিমান, নজরদারি উপগ্রহ, ক্ষেপণাস্ত্র উপাদান, নির্ভুল-নিয়ন্ত্রিত যুদ্ধাস্ত্র এবং মহাকাশ প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। ২০২৩ সালে ইসরায়েলে ফ্রান্সের অস্ত্র রফতানির পরিমাণ ছিল ১০ মিলিয়ন ইউরো, ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রফতানি লাইসেন্সের মোট মূল্য ৫০ মিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ফ্রান্স ইসরায়েলে তার সামরিক রফতানি পূণর্বিবেচনা করে এবং রফতানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে কিছু প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে কিছু সামরিক রফতানি পুরোপুরিভাবে স্থগিত করা হয়নি বরং এখনও গোপনীয়ভাবে ফ্রান্স ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া ইসরায়েলকে ছোট অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধের উপাদান সহ সামরিক প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগে ও পরে অস্ট্রেলিয়া গত ছয় বছরে ইসরায়েলে ৩২২টি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে, ইসরায়েলে অস্ট্রেলিয়ার অস্ত্র রফতানি ১৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি হয়েছে, যার মধ্যে কেবল ২০২২ সালেই ২.৩ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। এই অনুমোদনগুলি গাজা সংঘাতে তাদের ব্যবহার সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

ডেনমার্ক

৭ই অক্টোবর ২০২৩ এর আগে ডেনমার্ক ইসরায়েলকে উন্নত ইলেকট্রনিক সিস্টেম এবং উপাদান সরবরাহ করেছিল যা বিভিন্ন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন যোগাযোগ এবং নজরদারি সরঞ্জাম। ডেনমার্কের রফতানি প্রধানত অ-প্রাণঘাতী ছিল কিন্তু উন্নত প্রযুক্তিগত অবকাঠামো বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ডেনমার্ক থেকে ইসরায়েলে রফতানি লাইসেন্সের মোট মূল্য ছিল ২.৪ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি। উপরন্তু, ২০২৩ সালে, ডেনমার্ক ইসরায়েলের ‘ডেভিডস স্লিং’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ৩১৭ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি তুলে ধরেছে।

ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে
ডেনমার্ক ইসরায়েলের ‘ডেভিডস স্লিং’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ৩১৭ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

৭ অক্টোবর সংঘাত বৃদ্ধির পরে, ডেনমার্ক সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে তার রফতানির বিষয়ে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে উভয়ই বর্ধিত তদন্ত এবং চাপের মুখোমুখি হয়েছিল। সংঘর্ষ বাড়ার পর, ডেনমার্ক তার রফতানি লাইসেন্স পুনর্মূল্যায়ন করেছে এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর যাতে সংঘাত বাড়াতে না পারে তা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছে, মানবিক সহায়তা এবং বেসামরিক প্রযুক্তিগত সহায়তার উপর জোর দিয়েছে।

নেদারল্যান্ডস

নেদারল্যান্ডস ইসরায়েলের প্রযুক্তি এবং সামরিক সরঞ্জামের একটি উল্লেখযোগ্য সরবরাহকারী। ৭ই অক্টোবর ২০২৩ এর আগে, ডাচ রফতানিতে রাডার সিস্টেম, উন্নত অপটিক্স এবং সামরিক যানবাহন অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের ইসরায়েলে রফতানি লাইসেন্সের মোট মূল্য ছিল €৭.৬ মিলিয়ন। ২০২৩ সালে, নেদারল্যান্ডস ইসরায়েলে €১২.১ মিলিয়নের নয়টি অস্ত্র রফতানি অনুমোদন দেয়।

হামাসঃ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আদায়ে যে সম্মুখে লড়ছে

গাজায় ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে মর্মে জনসাধারণের অসন্তোষের সম্মুখীন হয় নেদারল্যান্ডস সরকার। নেদারল্যান্ড ইসরায়েলে সাময়িকভাবে সামরিক রফতানি স্থগিত করে এবং মানবিক সহায়তা এবং বেসামরিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতার উপর জোর দেয়।

স্পেন

স্পেন ৭ই অক্টোবর ২০২৩ এর আগে ইসরায়েলকে ছোট অস্ত্র এবং হালকা কামান সরবরাহ করেছিল। স্পেন এবং ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্র বাণিজ্য ছিল বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির অংশ। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, স্পেনের ইসরায়েলে রফতানি লাইসেন্সের মূল্য ছিল €২.৪ মিলিয়নের বেশি। ২০২৩ সালে, ফিনল্যান্ড ইসরায়েলের ‘ডেভিড’স স্লিং’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য €৩১৭ মিলিয়ন মূল্যের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। সংঘর্ষ বাড়ার পর, স্পেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার চাপের মধ্যে অস্ত্র রফতানি নীতি পর্যালোচনা করে। সামরিক সহায়তা সরাসরি কমিয়ে, মানবিক সহায়তার উপর জোর দেয়।

বেলজিয়াম

বেলজিয়াম ইসরায়েলকে উন্নত ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম এবং ছোট অস্ত্র সরবরাহ করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগে বেলজিয়াম ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য টার্গেটিং সিস্টেম এবং নজরদারি সরঞ্জামসহ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরবরাহে জড়িত ছিল। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে, বেলজিয়ামের ইসরায়েলে অস্ত্র রফতানির মোট মূল্য ছিল €১৪ মিলিয়ন এবং ২০২৩ সালে €৭৮০,০০০ মূল্যের পণ্য রফতানি করে।

সংঘাত বৃদ্ধির পরে, বেলজিয়াম সামরিক রফতানি বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হয়েছিল। ফলস্বরূপ, বেলজিয়াম অস্ত্র রফতানির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে এবং চিকিৎসা সরবরাহ, শরণার্থীদের জন্য সহায়তা এবং সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে অর্থায়নের মত মানবিক সহায়তা সরবরাহের দিকে মনোনিবেশ করে।

চীন

চীন ইসরায়েলে সামরিক প্রযুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য সরবরাহকারী না হলেও, প্রাথমিকভাবে ড্রোন প্রযুক্তি এবং উন্নত ইলেকট্রনিক্স সরবরাহ করে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলে চীনের অস্ত্র রফতানির আর্থিক মূল্য ছিল ৩১ লাখ ডলার। এসব রফতানির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক সিস্টেম এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়িয়েছে। প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীন ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক প্রযুক্তিগত সহযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে।  

গ্রিস

গ্রিস ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম, প্রধানত ছোট অস্ত্র এবং আর্টিলারি সরবরাহের সাথেও জড়িত ছিল। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গ্রিস থেকে ইসরায়েলে রফতানি লাইসেন্সের মোট মূল্য ছিল ৭.৬ মিলিয়ন ইউরো। এই সহযোগিতা ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় সামরিক হার্ডওয়্যার সরবরাহে গ্রীসের ভূমিকাকে তুলে ধরে, তার প্রতিরক্ষা কৌশলগুলিতে সহায়তা করে। গ্রীসের সরবরাহকৃত অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র এবং আর্টিলারি টুকরোগুলির বিভিন্ন ক্যালিবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গাজা নিয়ে পশ্চিমা নারীবাদীরা নীরব কেন?

ফিনল্যান্ড

ফিনল্যান্ড মূলত বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, বর্ম এবং অস্ত্র দর্শনীয় রফতানির মাধ্যমে ইসরায়েলের সাথে জড়িত হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ফিনল্যান্ড থেকে ইসরায়েলে রফতানি লাইসেন্সের মূল্য ২.৪ মিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৩ সালে, ফিনল্যান্ড তাদের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে ইসরায়েলের ‘ডেভিডস স্লিং’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ৩১৭ মিলিয়ন ইউরোর একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

সার্বিয়া

সার্বিয়া ইসরায়েলকে ছোট অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক ডিভাইস সরবরাহ করেছে। ২০২৩ সালে, ইসরায়েলে সার্বিয়ার অস্ত্র রফতানিতে €৭৮০,০০০ মূল্যের পণ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং এই সংখ্যাটি ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ১৪ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের অস্ত্র দিয়ে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাল্টা

ইসরায়েলকে ক্ষুদ্র অস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম সরবরাহে ভূমিকা রেখেছে মাল্টা। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলে মাল্টার অস্ত্র রফতানি হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ইউরোর বেশি। মাল্টা থেকে ছোট অস্ত্র ও সরঞ্জামগুলি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ, বিভিন্ন অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তার জন্য নির্ভরযোগ্য এবং দক্ষ অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে।

ভারত

ভারত ইসরায়েলের একটি প্রধান প্রতিরক্ষা অংশীদার, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ড্রোন এবং রাডার প্রযুক্তি সহ বিস্তৃত সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্য শক্তিশালী ছিল, উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য উল্লেখযোগ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

তবে, গাজায় চলমান সংঘাতের সময় ভারত ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে সংলাপের পক্ষপাতী ভারত ইসরায়েলকে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ড্রোন, রকেট এবং বিস্ফোরক সরবরাহ করেছে। গাজা সংঘাতের মধ্যেও এই অস্ত্র বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে, যা ভারতের পররাষ্ট্র নীতির অবস্থানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরায়েলে ভারতীয় বিস্ফোরক বহনকারী জাহাজগুলি উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হয়েছে এবং স্পেনে নোঙর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক সরঞ্জামগুলিতে ভারতের হায়দ্রাবাদে উত্পাদিত উন্নত হার্মিস ৯০০ ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহ স্থগিতকরণ ও সীমাবদ্ধকরণের ফলে ইসরাইলি বাহিনীর কার্যক্রম ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত শুক্রবার, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল একটি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সমর্থন দিয়েছে, যেখানে ২৮টি দেশ পক্ষে, ৬টি বিপক্ষে এবং ১৩টি বিরত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি – প্রধানত যারা ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে – উভয়েই বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবটি স্পষ্টভাবে হামাসকে নিন্দা করেনি- এই অজুহাতে জার্মানি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এই দুটি দেশই মূলত দখলদার ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে, গাজা গণহত্যায় সামিল হচ্ছে, হাজার হাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যায় অংশগ্রহন করছে, আর যুদ্ধাপরাধের বিচার থেকে ইসরায়েলকে বাঁচাচ্ছে

আর্টিকেলটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক রাজনীতি রাকিবুল ইসলামের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। তাঁর লেখালেখির মূল বিষয়বস্তু হলো রাজনীতি, সরকার, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

2 Comments

  1. […] গাজায় গণহত্যায় ইসরায়েলকে অস্ত্র দ… […]

  2. […] গাজায় গণহত্যায় ইসরায়েলকে অস্ত্র দ… […]

Leave A Comment

সম্পর্কিত আর্টিকেল

কোন আর্টিকেল খুঁজছেন?
আমাদের অনুসরণ করুন

এক নজরে এই আর্টিকেলে যেসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে…

লেখক হিসেবে আমাদের সাথে যোগ দিন

সাম্প্রতিক আর্টিকেল

  • ইক্যুইটির ম্যাক্সিম

ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) কী? ইক্যুইটির ম্যাক্সিম সমূহ কী কী?

ইক্যুইটি বা ন্যায়বিচার (Equity) হল সাধারণ আইন (Common Law) এর শর্তের বাইরে গিয়ে ন্যায্যতা ও ন্যায় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হওয়া একটি স্বতন্ত্র বিচারব্যবস্থা

  • আব্রাহাম চুক্তি হলো ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সহ আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য একাধিক চুক্তির সমষ্টি।

আব্রাহাম চুক্তিঃ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, এবং ফিলিস্তিনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা

আব্রাহাম চুক্তি হলো ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সহ আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের জন্য একাধিক চুক্তির সমষ্টি।

  • পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখলে মনে হয়, গাজায় কোনো মানুষ নিহত হয় না—শুধু "হামাস মেম্বার" হয়! আর ইউক্রেনের গমের ক্ষেত ধ্বংস হলে "হিউম্যানিটি ক্রাইম" হয়

পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ডঃ ফিলিস্তিনের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের বুলি!

পশ্চিমা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখলে মনে হয়, গাজায় কোনো মানুষ নিহত হয় না—শুধু "হামাস মেম্বার" হয়! আর ইউক্রেনের গমের ক্ষেত ধ্বংস হলে "হিউম্যানিটি ক্রাইম" হয় ।

  • যুগ যুগ ধরে সংঘাত চলমান গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এক গভীর প্রশ্ন উঠে আসে: এটি কি সহিংসতার একটি সাময়িক বিরতি, নাকি একটি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা?

গাজায় যুদ্ধবিরতিঃ সহিংসতার সাময়িক বিরতি নাকি স্থায়ী শান্তির পথ?

যুগ যুগ ধরে সংঘাত চলমান গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এক গভীর প্রশ্ন উঠে আসে: এটি কি সহিংসতার একটি সাময়িক বিরতি, নাকি একটি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা?

  • গাজায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তিঃ ইসরায়েল ও হামাসের ঐতিহাসিক সমঝোতা

গাজা যুদ্ধ বিরতি চুক্তিঃ ইসরায়েল ও হামাসের ঐতিহাসিক সমঝোতা

দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর, অবশেষে ইসরায়েল ও হামাস গাজায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় দোহায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।